বিকেল থেকে মেজাজ খিটমিটে হয়ে আছে। অহনা-চৈতি-শীলা সবাই গেছে সুমাইয়ার কাজিনের গায়ে হলুদে। বেলাও যাওয়ার কথা ছিল। সকালে হঠাৎ নানু অসুস্থ হয়ে গেল, যাওয়া হলো না। আম্মু যেতে দিলো না।
একটু আগে অহনা এসএমএস করেছে - 'তোকে খুব মিস করছি, খুব মজা হচ্ছে, শীলা অলরেডি ফলেন উইথ অ্যা সাদা বিড়াল, রাতে ফোনে ডিটেইল বলবো'।
শীলার প্রেমে পড়ার অভ্যাস খুব বেশী। মুহুর্তে মুহুর্তে প্রেমে পড়ে যায়। একবার বেইলী রোডে পাশের রিক্সার ছেলেকে দশ-বিশ সেকেন্ড দেখেই প্রেমে পড়ে গেলো, পরের কয়েকদিন কেটেছে ঐ ছেলের মোহে। এই প্রেম-পড়ুনী বান্ধবী শীলাকে নিয়ে অনেক মজার মজার গল্প চালু আছে।
জিটিভিতে 'কসম সে' সিরিয়াল চলছে। বেলার দেখতে ইচ্ছে করে না। ভাবে - কিছুক্ষণ অনলাইনে থাকা যায়
এক.
ছোট্ট একটা শহর।পাশাপাশি দুইটি বাড়ি। রাত ১০টা ।পাড়াগায়ের জণ্য বেশ রাত।মেয়েটি জানালায় দাড়িয়ে চুল আচড়ায়।ছেলেটি ও এসে দাড়ায়।ত্রস্ত চলাচল।দুজনের মাঝখানে লোহার গরাদ।
ইতি উতি উকিঁ।মেয়েটি জানতে চায়,`কেমন আছো?' ছেলেটি তাকিয়ে থাকে চুলের দিকে। আনমনা হয়ে বলে `এতো লম্বা চুল!' হাত বাড়িয়ে চুলে ডুবাতে চায় আঙুল,হাত আটকে যায়।মাঝখানে লোহার গরাদ।
মেয়েটি হেসে বলে,নেবে?
দাও।
মেয়েটি এক গোছা
১.
তখনও বুঝিনি আকাশে অতটা উজ্জলতা ছিল। হঠাত করেই ইলেকট্রিসিটি চলে গেল। মুমু বল্ল সে ছাদে যাবে। বন্ধ ঘরে তার ভাল লাগছেনা। দম বন্ধ হয়ে আসছে। বাধ্য হয়ে তাই বেরিয়ে আসি। মোমের আলোয় যতটা দেখা যায় ততটা দেখে সিড়ি বাইতে থাকি। একহাতে মোম অন্য হাতে ধরে রাখি মুমুকে।
সিড়িটা বেশ খাড়া। অন্যবাড়ির দেড় সিড়ি সমান এর একেকটা সিড়ি! মুমুকে বলি, কষ্ট হচ্ছে উঠতে। ম্লান হাসি হেসে বলে, তুমি জিজ্ঞেস করতেই উধাও হয়ে গেল! আমি দাঁড়িয়ে যাই। ওর চোখে চোখ রাখার চেস্ট