নার্সের রুম থেকে বেরিয়ে রেস্টরুমে যাওয়ার করিডোরের বামপাশে যে বিশাল জর্জিয়ান জানালা তার খোপ খোপ কাঁচের ভেতর দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আজাদ বুঝতে পারলো দিনটা হঠাত্ই বদলে গেছে। ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসার সময় যে গুমোট ভোর দেখেছিল সেই রূপ বদলে আকাশ এখন আলোয় ঝলমল করছে আর সেই উজ্জ্বলতার টানেই কিনা আজাদ আরেকটু এগিয়ে যায় জানালার দিকে আরো খুঁটিয়ে দেখতে চোখ রাখে বাইরে, বিল্ডিংটার ছায়া যেটুকু ঘাসে পড়েছে তার রং ঘনসবুজ অথচ ছায়ার পর লনের বাকী ঘাস সূর্যের ছটায় জন্ডিস হলুদ
আমার জন্য মিছে শোকার্ত হয়োনা
চতুর শৃগালের দল ;
মৃত্যুতে ও সম্পুর্ন আছি নিশ্চিত ।
সমুহ দুরত্বে গিয়ে শোকার্ত হও,
সেই সকল অতৃপ্তের জন্য মার্সিয়া গাও-
জীবনে যাদের অনেক অনুযোগ ছিলো ।
আত্না বিক্রী করেছে যারা, আর অহরহ
বদলিয়েছে জীবন ।
যেনো আসবাব, যেনো পোষাক, যেনো
দেয়ালের ছবি । বদলিয়েছে শত্রু-মিত্র
স্বপ্ন ও বেদনা সবি ।
লক্ষ্যে অস্থির বলে কেন্দ্র থেকে দুরীভুত,
স্বপ্নে সমর্পিত নয় বলে পতিত সন্দেহে
বিশ্বাসে স্থিত নয় ব
(নারীকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে একক ঈশ্বরের প্রবক্তারা-২)
এই একটি বিষয়ে ধর্মে বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী পুরুষেরা একমত। মানুষের কখনও নারী-ঈশ্বর ছিল না। তাদের জোর দাবী ঈশ্বর সর্বদাই পুরুষ ছিলেন। অর্থাত্ সমাজে নারীর মর্যাদা এত উঁচুতে কখনও ছিল না যে মানুষ সৃষ্টিকর্তার কল্পনা করতে গিয়ে তাকে নারী ভাবতে পারে। অনেক প্রত্নতাত্ত্বিকরা দুনিয়ার গুহাচিত্র আর মূর্তির ধ্বংসাবশেষ ঘেঁটে শেষ কথা বলে দিয়েছেন যে এমন কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ তারা পাননি। পাওয়া নাই যে
সাদিক মোহাম্মদ আলম সম্ভবত: তার এক লেখায় পুরনো পোস্ট দিয়ে কার্নিভাল করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাতে উদাহরণ হিসেবে আমার নাম ছিল, তাকে কৃতজ্ঞতা।
তা কার্নিভাল হোক, শো-কেসিং হোক, আর রেট্রোস্পেকটিভ-ই হোক, যখন নতুন কোনো লেখা লিখছি না তখন পুরনো লেখাগুলো নতুন করে বিশেষভাবে নতুন ব্লগারদের সামনে তুলে ধরার সুযোগ হারাই কেন।
সাদিক আলম এসব বলার অনেক আগেই একটা ই-বুক করার জন্য বেশ কিছু লেখা বাছাই করে রেখেছিলাম। তার একটা ভাগ টইটুম্বুর নামে পিডিএফ করে এখানে দিতে চাই, অফ লাইনে পড়ার সুবিধার জন্য। সেখানে মূল লেখাসহ মন্তব্যগুলোও সম্পাদনা করা হয়েছে। তবে যারা পিডিএফ ডাউনলোডের ঝামেলায় যেতে চান না, তারা যাতে অনলাইনে পড়তে চান তাদের জন্য লিংক ত
সাদিক মোহাম্মদ আলম সম্ভবত: তার এক লেখায় পুরনো পোস্ট দিয়ে কার্নিভাল করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাতে উদাহরণ হিসেবে আমার নাম ছিল, তাকে কৃতজ্ঞতা।
তা কার্নিভাল হোক, শো-কেসিং হোক, আর রেট্রোস্পেকটিভ-ই হোক, যখন নতুন কোনো লেখা লিখছি না তখন পুরনো লেখাগুলো নতুন করে বিশেষভাবে নতুন ব্লগারদের সামনে তুলে ধরার সুযোগ হারাই কেন।
সাদিক আলম এসব বলার অনেক আগেই একটা ই-বুক করার জন্য বেশ কিছু লেখা বাছাই করে রেখেছিলাম। তার একটা ভাগ টইটুম্বুর নামে পিডিএফ করে এখানে দিতে চাই, অফ লাইনে পড়ার সুবিধার জন্য। সেখানে মূল লেখাসহ মন্তব্যগুলোও সম্পাদনা করা হয়েছে। তবে যারা পিডিএফ ডাউনলোডের ঝামেলায় যেতে চান না, তারা যাতে অনলাইনে পড়তে চান তাদের জন্য লিংক ত
একটি ভাবনা:
জামাত-ই-ইসলামী বাংলাদেশ কে আমার যতোটা না পলিটিক্যাল পার্টি মনে হয়,তার থেকে বেশি মনে হয় এন.জি.ও কিংবা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি।খুবই প্রফেশনাল তাদের অপারেশন। একবার কলেজের শিবির সভাপতি তোফায়েল ভাই এসে আমার কাছে বিদায় চাইলেন (আমি তখন ছাত্রদলের একজন ছোটখাটো কর্মী,পাশাপাশি দুইটি কলেজের সাংগঠনিক বিষয় দেখভাল করার জন্য জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দায়িত্ব প্রাপ্ত)।তোফায়েল ভাইকে নাকি মৌলভী বাজার জেলা ছাত্রশিবিরের সাধারন সম্পাদক পোস্টে নিয়োগ দেয়া হয়েছে! সারা জীবন রাজনীতি করলেন সিলেট শহরে,আর সাধারন সম্পাদক হলেন মৌলভীবাজার জেলার,এ রকমই তাদের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত।তোফায়েলের সাথে আমার আর দেখা হয়নি,তবে শুনেছি তিনি তার নতুন দায়িত্ব ভালো ভাবেই পালন কর
আজ মহান মে দিবস, সারাদিন শ্রমিক শ্রেনীর স্বার্থ রক্ষা বিষয়ে নানাবিধ বক্তব্য আসবে, সেমিনার হবে- সভা হবে- আমাদের মধ্যবিত্ত এবং উচ্চ মধ্যবিত্ত মানুষের ভীড়ে নগন্য কয়েকজন শ্রমিকের মুখপত্র আসবেন তাদের কথা বলবেন, আমাদের মধ্যবিত্ত কবলিত শাসন ব্যাবস্থা থেকে তাদের নানাবিধ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে।
এই রীতিটা এত বেশী প্রতিষ্ঠিত যে এর অকার্যকরতা এবং উন্নাসিকতা বিষয়ে সবাই অবগত। আজও তেমনটাই হয়েছে- এর ভেতরে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্য রেখেছেন- লক্ষ্য অবশ্য গার্মেন্টস কর্মীরা- বুঝলাম আমাদের পোশাক শিল্পে অধিকাংশ শ্রমিকই নারী- এটা নারী অধিকারেরও বক্তব্য হতে পারে তবে আমাদের উন্নয়নভিত্তিক পেশাজীবি সমিতি যারা বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের দরিদ্র অবস্থাকে পুঁজি কর
আমাদের প্রাণের রুহী দা। রুহী ঠাকুর। লোক গান, বিশেষ করে সিলেটের আঞ্চলিক গানের এক প্রাণময় পুরুষ। আজ তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন। বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের ভাবশিষ্য ছিলেন রুহী ঠাকুর। ব্যক্তিগতভাবে আমি অসংখ্যদিন খুব কাছে থেকে তার গান শুনেছি। তার স্নেহ পেয়েছি। সহজিয়া এই মানুষ বড় মমতায় বলতেন, 'আইজ্ঞা, অপুভাই বালা আছুইন!' আমরা লজ্জায় পড়ে যেতাম তার বিনয়ে। বলতাম, দাদা আপনারা গুরুজন হয়ে যদি এভাবে কথা বলেন তা হলে শরম লাগে। তিনি আরও বিনয়ি হয়ে যেতেন। বল
আমাদের সততা আর সদগুনের বিবরণ লিপিবদ্ধ হয়েছে যিশুর জন্মেরও কয়েকশত বছর আগে যখন আলেকজান্ডার আসলো সিন্ধু উপকূলে- সে সময়ের ঐতিহাসিক বিবরণীতে লিপিবদ্ধ আছে এ অঞ্চলের মানুষ অত্যন্ত সৎ এবং সবাই স্বাধীন-
আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয় এটা- আমরা সবাই স্বাধীন ছিলাম- কাউকে কোনোদিন দাসবৃত্তিতে বাধ্য করি নি- আমাদের পৌরাণিক গাঁথায় আর্যগ্রহন হওয়ার আগে আমাদের গাঁথাগুলো কেমন ছিলো- সাঁওতালী মানুষের বিশ্বাসের মতো? নাকি চাকমা আদিবাসীর বিশ্বাসের মতো- ওদের পৌরাণিক গাঁথাগুলো- ওদের সরল বিশ্বাস কিংবা ওদের সততা এখনও অক্ষুন্ন, যদিও দারিদ্র ওদের পিছু ছাড়ে নি এরপরও এইসব আদিবাসী মানুষের সারল্য আর সততার ঐতিহাসিক বাস্তবতা মিথ্যে হয়ে যায় নি-
পৈরাণিক যুগে যখন আর্যরা ক্ষমতা