একটি সত্য ছবি:
তারুণ্যে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এই দেশ ঘুরে গিয়েছিলেন ৬৯ সনে।তারপর বোকা মহিলাটি আবার এদেশে ফিরে এসেছিলেন ৭২ সালে।রক্তাক্ত পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের ফিজিওথেরাপি দিতে ।কেউ তাকে ডেকে আনেনি।তবু তিনি চলে এসেছিলেন।পাগলী আর ফিরে যাননি।
৭৯ সনে অনেক চেয়ে চিন্তে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিত্যক্ত গুদাম ঘরখানি পেলেন।ঝেড়েমুছে শুরু করলেন একটা ছোট,খুবই ছোট ফিজিওথেরাপির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।সি.আর.পি।
তারপর সেই বোকা মেয়েটি তার সীমিত সাধ্যে একখান সাইকেল চেপে ঘুরতে লাগলেন দুয়ারে দুয়ারে।মাথা নিচু করলেন,হাত পাতলেন,অপমানিত হলেন,গঞ্জনা সইলেন,হতাশ হলেন তবু হাল ছাড়লেন না।নিজের জন্য নয়,সেই বোকা মানুষটি সব করলেন আমাদের জন্য।মেরুদন্ড ভেঙ্গে প
নাইট শিফটে কাজ করা ঝামেলা। দিনে না ঘুমালে রাত জাগা কষ্ট। বারবার কফি খেয়ে চোখ খোলা রাখতে হয়। ব্যস্ততা তেমন নেই। এর মাঝে সুপারভাইজর রায়হান ভাই চক্কর মেরে গেছে দু'বার। সরণ ভাবছে - ডিসেম্বরের মাঝে চাকরীটা পার্মানেন্ট হয়ে যাবে। রায়হান ভাই কয়দিন আগে হাল্কা পাতলা ইঙ্গিত দিয়েছে। সরণের ইচ্ছে ডিপার্টমেন্ট চেঞ্জ করবে। ইন্টারন্যাশনাল রোমিংয়ে কল করেছে। ওখানে হয়ে গেলে ভালো হয়। কল সেন্টারে আর ভালো লাগছে না। নানান লেভেলের লোক ফোন করে, কথা বুঝতে চায় না। তবুও মাথা ঠান্ডা রেখে কথা বলতে হয়। একটেল কাস্টমার সার্ভিসের ভয়ানক মহিলার গালাগালির অডিও ফাইল কাহিনী এখনো মানুষের স্মৃতি থেকে মুছেনি---! এসব ভাবার সময় কল আসে-
- সিটিসেল কল সেন্টার, সরণ স্পীকিং। মে আই হেল্প
ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে ওপেন এয়ার কনসার্ট। বাংলালিংকের স্পন্সরশিপ। ভীড়ে গিজগিজ অবস্থা। খানিকটা দূরে দাড়িয়ে সরণ ভাবছিল কোথায় বসা যায়। শিবলী-সাব্বিরদের কাউকে দেখা যাচ্ছে না। মোবাইলে কল করলেও রিসিভ করছে না। সরণ এসএমএস দিয়ে রাখে। একবার ভাবে - বাসায় চলে গেলে কেমন হয়? এরকম জনসমাগমে একা একা ভালো লাগে না, অস্বস্তি লাগে। সরণের মনে হয় - এখানে শুধু সে-ই একা এসেছে, আশেপাশে আর কেউ একা নেই। তারুণ্যের হৈ-চৈ। উচ্ছ্বল ছেলে-মেয়েদের দল। প্রেমিকা ধরে আছে প্রেমিকের হাত। প্রেমিকের গায়ে পাঞ্জাবী, স্কাই ব্লু জিন্স, প্রেমিকার সাদা শাড়ীতে লাল পাড়। মুহুর্তে মনে হয় - এ হৃদকম্পণের শহর হঠাৎ উৎসবের নগরী হয়ে গেছে। এক তরুণী অনভ্যস্ত হাতে শাড়ী গুছাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। ব
আজকে ব্লগে রেসিপি দেয়ার ধুম পড়েছে।আমিও সাধ্যমতো তাল মিলিয়ে যাচ্ছি।
আমার সাধ্যমতো একটা রেসিপি দিলাম।
মেরি বিস্কুট আর গ্লুকোজ বিস্কুট খাওয়া বেশ ঝঞ্জালের ব্যাপার।চায়ে চুবিয়ে খাওয়া তো আরো জটিল।প্রায়ই অর্ধেক বিস্কুট কাপে রয়ে যায়।তারপর মাঝে মাঝে তলানিতে পড়ে থাকে,মাঝে মাঝে ভাসতে থাকে।ভাসতে থাকলে মুশকিল বেশি।চা খাওয়া যায় না সহজে।
তাই এবার আপনাদেরকে শিখাবো কিভাবে চায়ে চুবিয়ে অক্ষত মেরি বিস্কুট খাবেন।
যা লাগবে:
গরম চা- ১ কাপ (চিনি সহ চা।চিনি ছাড়া চায়ে চলবে না)
মেরি বিস্কুট -প্রয়োজন মতো।
প্রণালী:
প্রথমে বিস্কুটের প্যাকেটের খোসা ছাড়িয়ে ছোট প্লেট অথবা পিরিচে রাখুন।
গরম চায়ের কাপটি কাছে নিয়ে আসুন।
(পেট সমান টেব
আহা আলবাব তুমি আর কত বেচাইন হবে!
নাতাশার নানীর গাড়ীতে বসে বসে তুমি
এইসব উকিল মুহরির দৌড় দেখেই আগামী
দিন কাটানোর জন্য প্রস্তুতি নাও...
আহমেদ নূর বেটা চাঁদাবাজ বটে!
তার আছে আরও অনেক জারিজুরি
তুমি তার কত পাশ টানবে?
তোমার আর কতটুকুনই আছে ক্ষেমতা?
নাতাশার নানী এই গাড়ী কিনেছিল বলে,
তার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দরকার বলেই
আজ এই কাচারির উঠানে তুমি আরামে
বসে আছ আর গেজাতে গেজাতে গিলছ
আমের আচার, গোপালের পান।
বিকেলের নীল প্রিজনভ্যানে দাগী অপরাধীর ভিড়ে
ভাঙ্গা পা টানতে টানতে মৌলির বাবা যখন মিশে
যান, তার আগে পত্রিকায় মোড়ানো মিহিদানা মিস্টি
হাতে পেয়ে লোকটার চোখ কেমন জ্বলজ্বল করে উঠে...
আহা আলবাব তুমি আর কত বেচাইন
গত সপ্তাহ পুরোটাই মারাত্মক ঝামেলা গেছে। ঝামেলার সাথে সাথে মজাও হয়েছে প্রচুর। শিলার বিয়ে হয়ে গেল রোমেলের সাথে। রোমেল ব্যাংকএশিয়ায় জয়েন করেছে, প্রোবেশনারী পিরিয়ড শেষ করে পার্মানেন্ট হয়েই মাথায় পাগড়ি। শিলাকেও অনেকটা শান্ত মনে হলো, আগের সেই অস্থিরতা নেই। রোমেলের সাথে পরিচয় হবার পর পাল্টে গেছে অনেক কিছু। গায়ে হলুদ, বিয়ে বৌভাত মিলিয়ে মোটামুটি ফেসটিভ-উইক গেলো। বেলা ভেবেছিল এই সপ্তায় সরণের অন্তত: দুটো মেইল জমা হবে। ইয়াহু-জিমেইল চেক করে দেখে কোন নতুন মেইল নেই। খানিকটা মন খারাপ হয়। সরণের মেইল না পেয়ে মন খারাপ করার কোন কারণ বেলা খুঁজে পায় না, মনে হয় এ এক নিছক ছেলেমানুষী। ইন্টারনেট এন্টিটির কাছে অহেতুক প্রত্যাশা। এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ দেখা যায় - সরণ জিম
ইকবাল সাহেব প্রশ্নকর্তার মুখের দিকে আরেকবার চাইলেন।অফিসে এই ছেলেটার বদনাম আছে।বোর্ডরুমের মিটিঙে অধিকাংশ সময় গন্ডগোল লাগায় ছেলেটি।শুরু হয় আপাত: নিরীহ প্রশ্ন দিয়ে।তারপর প্ল্যানমতো ফাদে ফেলে দেয়।বিরক্তিকর।
ইদানিং এই নতুন স্টাইল শুরু হয়েছে।দেশী কোম্পানিগুলো বড়ো হচ্ছে,সেগুলোকে এটা কর্পোরেট আদল দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে।এইচ.আর ডিপার্টমেন্ট হয়েছে।লোক নিতে হলে দস্তুরমতো ইন্টারভিউ নিয়ে লোক নিতে হয়।ছোট শালা,ফুফাতো ভাই,বোনের অকম্মা স্বামী এদেরকে চট করে নিয়োগ দেয়া যায় না।
দেশী কোম্পানিতে এতো ঢং কিসের।খাল নাই কুত্তা,নাম তার বাঘা।
"আমি জানতে চেয়েছিলাম কেন আমরা ৩ নাম্বার ক্যান্ডিডেটকে নিচ্ছি না।"ছেলেটি প্রশ্নটি আবার মৃদুস্বরে উচ্চারন করে।
উত্তর দে
হ্যালো মিস্টার রাজর্ষি:
কেমন আছেন? কেমন কাটছে দিনকাল? 'সবিনয় নিবেদন' পড়িনি। তবে অডিও শুনেছি। কী নাম যেন - মফিদুল ইসলাম আর শান্তা শ্রাবন্তীর অ্যালবাম মনে হয়। সবিনয় নিবেদনের মনে রাখার ব্যাপার হচ্ছে - সম্বোধনগুলো; অপরিচেতষু, সুজনেষু এরকম আরো দারুণ দারুণ কিছু শব্দ। বুদ্ধদেব গুহের 'মাধুকরী' নাকি খুব আলোচিত উপন্যাস। আপনি পড়েছেন? আমি একবার পড়া শুরু করেছিলাম, কঠিন মনে হয়েছে। তাই আর আগ্রহ পাইনি। বুদ্ধদেব শিকারী মানুষ। খালি বন জঙ্গল আর পাহাড়ে ঘুরে বেড়ায়। উপন্যাসগুলোও সেরকম। আচ্ছা, আপনাকে রাজর্ষি বললাম বলে রাগ করলেন না তো? রাগ করলে কিছু করার নেই, আমি ঋতু রায় না। আমি বেলা, আপনি বড়জোর বেলা বোস বলতে পারেন। অতটুকু অধিকার আপনাকে দিলাম। হি: হি: হি:।
ভাল
লার্জ পেগ সাম্বুকা,গুটিকয় কফি বিন
জ্বলেছে নীলাভ শিখা,আমি অর্বাচীন
কিছুটা প্রতীক্ষা, - পানের নিয়ম তাই
নিয়ম ভূল করে আগুনে হাত বাড়াই ।
আগুনে পুড়েছে হাত,স্বদেশের মুখ
বহুবর্ন প্যাকেট মোড়া যুগের অসুখ
অসুখ খেয়েছে প্রেম, স্বপ্নেরা খুন
সেই শোকে পান করি তরল আগুন ।
***২১ মে শেষ প্রহর । বিলেতের ঘড়ি ।
চাঁদের আলোয়
ভাসত যখন আঁধার ঘেরা তোমার শহর -
ছিল কি তা
ভীষণ রকম মিথ্যে কিছু ভ্রমের প্রহর?
রাতটা যখন
আনত কিনে খুব অসহায় অবুঝ সে ভোর -
তারপরেও
ভাঙত না ছাই কেন আমার জ্বরমাখা ঘোর?
আমার এ হাত
তোমার হাতের সাথে যখন বলত কথা -
কী ছিল তা?
স্বপ্ন? না কি একটু হলেও বাস্তবতা?
আমায় যখন
হ্যাঁচকা টানে জড়িয়েছিলে শক্ত হাতে -
অনুভবে
ভুল ছিল কি সুপ্ত আমার কল্পনাতে?
এ পিঠ ও পিঠ
পাশাপাশি আমরা যখন উথাল-প