হাই,
একটা অনুরোধ করছি। উল্টাপাল্টা খেয়ালে আপনাকে কী কী সব কথা বলে একটা মেইল ৩ বার পাঠিয়েছি। প্লিজ, ওগুলো মুছে দিবেন। কথাগুলো খুব সিরিয়াসলি নিবেন না। আই অ্যাম রিয়েলী স্যরি।
< বেলা >
-----------------------------------------------------
বেলা:
আপনি রুদ্রের কবিতা পড়েছেন? রুদ্র মানে রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। কবিতা না পড়লেও - 'ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো' নিশ্চয় শুনেছেন। ওটা রুদ্রের লেখা।
"নিরবতা কোনও এক উদাসীন পাথরের নাম -
অহল্যা সে কোনদিন জানি আর হবে না জীবন।
হবে না সে পরিজাত, কোনওদিন হবে না সকাল,
দিন আর নিশিথের সন্ধিক্ষণে থেকে যাবে জানি -
অহল্যা সে চিরকাল থেকে যাবে, রক্ত মাংশ নিয়ে।
যাবে না সে দগ্ধ
বেলা:
আপনার দুটো মেইল পেলাম।
আপনার কী কোন কারণে মন খারাপ? আমার কেন জানি অমনটা মনে হলো।
একা একা কেন লাগবে?
আপনার ফ্রেন্ডরা কেমন আছে?
ওদের সাথে সময় কাটান। ভালো লাগবে।
আমাদের এ শহরে - ঘুরার জায়গা আর কতই বা আছে?
বন্ধুদের সাথে আড্ডাটাই আসল।
কীভাবে কীভাবে সময় কেটে যায়।
আমার এখন সময় কাটানোটাই বিরক্তিকর।
বেকার জীবন। চাকরির চেষ্টা করে যাচ্ছি। কবে হবে জানি না।
"কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে" আমার খুব প্রিয় একটি গান। গানটি কে লিখেছে জানেন? কাওসার আহমেদ চৌধুরী, ঐ যে প্রথম আলোর ছুটির দিনে ম্যাগাজিনে সপ্তাহের রাশিফল লিখে। আরেকটি মজার ব্যাপার শেয়ার করি। হুমায়ুন আজাদ স্যারের একটা ইন্টারভিউ পড়ছিলাম, উনি বলেছেন - বাংলা ভাষায় এখনো পর্যন্ত যত
হ্যালো,
আজ ৭ সেপ্টেম্বর, আজ আপনার জন্মদিন। শুভ জন্মদিন। আপনার ফোন নাম্বার জানা থাকলে আজ অবশ্যই ফোন করে আপনাকে উইশ করতাম। আপনার ফোন নাম্বার জানি না, আমি নিজেই অবশ্য অপরিচিত মানুষকে ফোন নাম্বার দেয়া পছন্দ করি না। এনিওয়ে, আমার জন্মদিনে আপনি চমৎকার ই-কার্ড পাঠিয়েছেন, সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে একটি মেইল করেছিলাম। পেলেন কি-না জানি না। ওহ, আপনি তো আবার অসামাজিক মানুষ, মেইলের রিপ্লাই করেন না। হি হি। তো মিস্টার অসামাজিক, আজকের জন্মদিনে কী করছেন? অসামাজিক হয়ে এখনো কোন গার্লফ্রেন্ড জুটাতে পারেননি। দিন কেটে যাচ্ছে একা একা। ব্যাড লাক! আই ফিল পিটি ফর ইউ! লোল !!!
যাক, জন্মদিনে অনেক খোঁচা দেয়া কথা বলে ফেললাম। প্লিজ ডোন্ট মাইন্ড! কততম জন্মদিন গেলো? ততগ
আচ্ছা,দেশে মুসলমানদের মাঝে ইসলামী নাম রাখার রেওয়াজ।ঘরে ঘরে মুজিব,রাসেল এই সব নাম আছে।জিয়া কিংবা তারেক নামটিও খুবই কমন।এমনকি গাদ্দাফী কিংবা সাদ্দাম নামটিও অপ্রচলিত নয়।
কিন্তু গোলাম আযম নামে কোন তরুনের দেখা আমি কোনদিন পাই নি।
৭১ সালের পর কি দেশে আর কোন মানুষের নাম গোলাম আযম রাখা হয় নি?এতো সুন্দর একটি ইসলামী নাম দেশে প্রচলিত নয় কেন?
মানুষের পাশাপাশি হাজার হাজার জামাতি এবং তাদের ছানাপোনার সাথেও আমার পরিচয় হয়েছে,কিন্তু একজন মানুষকেও দেখিনি গোলাম আযম নামটি রাখতে তার কোন প্রিয় শিশুর জন্য।
কারনটি কী?
গোলাম আজম, নিজামী,মুজাহিদী, কামারুজ্জামান- এই গংয়ের ভেতরে মিল কিসে কিসে?
এ উতত্রের জন্য কুইজ মাস্টার হতে হয়না, দালাল ও দালালের বাচচা না হলেই চলে ।
এরা সবাই দালাল এটা একটা মিল । আরেকটা মিল এদের টুপি, দাড়ি আছে । এবার এই দালাল চরিত্রগুলো চিত্রায়ন করতে গেলে-নাটকে গল্পে সিনেমায়, দাড়ি টুপি দেখানো হলে- সেটা ইসলাম বিদ্বেষ হয়ে যায় কোন মজমায়?
নাজিদের চিত্রায়ন করতে গেলে যেমন স্বস্তিকা আসবে, আসবে ডানহাতের স্যালুট তেমনি '৭
এক.
সি.আর.পি বলে একটি প্রতিষ্ঠান আছে সাভারে।এর খবর আমি প্রথম পাই দেশের বাইরে এক ডাক্তারের কাছে। পরিচিত এক পঙ্গু লোকের চিকিৎসার ব্যাপারে তার সাথে আলাপ করছিলাম,তিনি খুব অবাক হয়ে বললেন, তোমার দেশে সি.আর.পি থাকতে তুমি রোগীকে এখানে নিয়ে আসতে চাও কেন?
বিদেশী ডাক্তারের কাছে প্রথম শুনলেও পরে বেশ কয়েকবার এই প্রতিষ্ঠানটির কথা আমি জেনেছি।
মূলত:পক্ষাঘাতগ্রস্থ লোকদেরকে সেখানে খুবই যত্ন সহকারে চিকিতসা দেয়া হয়।চিকিতসা প্রায় সব সময়ই আন্তর্জাতিক মানের বলে শুনেছি ।
ভেলরি টেলর নামের এক ইংরেজ মহিলা ,যিনি নিজেই ফিজিও থেরাপিস্ট তিনি এই প্রতিষ্ঠানটি চালু করেছিলেন ১৯৭৯ সালে।
খুবই ছোট্ট আকারে এর শুরু।সেই থেকে ভেলরি প্রচন্ড পরিশ্রম করে প্রতিষ্ঠান
ৎৎ
আমি সেই অবহেলা
আমি সেই নতমুখ
নিরবে ফিরে যাওয়া
অভিমানভেজা চোখ,
... আমাকে গ্রহন করো ।
ৎৎ
আমার সাফল্য নিখিল জুড়ে আছে
ব্যর্থরাতের গ্লানির সাথে তুমি,
তোমার প্রিয়ছায়ার তলে
ক্লান্তিটুকু রাখি,
রাখি আমার বিষন্নতাগুলো
------------------------------------------------------------
কতো দীর্ঘদিন রুদ্র পড়িনা ।
'কিছুই সহজ নয়, কিছুই সহজ নেই আর!'
১৬ মে ।প্রথম প্রহর ।
বিলেতি ঘড়ি ।
মেয়ে পক্ষের আত্মীয় স্বজন বলে যে আলাদা কিছু নেই,সেটা কাজীকে বুঝানো যায় না।মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই,সে হিসেবে চিপকের আব্বা যে আমার ভাই এই যুক্তিতেও কাজীর মন টললো না।তিনি আমাকে বললেন,সেক্ষেত্রে আপনি কষ্ট না করে আপনার ভাইকে খবর দিয়ে নিয়ে আসুন।আমি বললাম,চিপকের আব্বা একজন সাবেক এম.পি,এ মুহূর্তে ত্রানের টিন সংক্রান্ত একটু জটিলতায় আছেন,
তবে মেয়ের চাচা বিয়ের আসরে হাজির আছেন।কাজী কাগজকলম বের করে বললেন,তার নাম বলেন।কৌশিক তখন পাশের রুমে ছিলেন,তিনি বেরিয়ে কাজীর সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন,ইশারায় কৌশিককে দেখিয়ে দিলাম।আমি কৌশিক আহমেদ নামটি বলে দিলাম।
কিন্তু গোল বাধালেন,চিপকের এই চাচা নিজেই।তাকে যে চাচা হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে,সেটি তো আর জানেন না।চ
এক.
আমি যেমন কম্পুকানা ,জামাল ভাষ্কর তেমনি নুনকানা।তার জ্বিহবার টেস্ট বোর্ডে নিশ্চয়ই মারাত্মক কোন সমস্যা আছে,তার নুনের আন্দাজ জ্ঞান কম।বাসায় ঢুকে দেখলাম,মৌসুম অলরেডি বিয়ের আসন পেতে রেখেছেন,আর জামাল ভাষ্কর বিপুল উদ্যমে মাংস রান্না করে চলছেন।পোলাও রান্না নাকি অলরেডি শেষ।আগেই বলেছি,জামাল ভাষ্করের স্বাদজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন আছে,তাই সারিয়াকে দায়িত্ব দেয়া হলো রান্নার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে তদন্ত চালাতে।
সারিয়া একবাটি চাল নিয়ে আসলেন,সেগুল