হ্যালো,
খুব ব্যস্ত নাকি? অনলাইনে দেখছি না একদম। আমরা বন্ধুরা প্রায় প্রতি রাতেই নেটে থাকি। ইয়াহু ম্যাসেঞ্জারে কনফারেন্স হয়। ভেবেছিলাম আপনার সাথে কথা হবে। সপ্তাহ পার হলো, কথা হলো না।
মেইল করছি - ধন্যবাদ জানাতে। সামিনা চৌধুরীর গানটা শুনলাম। খুব ভালো লাগলো। ঐ ফোল্ডারে আরেকটা গান পেলাম - 'জায়গা কিনবো কিনবো করে পেয়ে গেলাম জায়গা শুদ্ধ জমি'। এ গানটাও সুন্দর।
এনিওয়ে ভালো থাকবেন। ম্যাসেঞ্জারে আসলে দেখা হবে। আর নিজেকে ইনভিজিবল করে রাখলে - মেইল করে জানাবেন ধন্যবাদটুকু পেলেন কি-না। গুড বাই।
< বেলা >
--------------------------------------------------------
বেলা:
আপনার মেইল পেলাম।
পেলাম মানে আজকেই পেলাম।
তারিখের হিসেবে পাঁচদিন পর রিপ
বিকেল থেকে মেজাজ খিটমিটে হয়ে আছে। অহনা-চৈতি-শীলা সবাই গেছে সুমাইয়ার কাজিনের গায়ে হলুদে। বেলাও যাওয়ার কথা ছিল। সকালে হঠাৎ নানু অসুস্থ হয়ে গেল, যাওয়া হলো না। আম্মু যেতে দিলো না।
একটু আগে অহনা এসএমএস করেছে - 'তোকে খুব মিস করছি, খুব মজা হচ্ছে, শীলা অলরেডি ফলেন উইথ অ্যা সাদা বিড়াল, রাতে ফোনে ডিটেইল বলবো'।
শীলার প্রেমে পড়ার অভ্যাস খুব বেশী। মুহুর্তে মুহুর্তে প্রেমে পড়ে যায়। একবার বেইলী রোডে পাশের রিক্সার ছেলেকে দশ-বিশ সেকেন্ড দেখেই প্রেমে পড়ে গেলো, পরের কয়েকদিন কেটেছে ঐ ছেলের মোহে। এই প্রেম-পড়ুনী বান্ধবী শীলাকে নিয়ে অনেক মজার মজার গল্প চালু আছে।
জিটিভিতে 'কসম সে' সিরিয়াল চলছে। বেলার দেখতে ইচ্ছে করে না। ভাবে - কিছুক্ষণ অনলাইনে থাকা যায়
এক.
ছোট্ট একটা শহর।পাশাপাশি দুইটি বাড়ি। রাত ১০টা ।পাড়াগায়ের জণ্য বেশ রাত।মেয়েটি জানালায় দাড়িয়ে চুল আচড়ায়।ছেলেটি ও এসে দাড়ায়।ত্রস্ত চলাচল।দুজনের মাঝখানে লোহার গরাদ।
ইতি উতি উকিঁ।মেয়েটি জানতে চায়,`কেমন আছো?' ছেলেটি তাকিয়ে থাকে চুলের দিকে। আনমনা হয়ে বলে `এতো লম্বা চুল!' হাত বাড়িয়ে চুলে ডুবাতে চায় আঙুল,হাত আটকে যায়।মাঝখানে লোহার গরাদ।
মেয়েটি হেসে বলে,নেবে?
দাও।
মেয়েটি এক গোছা
১.
তখনও বুঝিনি আকাশে অতটা উজ্জলতা ছিল। হঠাত করেই ইলেকট্রিসিটি চলে গেল। মুমু বল্ল সে ছাদে যাবে। বন্ধ ঘরে তার ভাল লাগছেনা। দম বন্ধ হয়ে আসছে। বাধ্য হয়ে তাই বেরিয়ে আসি। মোমের আলোয় যতটা দেখা যায় ততটা দেখে সিড়ি বাইতে থাকি। একহাতে মোম অন্য হাতে ধরে রাখি মুমুকে।
সিড়িটা বেশ খাড়া। অন্যবাড়ির দেড় সিড়ি সমান এর একেকটা সিড়ি! মুমুকে বলি, কষ্ট হচ্ছে উঠতে। ম্লান হাসি হেসে বলে, তুমি জিজ্ঞেস করতেই উধাও হয়ে গেল! আমি দাঁড়িয়ে যাই। ওর চোখে চোখ রাখার চেস্ট
জানালার ফাঁক গলে দেখা ঘাসের পাপোষে লেপ্টানো রৌদ্রের উজ্জ্বলতা যতটা মনে ধরেছিল রাস্তায় বের হয়ে আসার পর তা আর স্থায়ী হয়না বরং ফুটপাত থেকে ঠিকরে আসা আলোর গনগনে উষ্ণতাকে কষে থাপ্পড় লাগাতে ইচ্ছে করে আজাদের তারচে‘ সকালের মিঁউ মিঁউ বেড়ালছানার মত উম উম নরোম আলোটাকে সহানুভূতিমাখা বলে মনে হয় ওর হয়তোবা ওর পাংচারড্ মনের আকুল অবস্থার সাথে খাপ খায় বলেই। গলায় আটকানো কাঁটার মতো মনপিন্ডের ভেতরে খচ খচ করে খোঁচাচ্ছে মিথ্যাটা এখন, কেন যে হঠাত্ করে নিজের এথন
জানালার ফাঁক গলে দেখা ঘাসের পাপোষে লেপ্টানো রৌদ্রের উজ্জ্বলতা যতটা মনে ধরেছিল রাস্তায় বের হয়ে আসার পর তা আর স্থায়ী হয়না বরং ফুটপাত থেকে ঠিকরে আসা আলোর গনগনে উষ্ণতাকে কষে থাপ্পড় লাগাতে ইচ্ছে করে আজাদের তারচে‘ সকালের মিঁউ মিঁউ বেড়ালছানার মত উম উম নরোম আলোটাকে সহানুভূতিমাখা বলে মনে হয় ওর হয়তোবা ওর পাংচারড্ মনের আকুল অবস্থার সাথে খাপ খায় বলেই। গলায় আটকানো কাঁটার মতো মনপিন্ডের ভেতরে খচ খচ করে খোঁচাচ্ছে মিথ্যাটা এখন, কেন যে হঠাত্ করে নিজের এথন
অত:পর বিনিয়োগ আসছে। বিনিয়োগের মিটারে মাপা হচ্ছে সরকারের সাফল্য,অর্থসচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ,অর্থমন্ত্রীর মেয়াদ।বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান মনের সুখে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দেশ থেকে দেশে,প্রথম আলোর পিচ্চি সাংবাদিকরা টাটা নগর দেখে এসে যে বর্ণনা দিচ্ছে, বেহেশত ঘুরে এসেও সাঈদী সেই বর্ণনা দিতে পারবেন না তার রসনায়,সেমিনারে দেবব্রত বাবু গ্রাফ একে আমাদের চোখ ঝলসে দিচ্ছেন; আর আমরা ভেবে যাচ্ছি,আর মাত্র কয়েকটা দিন,একটু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা,একটু অবকাঠামোকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা,তারপরই শুরু হবে দুধে ভাতে পেটপুরে রাম ঢেকুর।
আমাদের কেউ বলছে না,বা আমরাই শুনতে আগ্রহী নই,আমরা চাইও না ইতিহাস পড়তে ,(অন্যদের তো পরের কথা,আমাদের নিজেদের ইতিহাস পড়লেও পরষ্পরকে গালি
অধিকৃত উপনিবেশগুলোতে চরম নিষ্ঠুরতার উদাহরন সৃষ্টি করলে ও বৃটিশরা নিজেদের ভু-খন্ডে, নিজেদের জন্য একটা জবাবদিহি মুলক বিচার ব্যবস্থা সফল ভাবে তৈরী করেছে অনেক আগেই ।
সেই ১২১৫ সালের 'ম্যাগনা কার্টা' তে ব্যক্তিস্বাধীনতার ঘোষনা এসেছে যা ' হ্যাবিয়াস কর্পাস' নামে বহুল পরিচিত । এর মুল বক্তব্য হচ্ছেঃ
কোন অবস্থাতেই একজন সাধারন নাগরিককে বিনা বিচারে আটকে রাখা যাবেনা ।
কালক্রমে বৃটেন পরিনত হয়েছে ব্যক্তিস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার
আমিই প্রথম এবং আমিই শেষ
আমিই সম্মানিতা এবং আমিই ধিক্কৃতা
আমিই পতিতা এবং আমিই পবিত্রা
আমিই স্ত্রী অথচ আমিই কুমারী
আমিই মাতা এবং আমিই কন্যা
আমিই আমার মায়ের সন্তান-সন্ততি
আমিই বন্ধ্যা এবং শত সন্তানের জননী
আমারই বিবাহ-উত্সব ছিল ভুবনখ্যাত
এবং আমিই কোনো স্বামী গ্রহণ করিনি
আমিই ধাত্রী এবং যে কিছুই ধারণ করে না
আমিই আমার প্রসব বেদনার শান্তনা
আমিই বর এবং আমিই কনে
আমার স্বামীই আমাকে জন্ম দিয়েছে
আমার বাবার আমিই মা এবং
আমার স্বা
( সুমেরু'র ভয়ে, নেট চুরি করে ছবি ঝোলানোর খায়েশ বাদ দিয়ে দিলাম )
তিনটে শকুনী ।
বৃহৎ বৃক্ষে উপবিষ্ট ছিলো তারা ।
বৃক্ষ ছিলো বৃহত্তম খাঁচায় পুরা ।
পুর্ন উদরে তৃপ্ত শকুনীগন,অতীব মহান
আমাদের করের টাকার উত্তম সম্প্রদান ।
তারপর, পরবর্তী খাঁচা দর্শন ।
একটি মানুষ ।
নিজের বিষ্ঠাই তার আয়োজন ।
চিনলাম ।
পাড়ার সাবেক ডাক পিয়ন ।
প্রতিটি দরজায় যে কড়া নাড়তো,
আর বলতো- 'শুভ দিন আসুক,সবার জন্য '
হুররে!আমাদের শুভ দিন এসে গেছে । ।
***লেখার অণুবীজ সংগৃহীত, চার্লস বুকস্কির কবিতার খামার থেকে ।