এক পথিক হেটে যাচ্ছিলেন পথ দিয়ে।পথে দেখতে পেলেন এক চড়ুই পাখি চিৎ হয়ে শুয়ে আছে তার পা দুটি শূণ্যে মেলে দিয়ে।
ফেরার পথে পথিক আবার সেই একই দৃশ্য দেখলেন।এবার পথিক কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলেন,'' চড়ুই,কী হয়েছে তোমার?
চড়ুই বললো,''আমি খবর পেয়েছি,আজ আকাশ ভেঙ্গে পড়বে পৃথিবীর বুকে।আমি তাই পা আকাশের দিকে তুলে দিয়েছি।আকাশটাকে ঠেকাতে হবে।''
পথিক হেসে বললেন,''বোকা চড়ুই,তুমি কি মনে করো তোমার কাঠির মতো সরু ঐ দুইটি পা দিয়ে তুমি আকাশকে ধরে রাখতে পারবে?পারবে পতন ঠেকাতে?''
চড়ুই বললো,'' তা হয়তো পারবো না।তবু মৃত্যুর আগে আমি এ সান্তনা নিয়ে যাবো,আমি আমার সীমিত সাধ্যের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম।''
(নারীকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে একক ঈশ্বরের প্রবক্তারা-৩)
মূল কথা ছিল নারীপ্রধান বা মাতৃতান্ত্রিক একটা সমাজ যদি আদিকালে থেকে থাকে তবে সে সমাজে মাতৃমূর্তি বা নারী-ঈশ্বর বা দেবীদের উপাসনা হওয়ারই কথা। এখন আমরা একক ঈশ্বরের ধারণা পৃথিবীতে চালু হওয়া ও তার সাথে মহাদেবী বা নারী-ঈশ্বর পূজার বিরোধের সন্ধান করতে পারি।
বাইবেল ও কোরানে আদম-ইভের যে ঈশ্বরের গল্প আমরা পাই তার বয়স মানুষের চেয়ে অনেক কম। নবী মুহাম্মদকে আদমের ২৫ তম প্রজন্ম ধরে আদম ও তার সন্ত
এক(গাজিঁতা সংস্করন)
নি:শ্বাসের কার্বন বৃক্ষ হন্তারক ,কে বললো ?
আরিফের দীর্ঘশ্বাসে তো গাছেদের মড়ক লাগলো না।
এক(হুশ সংস্করন)
নি:শ্বাসের কার্বন বৃক্ষ বর্ধক ,কে বললো ?
আরিফের দীর্ঘশ্বাসে তো সুন্দরবনের গাছগুলি সাতআসমানের উপরে গেল না এখনো।
দুই.
একটা জীবন যদিও ডাকে,
আরেক জীবন আটকে রাখে;
হায় আরিফ,তুমি পড়ে গেছ দুই সতিনের ফাকে।
তিন.
এইটুকু পথ যাবে বলে,এতো জোরে দৌড়েছিলে?
অথচ আরিফ,জীবনকে নিয়ে একদিন তুমি কতো কিছুই না ভেবেছিলে।
(অদ্য রাতে সাধক শন্কুর আগমনে ব্লগে যে ধোয়াঁশা সৃষ্ঠ হইয়াছে,তাহাতে প্যাসিভ ধুমপানে দুষ্ট হইয়া কিছু শের ঝাড়িয়া দিলাম।কাব্যামোদীরা পড়িয়া ব্যথা পাইলে এক চিলিম টানিয়া যায়েন অধমের সাথে)
ব্লগীয় অপরবাস্তবতায়, ঠিক সে রকম বন্ধুতা গড়ে উঠে কিনা জানিনা । জানিনা, অথবা জানি ।
সামহোয়ার ইন কে ঘিরেই তো এরকম জানা শোনা হয়ে গেলো বেশ । কিছু নতুন বন্ধুকে পেয়ে যাওয়া, কোন কোন পুরনো বন্ধুকে ফিরে পাওয়া ।
এই সব গল্প ভিন্ন মোড়কে করা যেতে পারে আরেকদিন ।
আজ শুধু বলি, সেই শুরুর দিনে যার সাথে বন্ধুতা গড়ে উঠতে দ্বিধা হয়নি একেবারেই, প্রিয় ব্লগার 'হযবরল' সেই জন ।
আজ 'হযবরল' এর জন্মদিন ।
শুরুর দিকের অনেকগুলোর দিনে, আমরা কহলীল জিব্রান নিয়ে মেতে ছিলাম ।
আজ ক ছত্র জিব্রান প্রিয় হযু'র জন্য আবারো, সাথে কফিবীনের উপর জ্বলে উঠা নীল আগুন সহ সাম্বুকা ( পেগ আনলিমিটেড) .........
--------------------------------------------------------------
আমাদের শ্রমিকের সংখ্যা যতই হোক না কেনো তারা অধিকাংশই যে পরিমাণ পারিশ্রমিক পায় তাতে তাদের কোনোমতে বেঁচে থাকাটাও কষ্টকর। শ্রমশোষিত হওয়া এবং সরকারের বিমাতাসুলভ মনোভাবের কারণে যখন দেশের শিল্পায়নের পরিমাণ কমছে- এবং যেহেতু সরকার কোনোভাবেই পৃষ্ঠপোষকতা করছে না তাই চালু কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে- প্রাকৃতিক উৎসে শ্রম দিয়ে জীবনধারণ করা মানুষের জন্য দুর্ভোগ হয়ে এসেছে প্রাকৃতিক উৎসগুলো ক্ষীণধারা হয়ে যাওয়ার বিষয়টা-
এ সময়ে উদ্যোক্তাদের ভেতরের ঐক্য একটা বিষয় নিশ্চিত করেছে- তারা সবাই শ্রমশোষণের নিমিত্তে একটা কৃত্রিম নীতি নির্ধারণ করে দিয়েছে- শ্্রমবাজারে এখনও নারী পুরুষ বৈষম্য আছে- শিশু নারী বৈষম্য আছে- এসব মিলিয়ে আমাদের হঠাৎ করেই একটা মানবিক মজুরি আন
নিলুফার বকতিয়ার দানবরাষ্ট্র পাকিস্তানের পর্যটন মন্ত্রী ।
২০০৫ এর কোন এক সময় ফ্রান্সে এক প্যরাসুট জাম্পে অংশ নিয়েছিলেন । উদ্দেশ্যটা মহৎ ছিলো । কিছুদিন আগে পাকিস্তানে ঘটে যাওয়া ভুমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থ সংগ্রহ ।
বেচারী নিলুফার এর আগে কোনদিন প্যারাসুট জাম্পে অনশ নেননি । তাই ভীষন এক্সাইটেড ছিলেন । এক্সাইটমেন্টের পনেরো কলা পুর্ন হলো, যখন সফল অবতরনের পর তিনি ফরাসী দেশীয় প্রশিক্ষককে আবেগে জড়িয়ে ধরলেন ।
পনেরোর পর ষোলো, গানিতিক নি
(উৎসর্গ: সহব্লগার শুভ আর আলভী।)
এক.
৩৩তম বি.এম.এ লং কোর্সের জন্য আমরা সবাই খুব উদগ্রীব ছিলাম।তখন ফরম ছিল না,সাদা কাগজে দরখাস্ত পাঠালেই ঝকঝকে ইন্টারভিউ কার্ড চলে আসতো নিজ ঠিকানায়। ১৯ বছরের এক কিশোরের কাছে জীবনে প্রথম ইন্টারভিউ কার্ড!কী উত্তেজনা,কী উত্তেজনা!!
আমরা অনেক খুজেঁ খুজেঁ বের করলাম আবিদ ভাইয়ের ঠিকানা।তিনি তখন সেকেন্ড লেফলেটেন্যান্ট।আমাদের
স্কুলের দুই ব্যাচ সিনিয়ার খুবই সাধারন স্টুডেন্ট।কিন্তু আর্মি অফিসার হিসেবে তার চাকচিক্য আমাদের মুগ্ধ করে অনুক্ষন।
দুইদিন পর আবিদ ভাই ফিরে যায় বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে।আমাদের উতসাহও ক্রমশ মিইয়ে যায়,আমরা ব্যস্ত হয়ে যাই কতো না আয়োজনে।উতসাহ মিইয়ে যাওয়ার কথাটা আমরা পরষ্পরের কাছে স্বীকার ক
ব্লগে ইদানিং হুড়োহুড়ি,লড়ালড়ি,খোচাখুচি বেড়ে গেছে মনে হচ্ছে।
খুনসুটি মজাই লাগেযতোক্ষন হজম করতে পারি।
তবে সেই ফাকে কিছু ভালো লেখা মিসও হয়ে যায় মাঝে মাঝে।
তেমন কিছু কি মিস করে যাচ্ছেন কেউ? ''ব্লগ নিয়ে লেখা নয়,ব্লগে লেখা'' এই থিওরি মেনে চলে কিন্তু কিছু ব্লগার বেশ সুন্দর কিছু সিরিজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
পড়ছি মুহম্মদ জুবায়েরের ধারাবাহিক উপন্যাস 'পৌরুষ'।প্রতিদিন নিয়মিত কিস্তি আসছে বলেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যাচ্ছে।খুব হালকা চালে লেখা ঝরঝরে গদ্য।কাহিনী এখনও দানা বাধে নি,তবে টের পাচ্ছি লেখক গুছিয়ে আনছেন তার মূল গল্পের দিকে পাঠকের মনোযোগ।
অমিত আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প 'গন্দম' কিন্তু প্রতিদিনই উত্তেজনা ছড়িয়ে রাখছে।খুব দ্রুত গল্প বদলে যাচ্ছ
নিজেদের নীচতায়, নিজেদের হিংস্রতায় বিষন্ন বিমুঢ় নির্বাক হয়ে যাই সময় সময়, কখনও নির্মম আক্রোশ অনুভব করি।কখনও নৃশংস অমানবিক বর্বর আচরণ করতে ইচ্ছা করে।
গুয়ানতামো বেতে বন্দী নির্যাতন হচ্ছে এইসব বন্দী নির্যাতনের বিষয়ে পড়তে গিয়ে বন্দী অপরাধী ও রাষ্ট্র বিরোধীদের নির্যাতনের অতীত বর্তমান নিয়ে পড়েছিলাম মাঝে বেশ কয়েক দিন। আফ্রিকার আদিবাসীরা যুদ্ধবন্দীদের ধরে কেটে খেয়ে ফেলে- তবে এর পেছনেও একটা কুসংস্কার ভিত্তিক ব্যাখ্যা আছে-
মধ্যযুগে ইউরোপের বন্দী ও রাষ্ট্র দ্রোহীদের নির্যাতনের যান্ত্রিক কৌশল কিংবা সভ্যতায় অগ্রসর- অবধারিত ভাবে অসভ্য বর্বরতায় অগ্রসর চীনের অনুসৃত বন্দীদের নির্যাতন কৌশলের বর্ণনা পড়ে হতবাক, শিউরে উঠেছি।
আধুনিক যুগে বন্দী আর অপরাধীদের উ
নার্সের রুম থেকে বেরিয়ে রেস্টরুমে যাওয়ার করিডোরের বামপাশে যে বিশাল জর্জিয়ান জানালা তার খোপ খোপ কাঁচের ভেতর দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আজাদ বুঝতে পারলো দিনটা হঠাত্ই বদলে গেছে। ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসার সময় যে গুমোট ভোর দেখেছিল সেই রূপ বদলে আকাশ এখন আলোয় ঝলমল করছে আর সেই উজ্জ্বলতার টানেই কিনা আজাদ আরেকটু এগিয়ে যায় জানালার দিকে আরো খুঁটিয়ে দেখতে চোখ রাখে বাইরে, বিল্ডিংটার ছায়া যেটুকু ঘাসে পড়েছে তার রং ঘনসবুজ অথচ ছায়ার পর লনের বাকী ঘাস সূর্যের ছটায় জন্ডিস হলুদ