বাংলাদেশের রাষ্ট্র নীতিতে এখন মুক্ত বাজার অর্থনীতির গ্রহন, বাজার উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবিটা অনেক সময় অনেক ভাবেই উত্থাপিত হয়েছে, আমাদের নিজস্ব ভঙ্গুর অর্থনীতিতে বলিষ্ট না করে বাজার উন্মুক্ত করে দেওয়ার পন্থাটা আমার নিজের পছন্দ নয়, তবে এবারের বাজেটে আমদানি শুল্ক দিয়ে রাষ্ট্রীয় আয় বৃদ্ধির একটা প্রকল্প গৃহীত হয়েছে- এর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা শোরগোল তুলেছেন- তবে তাদের দাবিটা শুল্ক
সেই আমি ছাত্রদল করি। এর আগে কয়েকমাস জাসদ এর লগে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই আমাদের সিনিয়াররা একযোগে ছাত্রদলে যোগ দিল। বুঝে হোক আর না বুঝে হোক, আমরাও হয়ে গেলাম ছাত্র। তখন আমি নিতান্তই বালক।
কৈশোরের জিলেট চালানো হলদেটে চোরা চোরা মুখের কিশোর।
অথবা অকালপক্ক স্কুল-বালক।
বয়েসটা হয়তো সেরকম জরুরী কিছু নয়।
আরও বেশীই ধরি, যুবক, তিরিশ-মধ্য তিরিশ কিংবা চল্লিশ-পঞ্চাশের ধুসর চোখের মানুষ।
নিশ্চয়তা দেয়ার অথবা সীমারেখা টানার জটিলতা দূরে রেখে স্বীকার করি - আগ্রহটা হয়তো একেবারে কম না। দোষই বা কীভাবে কাকে দিই।
১। ভূমিকা
সরকারী বাঙলা কলেজে আমার সবচেয়ে বেশী পরিবর্তন হয়েছে। স্কুলে আমি ছিলাম নার্ডি পড়ুয়া টাইপের বোকাসোকা একটা ছেলে। কলেজে উঠে সেই খোলশটা ছাড়ানোর সুযোগ পেলাম।
সচলায়তনের প্রত্যয়ী কারিগর ও সচল সাথীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। মনে হচ্ছে সাথীসংগ্রহের প্রশ্নে সচলায়তন অন্যদের চেয়ে কিছুটা হলেও বাছাবাছি করবেন। একে অবশ্যই সাধুবাদ জানাবো।
চেহারা, চলন বলন ভালো লেগেছে। মনে হচ্ছে কাব্য,সাহিত্য, সুচিন্তার রস লুকিয়ে আছে চেহারার ভাজে ভাজে। আশা করছি সামনে চলনে, মননে আরো বেশী টসটসে হবে শরীর।
আমি মাঝে মাঝে এই ঘিঞ্জি শহরটাতে ডুবতে থাকি। খড়কুটো খুঁজতে থাকি ডুবতে ডুবতে। আমার ভেতর থেকে সব শ্বাস বেরিয়ে আসে, পালিয়ে যেতে চায় জাহাজের নেমকহারাম ইঁদুরের মত। চারিপাশে মানুষের মুখ ঢেউয়ের মতো নির্লিপ্ত নির্মম হয়ে এসে ঢেকে ফেলে আমাকে। আমি হাত তুলে খুঁজি কাকে যেন, প্রার্থনা করি কার কাছে যেন, ডুবে যাবার আগে এ শহরটা আমাকে, শুধু আমাকে একবার দাও।
মানুষের মননের মনীষার মঞ্জুষার মুক্তির মানে মানবের মহাজীবনের মুক্তি। এই মুক্তচেতনা যতই আধ্যাত্মিক মনে হোক না কেন, মানুষ তার বস্তুগত প্রয়োজন মেটাতেই বার বার এই মহাজীবনের দিকে ফিরে এসেছে। অনিশ্চয়তার আশঙ্কা এবং অপ্রাপ্তির সম্ভাবনা মানুষকে যে অনাকাঙ্খিত বিপদের দিকে ঠেলে দেয়, সেই অভিজ্ঞতা অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য মানুষকে বার বার তাগাদা দেয়।