প্রথমে বামে, তারপর ডানে। সামনে দিকটায় উপর-নিচ করে করতে হবে। ম্যাটাডোর থ্রি এঙ্গেল টুথব্রাশ দিয়ে উপরের পাটির হার্ড-টু-রিচ এরিয়ায় যখন ঘষাঘষি করছি তখন সাত্তার মামা খবরটি দিলো। মুখে টুথপেস্টের ফেনা জমে উঠলে আমি কিছুক্ষণ মুখ বন্ধ করে চুপচাপ থাকি, বড় বড় করে নি:শ্বাস নিই। কিন্তু সাত্তার মামার কথা শুনে চুপ থাকতে পারলাম না। ফুচ্চক করে কলগেটের ফেনা বেসিনে ফেলে চমকে গিয়ে বলি - 'কী বলো মামা? আসলেই?'
সাত্তার মামা তখন গরম গরম পরোটা ছিড়ে মুরগীর গিলা-কলিজার ঝোলে চুবিয়ে ডান হাতে মুখে তুলে দিচ্ছে, চোখ তীক্ষ্মভাবে বাম হাতে ধরে রাখা কাগজের উপর। বেসিনের পাশে ঝুলানো তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে আমি আবছা দেখতে পাই - মামার হাতের কাগজে ছক করা ঘর। পাশে গিয়ে বসলে মা
যদি আমার ভুল না হয়, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মুলনীতি গুলোর একটি হচ্ছে ' আল্লাহর উপর পূর্ন বিশ্বাস'
৭৫ এর পটপরিবর্তনের পর জিয়াউর রহমান সংবিধান সংশোধন করে এই মুলনীতি সংযোজন করেছিলেন ।
তো এই মুলনীতি কি বলে? আল্লাহর উপর যার পুর্নবিশ্বাস নাই? যার বিশ্বাস আছে ভগবান অথবা গড এর উপরে? অথবা কোন স্রষ্টাতেই যার কোন বিশ্বাস নাই?
সে তাহলে রাষ্ট্রীয় মুলনীতি মানছেনা? রাষ্ট্রীয় মুলনীতি না মানা তো রাষ্ট্রদ্রোহীতা? বাংলাদেশ রাষ্ট্রে তাহলে আল্লাহর উপর বিশ্বাস না রাখা কিংবা কোন সমালোচনা রাষ্ট্রদ্রোহীতা?
বেচারা ব্লগ এডমিন গন । এই জরুরী অবস্থায় তাদের এইসব হাস্যকর সিদ্বান্ত নেয়া ঠিকই আছে । পুঁটিমাছের জান নিয়ে পুকুরেই সাঁতার কাটা যায়, সাগর পেরোনো যায়না
তখন আমরা কজন বছর একুশের বিপর্যস্ত তরুন । বিপর্যস্ততা আমাদের বোধ ও বুনন নিয়ে । সহজে মুক্তি খুঁজে যারা, সেই বন্ধুদের কেউ কেউ মাদকের নেশায় বুঁদ হয়ে গেছে । আমরা ও অভিজ্ঞতা নেই কিন্তু মুক্তি পাইনা, এই সব ঠিক আপনে মনে হয়না, ভেতরে অন্য কেউ মন্ত্রনা দেয় অন্য কিছু করার ।
আমরা ক'জন সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু করি ছোটগল্পের কাগজ 'সহবাস' । জড়িত সকলে তখন পুরোদমে বেকার । বাপের ও পয়সা নেই দেদার । সেই ৯৭ সালে একফর্মার কাগজ বের করতেই খরচ চারহাজার টাকা!
টাকা তুলে ফেলা যায়, জটিল কোনো সমস্যা নয় । নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো এই তরুনের দলকে শহর সিলেটের লোকজন মোটামোটি 'ভালো' বলেই জানে । দু চারজন ব্যাবসায়ীর কাছে বিজ্ঞাপনের জন্য গেলেই খরচ উঠে আসে,এমনকি দু চার