১১
ঘরে ফিরে দিনু ভাইকে ফোন করি। দিনু ভাই থাকেন কানাডায় নায়াগ্রার কাছে একটি ছোটো শহরে। মন-মেজাজ ঠিক না থাকলে মাঝেমধ্যে তাঁকে ফোন করি, অনেক কথা বলি। যুদ্ধের সময় মিলিটারি তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলো ছোটো ভাই লিনু ও দুলাভাই আলতাফ মাহমুদসহ। দুই ভাই অর্ধমৃত অবস্থায় ফিরে এলেও আলতাফ মাহমুদের খোঁজ কোনোদিন আর পাও...
“এলে অবশেষে?”
কাজ থেকে বের হতে হতে সোয়া নয়টা বেজে গেলো। এরপর বাসে আরো চল্লিশ মিনিট।
“কোন ব্যাপার না। খাওয়া সব ঠান্ডা হয়ে গেছে। গরম দেবো? সবাই খেয়ে নিয়েছে। নিজের মনে করে নিয়ে খেয়ো কিন্তু।”
উহু। নিজের মনে করে খেয়ে ঠকবো নাকি? নিজের মনে করে খেলে তো এক প্লেট ভাত তিন দিন ঘুরবে। পরের মনে করে গোগ্রাসে গিলবো। দাওয়াত দেখে দুই বেলা না খেয়ে বসে আছি!
“আহা রে। ছাত্রজীবনে একটু কষ্ট করতেই হবে। আ...
তাসনীম খলিলের উপস্থাপনায় আব্দুল গাফফার চৌধুরীর লাইভ ব্রডকাস্ট শুনলাম দেশীভয়েসে। অনুষ্ঠানটি প্রকাশিত হয়েছে ই-বাংলাদেশ সাইটে। সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের তত্বাবধানে রাজনৈতিক সংস্কার আর মঈনুল হোসেনের নাড়ীর খবর সহ পাপেট সরকারের স্বরুপ বেরিয়ে এসেছে গাফফার চৌধুরীর আলোচনায়। ...
অবশেষে সচল হলাম। পড়ছিলাম অলৌকিক হাসানের পোস্টখানি।
বড়ই প্রীত হলাম হাসান মোর্শেদের মন্তব্যে:
"এই পরিবারের একজনের কোনো ভূমিকা যদি আরেকজনকে আহত করে সেটা চেপে না রেখে প্রকাশ করাটাই স্বাস্থ্যকর বলে মনে করি । এতে অন্যজন আহতবোধ না করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয়াটা আরো উত্...
পরেরদিন নাস্তাটা হলো জমজমাট। টেবিল উপচে পড়ছিলো নানারকম খাবার। জার্মানের খুব সুস্বাদু বিচিত্র রকমের ব্রেড, এর সাথে বিভিন্ন রকমের চিজ, প্যাটে, সালামি খেয়ে আমরা দিনের যুদ্ধের জন্য তখন তৈরি। কিন্তু এ্যানাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে জিগি। তাই আমাদের সাথে যাবে শুধু হেলেন। দল দ...
আমার সাংবাদিকতা জীবনের একটি অবিশ্বাস্য স্মরণীয় দিন হলো ১৬ জুলাই ২০০৭। দিনটি অনেকের কাছেও স্মরণীয়। আওয়ামী লীগের কাছে স্মরণীয় এই জন্য তাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে স্মরণীয়,তারা চাঁদাবাজীর মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে পেরেছেন। গ্রেফতার অভি...
১৯ বছর আগের সেইদিনগুলোতে ই-মেইল,মোবাইল ফোন আমাদের কল্পনাতেও ছিলোনা ।ল্যান্ডফোন ও বিরল ছিলো ছোট্ট মফস্বলে ।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বেডে শুয়ে বোন আমাকে চিঠি লিখে। 'জলদস্যুর দ্বীপ পড়া শেষ,মুসা আমানটা ভীষন পাজি, বেশীক্ষন পড়তে পারিনা-বুকে খুব ধড়ফড় করে,মাঝে মাঝে শ্বাস আটকে যায়'
আমি ও চিঠি লিখি-'এমিলের গোয়ে...
তারপর?
তারপর একদিন আমি এক বুক ধুকপুকানি নিয়ে পৌরুষের সকল অহংকার বিসর্জন দিয়ে হৃদয় লুটালাম সেই আরাধ্য মৃত্তিকা মানবীর চরণে। ভালোবাসার সাজানো ডালি নিয়ে দাঁড়ালাম তার সামনে, বললাম- সুচিত্রা, আমি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি কি আমার হবে? ক্ষণিক চুপ করে রইলো সে। তারপর কটাক্ষ ভরা দৃষ্টি নিয়ে ঘৃণার আগুনে জ্বলতে জ্...