গাদাগাদি ভিড়ে আমি দাঁড়িয়ে থাকি। আমার ঠিক পাশেই দাঁড়ান জননী
এক। পিঞ্জরায় বন্দি পাখি তার চোখ ভরা জলে তাকায় শীর্ন জননীর মুখে।
বড়ই আকুলি তার যদি ছুঁয়া যেত জননীর হাত, যদি সেই হাত একবার
আদরে আদরে তারে মায়ায় ভরিয়ে দিত...
মানুষের মুখ গুলো বড় অসহায় আর আমিও যেহেতু মানুষ তাই শুনি
তেলের লিটার আশি টাকা... চাল কেনাও বড় কষ্ট... তুই কেমন আছিস
বাপ... আব্বা রোজ রাতে কারা যেন ঘরের চালে ঢিল ছুঁড়ে...
এক দাগী আসামীর সাথে দুর্বল শরিরে ধাক্কাধাক্
[b]
আহমেদ নূর । সিলেট প্রেসক্লাবের নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক । প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলনের কমর্ী ও নিভর্ী ক সাংবাদিক । জরূরীআইনে তাকে আটক করা হয়েছে । জড়ানো হয়েছে 'চাঁদাবাজি'র মামলায় ।
ইতিমধ্যে আরিফ জেবতিক লিখেছে, এ নিয়ে
আহমেদ নূর চাঁদাবাজি করেছেন কি না সেটা মুখ্য নয় । মুখ্য হলো স্বীকারোক্তি আদায়ের নামে, যে অমানুষিক নির্যাতন চালানি হচ্ছে ।
আহমেদ নূর নামের একজন সম্পাদককে আপনারা গত কয়েকদিন আগে গ্রেফতার করেছেন। আপনাদের ভাষায় তিনি একজন চাঁদাবাজ সাংবাদিক।
স্যার,আপনারা ভালো বলতে পারবেন।সব কিছু জানার লাইসেন্স আপনাদের দেয়া হয়েছে নি:শর্ত ভাবে।আপনারা যদি বলেন তিনি 'চাদাঁবাজ' ,তাহলে আহমেদ নূর সে কথা স্বীকার না করে পারেন না।আর স্বীকার না করলে তাকে কেমনে স্বীকার করাতে হয়,তা-ও আপনাদের জানা আছে বটে। একটু রগড় করলেও সমস্যা নাই,আমাদের দুই মা জননী ,খালেদা আর হাসিনা বলেছেন তাহারা ক্ষমতায় গেলে আপনাদেরকে আরেকটা ইনডেমনিটি দিয়ে দেবেন। সুতরাং আহমেদ নূর সাহেবের 'চাদাঁবাজ' হতে অসুবিধা আর কী ই বা থাকলো।
তবে স্যার,আমি এই ভদ্রলোককে কিশোরবেলা থেকেই একটু একটু জানি। মফস্বলের সম্পাদক তো,তাই পেট পুরে
সর্বত্রই নাকি ইদানিং বহে শান্তির সুবাতাস, ইদানিং নাকি
হররোজ পূর্নিমা ভর করে আমাদের আকাশে আর আমরা নাকি প্রতিদিন
করি কুর্নিশ মহামান্যকে, বলি বড় ভাল কাটে আমাদের দিবারাত তোমারই রাহে হে মহান।
আমরা কেউ কেউ স্বপ্নবাজ হয়েছি, জেগে জেগেই দেখি দুধভাতে ভরে গেছে আমাদের থালা আর আমরা চিমটিও কাটিনা নিজের শরিরে সত্য যাচাই করতে হয়না।
বেহেস্তি পোষাকের রঙ নাকি সবুজ আর দোজখের কালো!
কবে কোন মোল্লা শিখিয়েছে এমন বচন!
মোল্লারাও আর এখন তমদ্দুনের গান গায়
ময়দানে কারা দানবের হাসি হেসেছিল?
নিকটবতর্ী মাঠে ঘোড়া ও সহিস আর কিছু নিরীহ তৃণভোজী
ভেলভেট জামা গায়ে ওখানে দাঁড়িয়ে কারা? ওদের চোখে কালো
চশমা কেন? বুলেটপ্রুফ হেলমেট কেন?
নিকটবতর্ী পাহাড়ে কাদের জাবর কাটা শোনা যায়? ঘাসে ও মাটিতে
কাদের মাংশাসী লালা?
নদীতীরবতর্ী মাঠে যারা ভিজেছিল ,তারা কি ঠিকঠাক পৌঁছেছে বাথানে
আজো কি আছে তাদের সত্যসন্ধ সুতীন্ন খুর?শিং তুলে প্রবল আসা?
ময়দানে কারা প্রেতের হাসি হেসেছিল?
------------
হাতের তালুতে হাত ঘষে যাচ্ছে কেউ
বাসের লাইনে মেঘেদের মুখ
বুকের পুকুরে
জ্বলে নিভে যাচ্ছে বিদু্যৎ জোনাকি
এসব উচ্ছন্নে যাবার ছবি
থাকুক তোমার কাছে।
তুমি থাকো,
রুদ্ধশ্বাস সংসার সাজাও মায়ায়,
আমি চলে যাচ্ছি,গুডবাই।
--------------------------
(কে লিখছে জানি না। পুরা লেখা হইলে (কিংবা আমি খুজে পাইলে) শিরোনাম সহ পরে পোস্ট কইরা দিমু নে।)
পুরোনো একটা কৌতুক মনে পড়লো,
একটি ছবি চলছে , একজন দর্শক প্রতিদিন প্রতিটা শো দেখছে। টিকিট চেকার পঞ্চম দিনে এক শো শেষ হওয়ার পর পরের শো এর টিকেট হাতে প্রবেশের সময় সেই লোককে জিজ্ঞাসা করলো, আচ্ছা ভাই বলেন দেখি এই রদ্দি মার্কা ছবি আপনি এতবার দেখছেন কেনো? কি আছে এই ছবিতে?
লোকটা মাথা চুলকে কিছুক্ষণ পর বললো আসলেই ছবিতে দেখার কিছু নাই কিন্তু হাফ টাইমের আগে একটা সুন্দরী মেয়ে গোসল করতে নামে- কাপড় খোলার সময় একটা ট্রেন চলে আসে-
আমি প্রতিদিন আশায় আশায় থাকি একদিন তো ট্রেনটা লেট করবে-
আমরা আসলেই আশাবাদী হয়ে উঠার প্রবল প্রচেষ্টা করছি। যদিও প্রতিটা রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে আমাদের কোনো প্রাপ্তি নেই এর পরও আমরা প্রতিটা রাজনৈতিক পরিবর্তনে আশায় বুক বাধি-
পোস্ট উৎসর্গ: সহব্লগার 2 মাহবুব(মাহবুব সুমন ও এস.এম মাহবুব মুর্শেদ
আমি একবার ক্রিকেট দলের টুয়েলভথ ম্যান হয়েছিলাম বলে সবাই আগের পোস্টে খুব হাসাহাসি করলেন। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত অবদানে যে একবার ক্রিকেট কাপ জিতেছিলাম,সেটা আপনাদের বিশ্বাস করতে হবে।কাহিনীটা তবে খুলে বলা যাক।
সিলেট রেজিস্টারি মাঠে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। মাঠটা আবার আমাদের পাড়ার মাঠ। ওখানেই আমরা খেলাধুলা করি।খেলা হচ্ছে সিলেটের বিভিন্ন পাড়ার মধ্যে। জামতলা,মাছুদীঘ
Maroon 5 এর This Love গানটাই বেশি শোনা হত এককালে। সেটার জন্যই ওরা বেশি জনপ্রিয়। ওদের She Will Be Loved গানটাও কম জনপ্রিয় নয়। আমার খুব প্রিয় গান দু'টোই, বিশেষ করে দ্্বিতীয়টা। আজকে এখানে তাই তুলে দিলাম এটার কথা আর লিংক।
আমাদের শৈশবে পাড়ায় পাড়ায় না না ধরনের খেলাধুলার প্রচলন ছিল। আজ হকি (আচ্ছা,হকি খেলাটা কি বিলুপ্ত হয়ে গেছে?),কাল ফুটবল তো পড়শু ক্রিকেট। চৈত্র সংক্রান্তির দিনে তোপখানা এলাকার ছেলেদের সাথে চ্যালেঞ্জ করে ঘুড়ি কাটাকাটি খেলাও হতো।পাড়ার ছেলেদের নিয়ে একটি ক্লাব ছিল,'হোয়াইট মোহামেডান',সেটি আবার সিলেট প্রথম বিভাগ লীগে হকি আর ক্রিকেট খেলত।
কোন এক অদ্ভুত কারনে এই খেলাগুলোতে আমার পারদর্শিতা ছিল সাংঘাতিক রকম খারাপ। আমি একবার প্র্যাকটিসে পাড়ার এক বড়ো ভাইয়ের