Archive - 2007 - ব্লগ

March 20th

ওতটা পুতুপুতু নাই আমার যে পথের কান্নায় বুক ভাসাবঃ স্বপনের জন্য

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: সোম, ১৯/০৩/২০০৭ - ৬:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আমার অনুভূতি অতটা পুতুপুতু নয়। যতটা হলে পথের কান্নায় বুক ভাসানো যায়। বেশ শক্ত ঘোচের মানুষ আমি থেতলে যাওয়া মানুষের সামনে বসে তারই স্বজনকে প্রশ্ন করতে পারি, মাথায় যখন গুলি লাগে তখন উনার হাতে একটা পিস্তল ছিল, সেটার মালিক কে জানেন? ক্রসফায়ারে মরা মোশারফের মাকে বলি, আছে আপনার ছেলে হাসপাতালে... আচ্ছা ওর কোন ছবি আছে আপনার কাছে। ত্রস্ত হাতে মোশারফের বোন পাসপোর্ট সাইজের ছবিটা বের করে দিলে আমি খুব দ্রুত চলে আসতে পারি। যদিও আসার আগে বলে আসি, তাড়াতড়ি হাস


March 19th

স্বপন মাহালির মৃতু্য আমাদেরকে যে ইঙিত দিচ্ছে...

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: সোম, ১৯/০৩/২০০৭ - ৫:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকাল মৃতু্য সংবাদ খুব একটা স্পর্শ করে না আমাকে। টিভির খবর খুললে মৃতু্য,সংবাদপত্রের পাতা খুললে মৃতু্য,মোবাইল ফোনের এস.এম.এস এ মৃতু্য...এতো মৃতু্য সংবাদ দেখতে দেখতে,জানতে জানতে একে যাপিত জীবনের অংশ হিসেবেই মেনে নিয়েছি ।

তবু স্বপন মাহালির মৃতু্য সংবাদ জেনে আমার মন খারাপ হচ্ছে খুব।

স্বপন কোন মহামানব ছিল না। বক্তৃতায় বিবৃতিতে,সভা কিংবা শোভাযাত্রায় তার উজ্জল উপস্থিতি ছিল না। সে ছিল শুধুই স্বপন,আমাদের প্রান্তিক চত্বরের এক ছোট্ট চায়ের দোকানের মালিক।
তবু সেই স্বপন কিভাবে যেন,আমাদের মনের অজান্তেই,এই ছোট্ট শহরের অজস্্র সংস্কৃতি কর্মীর বড়ো আপন হয়ে গিয়েছিলে।

একটা সময় ছিল এই শহরের। আমাদের নাটক,আমাদের গান আমাদের সাহিত্য তখন সবগুলো জেলা শ


March 18th

ফ্লপ ফোর্থ অ্যাম্পায়ার

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: রবি, ১৮/০৩/২০০৭ - ৩:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


রাসেল ভাই ঝলমলে অবস্থায় বান্ধবীরে লইয়া সিনেমা দেখে, মাশরাফি সকালে আয়নার সামনে গিয়ে চমকে উঠে কিংবা রাজীব ভাই অটোগ্রাফ দিতে গিয়ে চোখ কচলায়। পেসার হান্ট প্রোগ্রামের বিজ্ঞাপন। এর বাইরে অনেকদিন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের খেলা টিভি স্ক্রীনে দেখার সুযোগ হয়নি। গতকাল প্রায় দু'বছর পর টিভি পর্দায় বাংলাদেশ দলের খেলা দেখলাম ইন্ডিয়ান দূরদর্শন ন্যাশনালের সৌজন্যে।

বাংলাদেশ জিতবেই - অমনটা খুব জোর করে বলতে পারছিলাম না। কিন্তু মনের ভেতর থেকে টের পাচ্ছিলাম ভালো


। । মুক্তিযুদ্ধ কি অনৈসলামিক ছিলো?-- আরো কিছু প্রসংগ । ।

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: শনি, ১৭/০৩/২০০৭ - ৭:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


বিধিবদ্ধ সতকর্ীকরন ::
'মুক্তিযুদ্ধ' প্রসংগটি যাদের কাছে খুব পুরনো মনে হয়, এ বিষয়ে কথা বলা 'সময় নষ্ট' মনে হয়, সেই সকল মহাত্ননদের কাছে সবিনয় অনুরোধ, দয়া করে এই পোষ্ট এবং আমার সকল পোষ্ট এড়িয়ে যান ।

আমার হাতে অফুরন্ত মুল্যহীন সময়, তাই 'সময় নষ্ট' করতে আমার ভীষন ভালো লাগে ।

----------------------------------------------
[লিংক] আগের পোষ্ট [/লিংক] এ জনাব আশরাফ রহমান এর মন্তব্য টা ইমেজ করলাম । এ প্রেক্ষি


March 16th

গত তিন দিন

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৫/০৩/২০০৭ - ৭:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম আলো শীর্ষ পর্যায়ের রাজনৈতিক এবং রাজনীতি সংশ্লিষ্ট আমলা ও কর্মচারীদের দুর্নীতির কথা প্রকাশ করছে আন্তরিকতা নিয়ে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পর থেকেই তাদের এই প্রচেষ্টা ছিলো লণীয়। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সংবাদ পত্রের ভুমিকা নিয়ে তাদের অনেক বক্তব্য ছিলো তবে এমন তদন্ত রিপোর্টিংয়ের কোনো সুযোগ সম্ভবত ছিলো না জোট সরকার আমলে।

আমার আশা তারা যেসব দুর্নীতির কথা প্রকাশ করছে সেসব দুর্নীতিকে প্রমাণ করতে পারে এমন সব নথি তাদের কাছে আছে। ব্যক্তিগত অসুয়া চরিতার্থ করার জন্য সংবাদপত্রের ব্যবহার নিয়ে উদ্ভুত প্রশ্নের সদুত্তর দেওয়ার জন্যই এটা প্রয়োজন।
ইস্কান্দার সাহেবের এবং মীর নাছিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের প্রতিবাদ করেছেন শামীম ইস্কান্দার।যথারীতি যেমন হ


March 15th

ভুরুঙ্গামারির হরিশ চন্দ্র :আপনাকে হাজার প্রণাম।

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৫/০৩/২০০৭ - ৩:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রিয় হরিশ চন্দ্র ,
আজ আমি কোন শোকগাথাঁ লিখব না ।
আপনার মৃতু্য এই দেশের বিচারে এতোই তুচ্ছ যে ,নেহায়েৎ সার সংকটের কথা বলে সরকারকে বিব্রত করতে না পারলে,দৈনিকের শেষ পাতার চার হাজার টাকা ইঞ্চির দামী স্পেসে আপনার প্রয়ানের কথা ছাপা হতো না কখনো।

আপনার বড়ো মান অপমানের ভয় ছিল। তার চেয়েও বড়ো ছিল পেটের দায়। মাঠের সোনালি ধানের ঝিলিকের প্রতি আপনার ছিল আশৈশব ভালোবাসা। আর সেই লোভে পড়ে আপনি এক বস্তা সার বেশি দিতে গিয়েছিলেন ক্ষেতে।

প্রিয় হরিশচন্দ্র,
বন্ধুকে না বলে নেয়া সেই সারই আপনার জন্য কাল হলো। আপনি সেই সারের দামটিও পরিশোধ করেছিলেন বটে।
তবু ,আপনার বন্ধু যোগেনেরও সেই সারের যে বড্ড প্রয়োজন ছিল। তার জমিও তো আপনারই মতো,মাঠের বুকে নুয়ে পড়


। । মুক্তিযুদ্ধ কি অনৈসলামিক ছিলো? । ।

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৫/০৩/২০০৭ - ১:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


অনেক কথাই বলা যায়, অনেক কথাই বলা হয় । অনেক ভূমিকা, অনেক উপসংহার ।
বাদ দেই সব । সরাসরি জানতে চাই দু একটা উত্তর, যদি ও অতীত অভিজ্ঞতা বলে-লোক জন সরাসরি প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে ফেনা তুলতে বেশী পছন্দ করে ।

তবু আবারো 'টু দ্যা পয়েন্ট ' ।
অবশ্যই টার্গেট অডিয়েন্স ত্রিভুজ, আস্তমেয়ে, আশরাফ রহমান সহ এই ব্লগের সকল ধমর্ীয় রাজনীতির বাহকগন ।

জানতে চাইছি::
[b]
1। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কি তৎকালীন কোনো ইসলামিক দল দলীয় ভাবে অংশগ


একটি তথ্য চাচ্ছি। একটু সহযোগিতা।

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: বুধ, ১৪/০৩/২০০৭ - ৬:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি এই ব্লগের সবার কাছে বিশেষ করে সাংবাদিক বন্ধুদের কাছে একটি সাহায্য চাচ্ছি।

গত বছর (সম্ভবত: ডিসেম্বরের দিকে) একজন বাংলাদেশি ,গুয়েন্তানামা বে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশে আসেন।

তার সাথে যোগাযোগের কোন ঠিকানা/ফোন নাম্বার কি কেউ দিতে পারবেন ?
এটলিস্ট তার নাম,কবে এসেছেন বা এসংক্রান্ত কোন খবরের তারিখ ইত্যাদি....।

কৃতঞ্জ থাকব।


March 14th

আরিফ ,তুই বড়ো একচোখা/ সোজা জিনিস দেখিস বাঁকা...

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: বুধ, ১৪/০৩/২০০৭ - ৪:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


একটি বিচ্ছিন্ন ঘঠনা

1999 সালের কথা।
ভোরের কাগজের এক কাজে চট্টগ্রাম গেছি। সেখানে গিয়ে দেখা হয়েছে ছোটবেলার বন্ধু সুমন এর সাথে। দীর্ঘদিন পরে দেখা,আবেগ আর বাধ মানতে চায় না।দুজনে সারাদিন একসাথে গলাগলি করে ঘুরি। আমি আমার কাজ করে যাই,কিন্তু সুমন আমার সাথে সাথে থাকে।

তো ,এক সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের এক বুদ্ধিজীবির বাসায় গেছি।সারাদিন ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত।ক্ষিধাও লেগেছে বেশ। তো সেই বুদ্ধিজীবির কন্যা চমৎকার ম্যাকারনি রেধেছেন। গন্ধে আশপাশ ম


March 13th

নজমুল আলবাব :[/গাঢ়]একজন সফল ঘঠকের প্রতি ধন্যবাদ...

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/০৩/২০০৭ - ৩:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক.
ব্যাপারটা প্যাচ খেয়ে গেল গোড়াতেই।
কন্যার বড়বোনের অনেকগুলো বন্ধু আবার আমারও সহপাঠি। তারা কান ভারি করল শুরুতেই।'এই ছেলে একসময় বিরাট ক্যাডার ছিল রে।'কেউ বলল,'এই ছেলে হইলো এখন ভোরের কাগজের সাংবাদিক,নিজেই খাইতে পায় না,বউ পালব কেমনে?'।আরেকদল আবার বাড়িয়ে বলল,'এ হইলো নাটক ফাটক করা লোক। এদের বিশ্বাস নাই।'

মন্তব্যগুলো যারা করলেন,তারা সকলেই আবার নারী। সুতরাং যা জানেন,তার থেকে বেশি মেশালেন কল্পনার রং। ব্যস,মামলা কোর্টে উঠার আগেই রায় ঘোষিত হলো,'এই ছেলে বাতিল।'

এদিকে মিডিলম্যান ছিলেন যে ভদ্রলোক,তার জুতার শুকতলি ক্ষয়ে ছেড়া মোজা দেখা যেতে লাগলো। তালতলা আর আম্বরখানায় ঘুরে ঘুরে যে টাকা রিঙ্াভাড়া দিলেন তা দিয়ে গোটা দশেক রিঙ্াই কিন