আয় বৈষম্য, বিলাত ও বাংলায়
*************************
আমাদের পাড়াগুলোর চায়ের দোকান । দিনমান আড্ডা পেটাই । ভাগ্নেরা ব্যস্ত থাকে আমাদের সেবায় । ' ভাইগ্না-- দুই কাপ চা , উইথ পাইলট'
এই ভাগ্নেদের বেতন কতো?
তারাখচিত কিংবা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্টুরেন্ট নয়, একেবারেই আমাদের মধ্যবিত্ত রেঁস্তোরাগুলোর ওয়েটার রা কতো বেতন পায়, বাংলাদেশে?
সম্ভবত: 200 থেকে 2000
আমাদের ডাক্তার সাহেবদের রুজি কতো?
সিলেট শহরে কয়েকটা ডা
অবতরণ পবর্
অত:পর একরাতে হুট করেই তারা নামলেন। সেই গভীর রাতে আমরা ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখি আধো আলো,আধো ছায়ায় কয়েকজন দেব দূত আমাদের বিছানার পাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাদের সবার পরনে সাদা কাপড় ,তাদের মুখ,বাহু,গলা সব কিছুই সাদা সাদা।তাদের মাঝে কোন মলিনতা নেই।
আমার ছোট ভাই ভয়ে কেঁদে ফেলল। আমি ভয়ে ভয়ে গুনে দেখলাম তারা এগারো জন। একজন একটু বড়ো সড়ো,তিনি হয়তো প্রধান দেবদূত,বাকি দশজন একটু ছোট ছোট।
তারা এসেছেন আমাদের শুদ্ধ করতে। আমরা কেউ তাদের ডাকিনি,তবু তারা এসেছেন। আমরা দুই ভাই আজ সকালে একটা আম নিয়ে ঝগড়া করেছিলাম। আমি গোপনে এক টুকরো আম বেশি খেয়েছি,আর তাই দেবদূতরা এসেছেন আমারে কালিমামুক্ত করতে।
শান্তি পবর্
বাংলাদেশ যখন ধারাবাহিক ভাবে বিশ্বনিন্দিত হলো দূর্ন ীতিগ্রস্থ দেশ হিসেবে, বিশ্বের প্রথম 10টি দূর্ন ীতিপ্রবন দেশের উপরের সারিতে বাংলাদেশের নাম দেখার পর সরকারী দল নাখোশ ছিলো। তবে দাতা দেশগুলোর চাপে পড়ে একটা স্বাধীন দূর্ন ীতি দমন কমিশন গঠন করতে বাধ্য হলো। অবশ্য বিকলাঙ্গ এই প্রতিষ্ঠানের রূপরেখা কিংবা নীতিমালা কোনো ভাবেই তাকে স্বয়ংসম্পূর্ন কোনো প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহি্নত করতে পারে নি এবং বাস্তবতা হলো এটা কোনো অর্থেই সফল কোনো প্রতিষ্ঠান ছিলো না।
দূর্ন ীতিদমন কমিশনকরে পুনর্গঠন করা হচ্ছে, তাদের ক্ষমতা বাড়ানো হবে, তাদের অর্থব্যাবস্থাপনার দায়িত্বও তাদের দেওয়া হবে, সুপারিশ আছে তাদের জরুরী ভিত্তিতে লোক নিয়োগের ব্যাবস্থা করতে হবে। সর্ষের ভেতরের ভুত তাড়া
মন্নান মিয়ার দিনকাল
গত পাচঁ বছরে মন্নান মিয়ার ভালোই উন্নতি হয়েছিল। যদিও পাঁচ পেরিয়ে যাওয়া জিডিপির প্রবৃদ্ধির হারে মন্নান মিয়ার অবদান নেই কিছুই,তবুও সেটা উন্নতিই বটে। মন্নান মিয়া খাম্বা বিক্রী করেন নি,টিভি চ্যানেল কিনেননি, টেন্ডার ভাগজোকের জটিল হিসাবও তিনি আত্মস্থ করেন নি। তিনি করেছিলেন একটি টঙ ঘরের চায়ের দোকান। মহাখালির ফ্লাইওভারের কাছে,রেল লাইনের ধারে তিনি এসে যে বস্তিতে ডেরা বেধেছিলেন, তার পাশেই একটি টঙ ঘর ভাড়া নিয়ে মন্নান মিয়া বেচতেন চা,পান সিগারেট।
সুনামগঞ্জের ফুলপুর নামের যে গ্রাম থেকে তিনি এসেছিলেন সেখানে ভাতের বড়ো কষ্ট ছিল রে ভাই। এক ফসলি ধান ওঠে বৈশাখ মাসে। দিনমজুরি করে যে ধান ভাগে পড়ে তাতে একমাস কুলানোটাই মুসিবত।
কেমন একটা ঘোর লাগা সময় কাটছে ।
গান শুনছি উলটা পালটা ।
আর গানগুলোর দৃশ্যায়ন মিলে যাচ্ছে অদ্ভূত ভাবে, প্রতিবেশের সাথে ।
'আমার খেওয়ানিরে খাইছে লংকার বাঘেরে...'
দিনভবানন্দের লেখা, বাউল কালামিয়ার গাওয়া গানটা শুনছি এখন ।
বাংলাদেশের সামপ্রতিক অবস্থা আমাকে বিমর্ষ করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতিটা পদক্ষেপে পরিকল্পনাহীনতার ছাপ স্পষ্ট। তারা ভালো পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী তবে তাদের জীবনযাপনের অভ্যাস তাদের যেভাবে গড়ে তুলেছে বাংলাদেশের 95% মানুষের জীবনযাপনের অভ্যাস তেমন নয়। হয়তো অতিজ্ঞানী মুর্খতা তাদের বিবেচনাহীন করেছে।
তাদের পরিকল্পনার ভেতরে দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ীমহলকে তুষ্ট করার স্বভাবটাও স্পষ্ট। অবশ্য তাদের নিজস্ব পেশার প্রতি বিন্দুমাত্র অশ্রদ্ধা প্রকাশ না করেই বলি- " বার্ডস ওফ সেম ফেদার ফ্লকস টুগেদার"- আমাদের সিশীল সমাজীয় স্তরায়নে যেহেতু উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেনীটাই প্রধান নির্ণায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ তাই তাদের নিজস্ব জীবনযাপনের সত্যকে তারা সবার জন্য সঠিক মেনে নিয়ে
এক. গত বছর পর্যন্ত সাংবাদিক কার্ড দেখিয়ে ধুম করে মেলায় ঢুকেছি,লাইন ধরতে হয় নি। এবার প্রথম বার লাইন ধরতে হলো। লাইনে দাড়িয়ে মেজাজ খারাপ লাগছে। পাওয়ার লেস লাগছে।
------আহারে আরিফ,সামান্য গেটে ঢুকার ক্ষমতা হারিয়েই তোমার মন খারাপ!!!একবার জোট সরকারের মন্ত্রীগুলোর মনের ভাব চিন্তা করো তাইলে!!!!
দুই. বইমেলার মসজিদের কোনায় কয়েকটি খাবার দোকান। সারা এলাকায় ঘাস দেখার জো নেই,শুধু ই আবর্জনা।
--------আচ্ছা বই নাকি মননকে উন্নত করে। একটি ছোট বিন বসানোর মতো মনন তৈরী করতে বাংলা একাডেমির লোকজনকে কয়টি বই পড়াতে হবে! আর আবর্জনা ছুড়ে ফেলার অভ্যাস মুক্ত হতে একজন বাংগালিকে কতোবার বইমেলায় আনতে হবে ?
তিন.সারিয়া তাসনিম ,ব্রাত্য আর সাদিককে দেখলাম দাড়িয়ে
এবার বিকি দিয়ে যাও, নইলে তো আর ছাড়বোনা, সাঙ্গ করে দেবো বেচাকিনি/ দোকান খোলো দেখি, পসরা সাজাও দেখি...
এমন জোরালো আবদার তো কানাই উত্থাপন করতেই পারে, যেহেতু কানাই জেনে গেছে যমুনা পার হওয়া ভিন্ন শ্রী রাধিকা সুন্দরীর আর কোনো গতি নেই আর এ বেলা যমুনা ঘাটে কানাই ভিন্ন আর কোনো পারানি নেই ।
খেলারামের স্বয়ং পারানি হবার ঘোষনায় বাকী সব লোলচর্মগুলো ফেরার হয়ে গেছে নৌকা সমেত ।
1.
কৈশোরের জ্বরে
মরে যাওয়ার ইচ্ছে হত।
এখন
শুধু তোমার কাছে
আসতে ইচ্ছে করে।
2.
যতই গভীরে যাই কোমল
কোমল কোমল পলি
আমি চাষে মাতি...
ফসলের ঘ্রানে মেতে উঠুক
উঠোন তোমার আমার
সুইসদের স্প্যাগেটি চাষ
হঠাৎ করে যদি টিভি নিউজে দেখেন সিলেটের এক ভদ্রলোক বাসার টবে নুডুলস চাষ করেছেন আর উঠোনে সিঙারা; আর সেই গাছগুলোয় দিব্যি থোকে থোকে ঝুলে আছে নুডুলস কিংবা সিঙারা,তাহলে কেমন লাগবে আপনার ?
ঠিক এধরনেরই এক অবাক কান্ড খুজে পেয়েছিল বিবিসি। জি্ব,লন্ডনের বিবিসির কথাই বলছি। 1957 সালে তাদের সংবাদ ভিত্তিক শো 'প্যানারোমা'তে দেখা গেল সেই সাড়া জাগানো সংবাদ। বিবিসি দাবী করলো সে বছর সুইজারল্যান্ডে শীত পড়েছে কম আর তাই বাম্পার ফলন হয়েছে স্প্যাগেটির ! (স্প্যাগেটি হচ্ছে নুডুলস জাতীয় খাবার,যেটি বেকারিতে তৈরী হয়)
এ নিয়ে এক বিষদ প্রতিবেদন প্রচার করল 'প্যানারোমা'। সুইজারল্যান্ডের গাছে গাছে থোক থোক স্প্যাগেটি ঝুলে থাকার দৃ