সংসারী মানুষ, কিন্তু বাউল। গাওয়ার কথা গান, কিন্তু লেখে গল্প আর কবিতা। আলবাব ভাই। বাবাই র বাবা। দুনিয়ার সব জায়গায় বাপ-বেটা আঙুল ধরে হাঁটার ছবিটা মিস করছেন, কেউ নাই নিশ্চয়ই?
ল্যাবে আমার ডেস্কে একটা বই সাজানো, বউ, বাটা, বলসাবান। বহুবার পড়া। তারপরও পড়ি। সেই বইয়েরও জনক।
আজকে আলবাব ভাইর জন্মদিন। অনেক শুভেচ্ছা পাঠানো হইলো। কেক-কুক কিনে খাইয়েন, আলবাব ভাই। বিল মালয়েশিয়ার দিকে পাঠায় দ...
সকাল সকাল ক্লাশ শেষ করে বাসায় ফিরবো ভাবছি এমন সময়
খালামনির ফোন-"কি রে আসবি না? সময় পেলে একটু হলুদ ছোঁয়াবো।" আমি তো মিডের জ্বালায় ভুলেই গিয়েছিলাম যে মিষ্টিমনির(ছোট খালামনি) বিয়ে। অথচ একসময় কিছুই ভুলার উপায় ছিল না। খালামনির জন্মদিন...নানাভাই নানুর বিবাহ বার্ষিকী...আব্বু আম্মুর বিবাহ বার্ষিকী কিছুই ভুলার উপায় ছিল না। সকালে হোক রাতে হোক একবারের জন্য হলেও আমরা সবাই একসাথে ছোট একটা কে...
3. ওরাক
"আমি ওরাক। পুরো নাম ওরাক ওমেগা-৩। ওমেগা লটের ৩ নম্বর রোবট আমি। কতকাল আগে কোথায় আমার জন্ম হয়েছিল মানে যন্ত্রপাতি দিয়ে পার্টস জুড়ে জুড়ে কোথায় আমাকে নির্মাণ করা হয়েছিলো সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই আমার। ওমিবর্গ কোম্পানির অসংখ্য কারখানার কোনো একটাতেই নিশ্চয়। আমার ডানবাহুতে প্রিন্টেড সিম্বল ওমিবর্গের। সেই হিসাবে তারাই আমার নির্মাতা হবার কথা। নির্মাণসময়ের ধারনা আমার ...
শুরু কথাঃ "স্ফটিক পৃথিবী" নামে আমার একটি আনকোড়া কবিতার পাণ্ডুলিপি আছে যেটাকে নিয়ে চলছে ঘষা-মাজা। কবিতাটি সেখান থেকেই নেয়া।
এক কণা ধুলোর আশ্রয় মিলেছিল পাতায়
সর্ম্পক গভীর গাছের সাথে তবু ক্ষুদ্র বলয়
সবকিছু তার সীমানার বাইরে মনে হয়
তবু কি এক আশা তাকে জাগায়
শত অণু স্বপ্ন আঁকে পৃথিবী দেখার নেশায়।
অতঃপর সুযোগ এসে যায়
সাহসী হতে হয় নিরুদ্দেশী এই যাত্রায়
বুকের ভেতর জানার নেশা ম...
আমি ছিলাম স্বয়ং বুদ্ধের মতো অর্ন্তমুখী ধ্যানে মগ্ন,
আকাশের নীল, পাহাড়ের সবুজ, সাগরের ঢেউ, কপোতের শুভ্র ডানা,
নির্ঝরনীর বুকে চাঁদের টলোমলো রূপ, বরষার প্রথম
হৃদয় শীতল করা স্নিগ্ধ বৃষ্টির ছোঁয়া, মলিন ডায়েরি- রঙিন কলম,
মন খারাপ করা সন্ধ্যায় গিটারের টুংটাং আর হৃদয়ের ক্যানভাসে
হাজারো স্বপ্নের আঁকিবুকি- এই ছিলো আমার নিত্যদিনের সহচর।
আমার নিবিষ্টতা ছিলো একান্ত ভালোলাগায়, নিমগ্নতা ছ...
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ ইহা আব্জাব লেখা, পাকনা পুলাপাইন ছাড়া আর কেউ পড়লে এই লেখক দায়ী নয়।
মাথার চান্দির কাছে পাকাচুলটা নিয়ে আমার গর্বের শেষ নেই। একে ওকে ডেকে বলি, দেখতো মাথায় কিছু দেখিস কিনা? কেউ তাকায় কেউ তাকায় না। তবে আসল জিনিস কেউ খেয়াল করেনা। তখন নিজেই টেনে টুনে বের করে দেখাই। বলি, এই দেখ পাকাচুল, উইজডম হেয়ার! শোনার সাথে সাথে কেউ নিজের মাথার পাঁচটা কেউ দশটা উইজডম হেয়ার দেখিয়ে ...
সময় এক বৃদ্ধ লোক খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে। পায়ে বল নেই তাই হাতে লাঠি। দৌড়াতে পারে না, হেলে দুলে বিশ্রাম নিয়ে চলে। ঘাড়ে ঝুলানো বোচকায় ফুটো। দুঃখের বড় বড় চাক সহজেই ধরে, থেকেও যায়। সুখের ক্ষুদ্র নুড়িগুলো ফুটো দিয়ে পড়ে যায়। অথবা বৃদ্ধ চোখে কম দেখে, এমনকি বড় নুড়ি কুড়োতে যেই না উবু হয়, ছোট সুখের কণাগুলো গড়ে পড়ে যায়। সুখী মনে গন্তব্যে যাওয়া হলো না বুঝি বুড়োর।
না, সময় তরুণ হবে। দ্রুত দৌড়াচ্ছে। ...
আদিমকালে পশু শিকার শেষে ফিরে আসা শিকারীরা, ডেরায় থাকা কিংবা শিকারে ব্যর্থ অন্যান্যদের কাছে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে যে ঘটনার জন্ম দেয় তা থেকেই নাট্যের উদ্ভব বলে ধারণা করা হয়। শিকার করা পশুর রক্তাক্ত চামড়া গায়ে জড়িয়ে একজন পশুর রূপ ধারণ করেছে এবং সঙ্গীয় অন্য শিকারীরা সেই পশুকে শিকারের অভিনয় করছে। তারা বিভিন্ন অবস্থান থেকে উঠে এসে কল্পিত পশুটিকে ঘিরে ধরে বৃত্তাকারে। অতঃপর হাত...
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এইটা একটা একেবারেই আজাইরা পোস্ট। ভেরেন্ডা ভাজার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকলেও এই পোস্টে এসে সময় নষ্ট করার দরকার নাই... সময় বড় মূল্যবান।
আশির দশকের জনপ্রিয় একটা ধারাবাহিক নাটকের রিহার্সেল চলতেছে বিটিভিতে। সেখানে দেশের মোটামুটি সব বড় বড় তারকার উপস্থিতি। তার মধ্যে একজনের বড় বদনাম... সে খালি বড়দের কৌতুক বলে। আশেপাশে পরিবেশ মান্য গণ্য করে না। গল্প তার চলতেই থা...
আমার হাতে রাখিস যদি
ভালোবেসে তোর হাত-
জীবনে গড়া কাঁকন দিব
বাজাবি দিনরাত!
-হরিপদ কেরাণী