বয়স বাড়ছে । টের পাই । আজকাল স্মৃতিকাতর হই বড়বেশী । কৈশোরের নীলাভ দিনগুলোর মতো ছোপছোপ অনুভূতিগুলো ফিরে আসে বারবার । পার্থক্য এই , সেই বয়সে রাগ হতো খুব । খুব একটা ভাংচুর টের পেতাম, বিশ্বাস করতাম-বদলাবে এইসব ।
বদলায়নি । দিনবদলের কোন তুচ্ছ রেখা ও দিগন্তে নেই বলে বয়স আরো বেড়ে যায় প্রতিরোজ, প্রতিরোজ আক্রান্ত হই । টের পাই-কিছুই হলোনা শেষ পর্যন্ত ।
ফয়সল ছেলেটা চলে গেলো ।
সকাল বেলা খবরটা ...
: ঘুমাচ্ছিস বুঝি...! তোর হাতটা একটু ধরি?
আমার আজন্ম সাধ তোর হাতটা ধরার, তোকে একটু ছুঁয়ে দেয়ার- আলতো করে।
: ক্যান, হাত ধরবি ক্যান!
চোখ বন্ধ রেখেই তুই ঝলমলিয়ে উঠলি। কিন্তু পরক্ষণেই আমার ঘোলা দৃষ্টির কথা ভেবেই কী না তুই মৃদু করে হাসলি। বললি,
: আমি ঘর হইতে বাহির হইয়া জোছনা ধরতে যাই, হাত বাড়াইলেই চান্দের আলো, ধরতে গেলেই নাই...
আমি পুরোপুরি বুঝতে পারলাম তোকে। সম্ভবতঃ এই প্রথমবারের মতো। হা...
একই ক্যাম্পাসে, হয়তো কখনো
হেঁটে গেছি পাশ কেটে, লক্ষ্য করি নি,
হয়তো ক্যাফেটেরিয়ায়,
কিংবা লাইব্রেরির লম্বা টেবিলে
বসেছি একসাথে - জানতে পারিনি।
বুঝতে পারি নি, হবে না পরিচয়
আর কোনও দিনও, শুধু
অনুভবে তীব্র হবে টান,
ভাবতে পারি নি, যাবে
এ জগত পিছে ফেলে,
পথ চলা হবে অবসান।
যেখানেই থাকেন, ভাল থাকুন...
পরিত্যক্ত প্রেমের মতো...
ঘাসের মতো নির্বিকার দাড়িয়েঁ আছি
পরবর্তী দলিত হবার অপেক্ষায়
শিশিরের স্নিগ্ধতায় চাঁদ পোহাই
পৃথিবীরে মায়াবীর নদীর পারের দেশ বলে মনে হয়
এইখানে ঘাসের বুকে অযুত সুঘ্রাণ
পরিত্যক্ত প্রেমের মতো উল্লেখযোগ্য স্মৃতি
হয়ে জমে থাকে
* পৃথিবীরে মায়াবীর নদীর পারের দেশ বলে মনে হয়- জীবনানন্দ থেকে চুরি করা
** আর লিখতে ভাল্লাগতেছে না...
*** আসলে পারি না...
পেটের ভিতরে একটা নড়াচড়া টের পেয়ে আমি আঁতকে উঠলাম। একি ! এতো তাড়াতাড়ি তো তোমার নড়তে পারার কথা
না।কয়দিনই বা বসবাস তোমার আমার সংগে।
শীতের রোদে বসে ঝিমাচ্ছিলাম আর ভাবছিলাম খুব ইচ্ছা ছিল আমার সুন্দর একটা মেয়ে হবে।আরব দেশের একদা নিয়ম
ছিল কন্যা সন্তানদের জন্মের পর পরই মেরে ফেলা।নিশ্চিত কোনো বিদূষী মহিলা ভেবে ভেবে এই নিয়ম বের করেছিল।
ভেবেছিল এইভাবে যদি কিছু কষ্ট কমানো যায়।লাভ হয়নি...
মেয়েটাকে আমি বিশেষ পছন্দ করি না। এমনিতে সে খারাপ কিছু নয় - কথাবার্তায় ভদ্র , বন্ধুভাবাপন্ন, কিছুটা হাসি খুশিও। কিন্তু তবু মেয়েটাকে আমি পছন্দ করি না। আমার সাথে তার এক অদ্ভূত রেষারেষি। যা যা আমার ভালো লাগার, যা যা আমার কষ্ট পাওয়ার, যা যা আমাকে ছেঁড়া কাগজের মতো ছিটকে ফেলার ক্ষমতা রাখে - কি করে কি করে যেন তাতে সে ভাগ বসায়! আমার পছন্দের বইগুলো সে পড়বেই পড়বে। ভালো লাগার গানগুলো না শুনে ...
গতবছর মার্চ মাসের কোন এক শনিবার দুপুরে খেয়ে নিয়ে আমরা একটু বেরিয়েছিলাম। ফি-সপ্তাহান্তে যেমনটি হয়ে থাকে। ঘন্টা দুয়েক পরেই ফিরেছি।
সদর দরজা খুলে গৃহকর্ত্রী ও রাজতনয়াদ্বয় ওপরে। আমি সপ্তাহান্তের সহজাত ঢিমেতালে জ্যাকেট-জুতা ছেড়ে, বেল্ট ঢিলে করে নিয়ে কোমর ডলতে ডলতে উপস্থায়ী গন্তব্য টিভি, ফ্রিজ, চিঠিপত্র - এর মধ্যে কোনটি ভাবছি।
এমতাবস্থায় ওপর থেকে তিনজন বি...
আজিজের তিন তলায় মোটামুটি অন্ধকার কোনে পাটি পেতে বসে ছিলেন ক'জনা। এই অন্ধকারেও লীলেন ভাইরে চিনতে বিশেষ কষ্ট হলো না। এটা নিশ্চয়ই দিনে দুইবার ফেইসওয়াস ব্যাবহার করার সুফল। রূপ যেন চমকাচ্ছে...
দুনিয়াজুড়া গিয়াঞ্জামের শেষ নাই। তাই সন্ধ্যা সাতটটায় সচলাড্ডা থাকলেও আইইউটির তিন বালকের সেখানে পৌছাতে বেজে গেলো আটটা। ততক্ষণে কয়েকদফা চা এবং বোধ করি মুড়ি পার্টিও শেষ...এমনকি পাটিতেও নেই কোন ...
কিরে কি খবর? কেমন কাটলো ফার্স্ট টার্ম...
আর কইসনা...পাঙ্গা খাইতে খাইতে শেষ।
আরে মামু, বিএমএ তে গ্যাছো, পাঙ্গা খাবানা...এইটা কেমন কথা। তা খাইলি কেমন?
আশরাফ এক্কেবারে প্রথমদিন থেকে বর্ণনা শুরু করে।
দোস্ত জানস, প্রথম ছয়দিনের কথা আমার একদম মনে নাই।
ফাইজলামি করস? মনে থাকবো না ক্যান? মন কি মাথা থেকে হাঁটুতে তে রিপ্লেস করছোস নাকি?
আরে না। রাত নয়টার মধ্যে রিপোর্টিং ছিল। আমি সাতটার মধ্যেই ঢ...
("রে ব্র্যাডবারি" রচিত একটি সাইকো গল্পের ভাবানুবাদ করার চেষ্টা। "ছোট গল্পঃ একবাক্স আদর" যারা পড়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি। এটা একেবারে বিপরীত ধরণের...কেমন বিপরীত সেটা পড়লেই বুঝতে পারবেন...)
পিস্তলটা রেখে দিয়ে ড্রয়ার বন্ধ করে দিল সে...
না... এভাবে তাকে ভোগানো যাবে না। মেরে ফেলা যাবে, তাতে সব কিছুর অবসান ঘটলেও সে ভুগবে না। তাকে কষ্ট দিতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী অকল্পনীয় কষ্ট...
লোকটি বেডরুমের...