নাহ্, অনেক ভেবে-চিন্তেও প্রথম যাত্রা পালার নাম মনে করতে পারলাম না! তবে সে “পালায়” রাণীর অকাল মৃত্যুতে নাবালক রাজকুমারের জীবন দুয়োরাণীর দুষ্টচক্রে কেমন দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে, তা দেখে অনেক গাঁয়ের বঁধূ আঁচলে চোখ মুছতেন। আর নির্বোধ রাজার উপর গনরোষ ঘনীভূত হতো।
আমি সেই দুঃখি রাজকুমার। বড় ভাই এক রকম জোড় করেই আমাকে ধরে নিয়ে যান যাত্রার মঞ্চে। তখন আমি চতুর্...
বইয়ের প্রচ্ছদ
বইটি পড়ে ছিল দেরাজে। কিছুটা অযত্নে। কবিতায় তেমন বুঝি না বলে হাত বাড়িয়ে তা চেখে দেখা হয়নি। বইটির স্রষ্টা দেয়ার সময় বলেছিলেন, একটু পড়ে জানায়েন কেমন লাগলো। বইয়ের স্রষ্টার সাথে প্রতিদিনই দেখা হয়, নানা বিষয় নিয়ে ভাবনার লেনদেন হয়। কিন্তু তার বই নিয়ে বলা হয় না কিছু। কারণ ওই যে ভয়, কবিতা না বোঝার। তাই পড়া হয়নি। এই সেদিন কী মনে করে ধুলির তরঙ্গ মুছে ফেলে হাতে নিই একবার। পাতা ...
যাচ্ছি ঠিকই। সবুজ পরিস্কার হচ্ছে, বৃষ্টি যেমন হয়। এই এল তো এল, এই ঝমঝমাঝম, তারপর কাঁচ সাফ রোদ্দুর, মাছের আঁশের মত আলো। একটা এস এম এস এলে মনে হয় অনেক, ভূমির গান-টান বাজে। কফি হাতে বসে থাকতে থাকতে সাদা মেঝে ভরে ওঠে আলতা ছাপে, বাকি মেঝে ঘাপটি মেরে পড়ে থাকে পায়রার মত।
হাঁসের গন্ধটা পড়ে রইল দিন দুয়েক, এযাবত অমিমাংসিত লেখালিখির মত। ওয়েদার একটু ঠান্ডা, দেওয়ালে পালক উড়ে বেড়াচ্ছে।বক যথা। সবু...
কথা কিছুই ছিল না । না অংগীকার - না শপথ
মন্ত্রনালয় নিয়ে কোনো ভাবনাই ছিলোনা আমার।
যন্ত্রনালয় নিয়ে ভালোই ছিলাম। শালপাতার ছাউনি
আর খড়ের বালিশে এক ঋত্বিক সময়ের জালুয়া
ছিলাম আমি। জাল টাও ছিলো অন্যের। ধার করে
চাঁদের কাছ থেকে আলো, কাটিয়ে দিতে পারতাম
রাতের গহীনতা। দুর্বার দূর্বাঘাসের ডগায় জাগতো
যে ভোর , তার দিকে তাকিয়েই দেখে নিতাম , ভাঙা
একটা টিফিনে কিছু খাবার নিয়ে আমার জন্য কে
একজন আ...
মদ্যপানানন্দ সত্তর গুণ বেড়ে যায় জামাত করে খেলে। পানাসরে গেলাশে গেলাশে ঠোকা দেয়া ঝংকার সশব্দে প্রকাশ করে সমবেত পানের মহিমা। আর পানপর্বটিকে পরবে পরিণত করে ফেলে জুতসই বা মোক্ষম কোনও টোস্ট।
------
শহরের পথ ধরে হাঁটছে এক মেয়ে। হঠাত্ পেছনে কার পায়ের শব্দ, ঘুরে তাকিয়ে দেখলো - সুদর্শন এক তরুণ। একটু পরে আবার পেছন ফিরে দেখলো সে, ছেলেটা তখনও অনুসরণ করে চলেছে তাকে। আরও কিছুটা পথ যাবার পর ছ...
নী (Cont)
পড়ার ঘরে দিওতিমা ছিলো, ওরিন তাভাম রীহা জুইক তুরি কিজা রুফাস মিলে সকলেই ছিলো। শুধু ইলক তখনো আসে নি, ইলকের মাঝেমাঝেই দেরি হয়, সে ছবি আঁকে কিনা, তাই আঁকতে আঁকতে ভুলে যায় যে পড়ার ঘরে যাবার সময় হয়ে গেছে। নী গিয়ে দিওতিমার পাশে বসে পড়ল। দিওতিমা ওর দিকে তাকিয়ে অল্প হেসে খুব মৃদুস্বরে বলল,"নী, আজকেও গেছিলি গ্যালাক্সি দেখতে?" নী কথা না বলে স্মিতহেসে মাথা দুলিয়ে জানায় সে গেছিলো। ওদের কথা...
বাংলাদেশ ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি নামফলক স্থাপন করে ১৯৭১ সালের বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের একটি মহতী উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে টেক্সাস ভিত্তিক "সেন্টার ফর বাংলাদেশ জেনোসাইড রিসার্চ" স্মৃতি ফলক স্থাপনের জন্য তহবিল সংগ্রহ শুরু করেছে। ওয়ার ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির অনুসন্ধানে জানা যায়, দেশে ছোট বড়ো প্রায় পাঁচ হাজার বধ্যভূমি রয়েছে। এর ...
গল্প
গল্প ২
------------------
উফ এই অন্ধকার আর ভাল লাগছে না । গল্প শুরু হয়নি এখনো, ব্যাটার ঘ্যানঘ্যান চলছে । নাহ ব্যাটাকে থামিয়ে দেই ! ..
- 'এই যে .. স্যার .. !' কই থামে নাতো, কার সাথে কথা বলছে ব্যাটা, আমি তো এখানে ।
থেমেছে ! ... শুনল কি ?
- 'আরে পাঠক ভাই যে ! কি খবর ?'
কিছুই দেখা যায় না । গলা শোনা যাচ্ছে কেবল । কিন্তু গলা শুনে মনে হচ্ছে আমাকে দেখবে যেন ধরেই নিয়েছিল সে ! .. ...
একদা হলে ফাঁও খাওয়া-দাওয়ার রোল পড়িল । বাঙালি মাত্রই ফাঁও আলকাতরা পর্যন্ত খাইতে ওস্তাদ । সুতরাং এইরূপ খাওয়া-দাওয়া হইতে নিজেকে বিরত রাখা এই অধমের পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব হইল না । নির্বিবাদ ফাঁও খাইব মনে করিয়া জড়াইয়া পড়িলাম এবং তৎসংলগ্ন কি কি বিপদে
পড়িয়াছিলাম তাহাই আজকের ব্লগের আলোচনার বিষয় ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অত্যাসন্ন । হলের মান রাখিবার মরণপণ শপথ লই...
যখন সে একেবারেই ছোট ছিলো... পিটি পিটি করে চোখ খুলতো একটুখানি... ছোট ছোট হাত... ছোট ছোট পা... ধরতে ভীষণ ভয় হতো। যদি সে পড়ে যায়?
কাঁথার স্তুপে মোড়া সেই ছোট্ট নিধির দিকে কেবল চেয়ে থাকাই ছিলো। মন চুয়ে চুয়ে বলতাম আরেক্টু বড় হ বাবা... তারপর আমরা দুজন মিলে খুব খেলবো।
ধীরে ধীরে সে হাসতে শিখলো... এ্যাঁ ও ট্যাঁ টো শিখলো... স্পষ্ট করে তাকাতে শিখলো... আঙ্গুলখানি ...