বলছি শোন করছি আমি মেঘ বালিকার গল্প আজ
সেই মেয়েটি ছোট্ট যখন দু গাল জুড়ে লালচে লাজ।
এক বিকেলে তিন তলা ফ্ল্যাট মাথায় তোলে বাপ মেয়ে
ধুপ ধুপ ধাপ শব্দ ওঠে ফ্ল্যাটের সিঁড়ির ধাপ বেয়ে।
হচ্ছেটা কি? খুলতে থাকে পড়শির ডোর ...
পাখিটি দৌড়ে গেল রোদের মধ্যে
ছায়ার বৃক্ষ। পাতার ছায়ার শরীর। আর রোদে ভেজা
কচিঘাসের উপর ঝিরিঝিরি দুলছে দিন :
নিরিবিলিতে হাটছিল একটি পাখি।
আমাকে দেখে একটু এগিয়ে এসে
হয়-তো বোঝাতে চাইলো,
প্রশান্তির পরিভাষায়
খুব-সাংকেতিক,
শুভদ...
নিউইয়র্ক টাইমস ১৮ই এপ্রিলে প্রকাশিত নিবন্ধে জানা যায় অস্থায়ী মুজিবনগর সরকারকে তখন পাকিস্তান অস্বীকার করে।
বিকেল চারটে কুড়ি। আর দশ মিনিট বাকী।
গলিটার শেষে জুম্মনের চা-বাখরখানির দোকান। বাপ কোহিনূর কারিগরের হাতে গড়া দোকান। এই দোকানের বাখরখানির খ্যাতি বহু পুরানো। আছে কুখ্যাতিও। দোকানটির ঠিক উলটোদিকেই শহরের বেশ্যাপল্লীটি। লোকেরা ব...
১.
সাজিয়া যখন খামে করে আমার হাতে টাকাটা তুলে দিল এবং মুখ বাঁকা করে বলল...
- গুনে দেখেন স্যার! টাকা ঠিক আছে নাকি?
আমি খুব লজ্জা পেলাম। এতদিন সাজিয়ার সাথে আমার কেবল শিক্ষক- ছাত্রীর সম্পর্ক ছিল। কিন্তু কয়েকদিন আগে সেই সম্পর্কটা অন্যরূ...
তীরের নিকটে এসে ডুবে গেল তরী
এই ক্ষত বয়ে বেড়াবে অনন্ত জল
আমার মনের
একটা নতুন রেখা সমতলে জেগেছিল বলে
কোনোভাবে এইবারও বেঁচে যাওয়া হলো
সঞ্চয়ের মতো মনে হয় যতসব নুড়ি
আসলে সঞ্চয় নয়
পাহারা বসিয়ে রেখে তার চারপাশে
শুধু শুধু বেঁচে ...
সেটা ২০০৩ সালের ঘটনা। জার্মানীতে এসেছি সবে ৩-৪ মাস হয়। যে যা বলে মাথা পেতে নেই। আইন-কানুন জানি না। ভাষা বুঝি না। রাস্তাঘাট চিনি না। কি আর করা। অগ্রজরা বলেন, আমরা নবাগত’রা শুনি। এই অগ্রজদের মধ্যে একজন ছিলেন ...
ছি্লেন এক বিদগ্ধ কবি। তিনি দীর্ঘ পাঁচ-পাঁচটি বছর সাধনা করে অভিধান সদৃশ একটি পান্ডুলিপি রচনা করলেন । কিন্তু হায়!! ঠিক, আরো পাঁচটি বছর ঘোরাঘুরি করেও তিনি সে পান্ডুলিপি কোথাও প্রকাশ করেতে পারলেন না। মুলতঃ কেউই তার পান্ডুলিপি পড়ে দ...
শিশিবোতলটি ভেঙে গুড়োগুড়ো হয়ে পড়ে আছে রাস্তার কিনারায়। তাই দেখে কেউ চলে পা বাঁচিয়ে, কেউ বা ভাবে- কে যে ভাঙলো! কেউ জিজ্ঞেস করে, শিশিতে কী ছিলো? কেউ বিরক্ত হয় সিটি কর্পোরেশনের ঝাড়ুদারের ওপর। তুলতে এসেও টোকাইরা ফিরে যায় ইউজ্যাবিলিটি ...
নিস্বনে বরাবরই লিখি। জার্মানীর ফ্রাংকফুর্ট থেকে শাহীন ও শিশিরাদ্রের হাড়ভাঙ্গা খাটুনীর ফসল এই ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা। আমি সাথে থেকেও অনেক সময়েই নেই।
সেদিন বাসায় ফোন বেজে উঠলো রাতে। ওপাশে শাহীন।
- তীরুদা, সামনের সংখ্যার জ...