সেটা ২০০৩ সালের ঘটনা। জার্মানীতে এসেছি সবে ৩-৪ মাস হয়। যে যা বলে মাথা পেতে নেই। আইন-কানুন জানি না। ভাষা বুঝি না। রাস্তাঘাট চিনি না। কি আর করা। অগ্রজরা বলেন, আমরা নবাগত’রা শুনি। এই অগ্রজদের মধ্যে একজন ছিলেন ...
ছি্লেন এক বিদগ্ধ কবি। তিনি দীর্ঘ পাঁচ-পাঁচটি বছর সাধনা করে অভিধান সদৃশ একটি পান্ডুলিপি রচনা করলেন । কিন্তু হায়!! ঠিক, আরো পাঁচটি বছর ঘোরাঘুরি করেও তিনি সে পান্ডুলিপি কোথাও প্রকাশ করেতে পারলেন না। মুলতঃ কেউই তার পান্ডুলিপি পড়ে দ...
শিশিবোতলটি ভেঙে গুড়োগুড়ো হয়ে পড়ে আছে রাস্তার কিনারায়। তাই দেখে কেউ চলে পা বাঁচিয়ে, কেউ বা ভাবে- কে যে ভাঙলো! কেউ জিজ্ঞেস করে, শিশিতে কী ছিলো? কেউ বিরক্ত হয় সিটি কর্পোরেশনের ঝাড়ুদারের ওপর। তুলতে এসেও টোকাইরা ফিরে যায় ইউজ্যাবিলিটি ...
নিস্বনে বরাবরই লিখি। জার্মানীর ফ্রাংকফুর্ট থেকে শাহীন ও শিশিরাদ্রের হাড়ভাঙ্গা খাটুনীর ফসল এই ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা। আমি সাথে থেকেও অনেক সময়েই নেই।
সেদিন বাসায় ফোন বেজে উঠলো রাতে। ওপাশে শাহীন।
- তীরুদা, সামনের সংখ্যার জ...
আমার বাসাটা সম্ভবত কোনো বেড়িবাঁধের বস্তিতে। কারেন্ট নেই। বাঁধের উপর দিয়ে হাঁটছি বিকেলে। কবি খন্দকার আশরাফ হোসেন ডাক দিলেন- গোঁফ দাড়ি না থাকলেও তোমাকে কিন্তু চেনা যায়
- কিন্তু অনেকেই যে বলে চেহারা ...
বাবার হাত ধরিয়া মেলায় আসিয়াছিল মেয়েটি। দুপুরের প্রচণ্ড রোদে মানুষের কণ্ঠতালু শুকাইয়া ছিঁড়িয়া যাইবার উপক্রম, কিন্তু মেয়ে ফাতিমার মেলা দেখিতে কোনো ক্লান্তি নাই। চারিদিকে রঙবেরঙের পোশাক পরা মানুষ আর হরেক জিনিসের পসরা দেখিয়া খ...
সচলায়তনে আগমন ---- শুভেচ্ছা স্বাগতম।
নিজের ঢোল নিজেই পিটালাম। যে কোন মানুষের পছন্দের বিষয় স্বনামে আত্মপ্রকাশ করা। আজ সেই গর্বে আমি বলীয়ান। তাই নব উপায়ে ধন্যবাদ দিতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। তবুও-
সন্মানিত সম্পা...
এডওয়ার্ড লরেঞ্জ, যিনি বিজ্ঞানে বিশৃংখলার, থুড়ি, বিশৃংখলা তত্বের জন্ম দিয়েছিলেন, ৯০ বছর বয়েসে তিনি ক্যান্সারের কাছে হার মেনে নিলেন।
অন্যান্য সব বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের মত লরেঞ্জের নাম হয়ত অতটা শোনা যায় না। কিন্তু অনেক বিজ্ঞানীর ম...
৪.৫ জামাল
বাবা আমার বন্ধুদের সঙ্গে নিজে কথা বলে সন্তুষ্ট হয়ে অনুমোদন দিলেন। প্রতিশ্রুতিমতো পুঁজির টাকাও। একই সঙ্গে অপ্রত্যাশিতভাবে জানালেন, মগবাজারের বাড়িটি আমাকে লিখে দেওয়া হয়েছে। তাঁর ইচ্ছে রিনি এবং আমি আলাদা সংসা...
স্রোতের সত্যতা চিনি নতুন নিষাদে।
কাঁধে চন্দ্রের ভার নিয়ে নতজানু কৃষক।
সখ করে মাঠ থেকে কুড়িয়ে নিই
গ্রীষ্মের বীজ। নিজ হাতে রোপিত
ধানের চারা ছুঁয়ে জানাই প্রণতি। প্রীতি
আর পার্বণের চিহ্ন রেখে গেছে যে
বপণের ভোর, তার জানালায় উঁকি ...