[justify]
আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকার আধা খ্যাঁচরা মাঠে রাতে জ্যোৎস্না নামে। গুটিসুটি মেরে হামাগুড়ি দেয়। উবু চোখে তাকায় তিন নম্বর বি বাড়ির চার তলার বারান্দায় হুইল চেয়ারে বসে থাকা দাদীর চোখ বরাবর। দাদী অবলীলায় জ্যোৎস্না হজম করে ওচা ঢেঁকুর তোলে। সুহার্তো বারান্দার আরেক কোনায় সিগারেটে টান দিতে দিতে প্রায় অন্ধকার প্রাগৈতিহাসিক আকাশের দিকে তাকিয়ে ধোঁয়ার গোল্লা ওড়ায়। একবার দাদীর ম...
বুয়েটে মেলা দিন কনসার্ট দেখা হয় না। শেষ দেখছিলাম '০৩ ব্যাচের র্যাগে মাইলস, শিরোনামহীনের। এরপর মাঝে জেমস আসলো আর ওয়ারফেজ তো ২বার কাপায় গেলো। তো ওয়ারফেজ মিস করায় খুবই দুঃখ পাইছিলাম।এইটা আমার প্রিয় ব্যান্ড কিন্তু এদের একটা লাইভ কনসার্টও এখন পর্যন্ত দেখি নাই। তো ২৪ ডিসেম্বর ছিলো ডাব্লুউ আর ই ডে কনসার্ট। ভাবলাম এইবার যদি মিস করি তাইলে মনে হয় ওয়ারফেজ আমার কপালে আর নাই!! যাই হোক রাত ৮...
২৭-১২-০৯
অদ্ভুত এক বিষন্নতার মধ্যে দিয়ে দিন কেটে যাচ্ছে। এম্নিতেই আমার প্রতিদিনকার কাজের লিস্ট অনেক ছোট, যেচে কিছু করব সেই আগ্রহ কখনই নেই। দায়ে না পড়লে আর মাথায় সমস্যা না হলে আমি আমার হাতপা নাড়াতে নারাজ। পিসিটা নষ্ট হওয়ায় প্রতিদিনের লিস্ট থেকে তিনটি অত্যাবশ্যকীয় কাজঃ ফেসবুক, সচলায়তন আর বিডিজবস বাদ পড়ে গেছে।
অতি দরকারী কিছু কাজ যেমন খাওয়াদাওয়া, গলির দোকানটা থেকে চা-বিড়ি আর প্র...
[justify]
অনেকদিন লিখি না আমার প্রবাস জীবনের হিজিবিজি দিনলিপি। নিরর্থক মনে হয়। শেষ লিখেছিলাম অনেক আগে, এর মধ্যে অনেক কিছু টুকিটাকি আর বড়সড় ঘটনা ঘটে গেছে, সেগুলো নিয়ে স্মৃতিচারণের ইচ্ছেও হয় না।
ফার্মভিল খেলতাম মাঝে খুব, বলাইনী একদিন এসে উঁকি মেরে দেখে নাক সিঁটকে "এগুলি কী খ্যালেন?" বলে চলে যাচ্ছিলেন, তাকে একটা ইনভাইটেশন পাঠালাম। কয়েকদিন পর দেখি তিনি স্নানাহার বাদ দিয়ে ফার্মভিল খেলছে...
[justify]“গঙ্গারামকে পাত্র পেলে? জানতে চাও সে কেমন ছেলে?”-স্কুলের অ্যানুয়াল ফাংশনে লাল সাদা চেকের সেই ফ্রকটা পরে ঝুটি নেড়ে নেড়ে আবৃত্তি। ফ্রকটার কথা মনে আছে তোলা ছবি দেখে। এরপর বাসায় কেউ আসলেই বাবা বলতো- ঐ ছড়াটা বলে দাওতো, মা- “মন্দ নয় সে পাত্র ভাল, রঙ যদিও বেজায় কাল”- আদিবা বলতে চায় কী না চায় তা না শুনেই দাঁড় করিয়ে দিত টেবিলের ওপর। এখন যেমন যেতে চায় কী না চায় তা না শুনেই শুক্রবার বিকাল চার...
কুয়ালামপুরে বসে লিখছি। আমার এখনও বিশ্বাসই হচ্ছে না যে আমি সত্যি সত্যি দেশে যাচ্ছি!
এরকম হয়, যে ব্যাপারগুলো নিয়ে সবচেয়ে বেশি উতসাহ, আগ্রহ, প্রত্যাশা, অপেক্ষা বা এমন যেকোন ভালো লাগা বা কষ্টের অতি মানবীয় আবেগ জড়িয়ে থাকে, সেই ব্যাপারগুলো চোখের সামনে চলে এলে আমি ঠিক বিশ্বাস করে উঠতে পারি না। এয়ারপোর্টে তারুকে ফেলে যখন ইমিগ্রেশান পার হচ্ছিলাম, তখন আবার এটাও বিশ্বাস হচ্ছিলো না যে আমি ...
উৎপলকুমার বসু, জীবনানন্দ পরবর্তী মধ্য পঞ্চাশের কবি। হঠাৎ মজা করে লিখতে শুরু করা এই কবি এখন কবিদেরো কবি। নিজের একটা পাণ্ডুলিপি পুন:পাঠ করতে করতে মনে হলো, নতুনতো কিছুই এখানে নেই। আসলেই নেই। তবে আর কেন, এইসব পুনরাবৃত্তির প্রকাশ। তারচেয়ে উৎপলকুমার বসু থেকে কয়েকছত্র পাঠ করা যাক। এই কবি দুই বছর আগে নিজ দেশে পরদেশের নাগরিক হয়ে বেড়াতে এসেছিলেন।
সলমা-জরির কাজ
৭.
বন্ধু, তোমার হাতের উপর ...
৬৮.
ঘুম ভুলেছিলাম নিঝুম নিশিথে জেগে থেকে। তারপর জুলহাসের ডাকে চোখ খুল্লাম। খুলে দেখি লুসনিটা পন্ত জায়গামতো ঝুলছে। শুধু জুলহাসকে আর পাওয়া গেলো না। কিঞ্চিৎ জুলহাসপনা দেখা গেলো সহাস্য পলাতক পেলিক্যানের ঠোঁটে ...
৬৯.
এইসব বলে কোন লাভ নাই। ঠিক কোনসব বলে লাভ আছে সেটা আপাতত অস্পষ্ট হলেও একদিন্নাএকদিন স্পষ্ট হবে এরকম হরিহর মজমার চৌষট্টি ঘাটে একশত আঠাইশ বাড়ি স্পষ্টত: কোন কোন হাড়ি ফা...
এখানে আগের পর্ব
৬
কয়েকদিন কেটে গেছে, সত্যক আর রুবেন সারাদিন একসঙ্গে কাজ করে। কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেলে সত্যক নিজেই একসময় বলে," আর তো পারা যায় না, চলো চা আর ঝালমুড়ি খেয়ে আসি৷"
সন্ধ্যার চা-ঝালমুড়ির আড্ডা বেশ ভালো লাগে মনে হয় দুজনেরই, কোনো কোনোদিন এর সঙ্গে থাকে বড়ো বড়ো সিঙারা৷ কোনোদিন চায়ের সঙ্গে ঝালমুড়ি থাকে না, থাকে কচুরি আলুরদম৷ সত্যকের শেফ-র...
জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৭১ সালের ৭ই ডিসেম্বরে একটি প্রস্তাবনাকে সামনে রেখে এক বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তাবনার বিষয়বস্তু: যুদ্ধবিরতি ও সেনা প্রত্যাহার। পাকি বাহিনী যখন মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সৈন্যদের কাছে পরাজয়ের মুখোমুখি, এমনি এক পরিস্থিতিতে এই বাস্তববিবর্জিত প্রস্তাবটি পেশ করা হয়। এটি পেশ করা হয় এমনি এক পক্ষ থেকে, যারা পাকিস্তানের অখন্ডত...