১
কয়েকদিন আগে রাতে শাহবাগ থেকে একটা বাসে উঠে কয়েকটা স্টিকার লাগিয়েছিলাম বাসের ভেতরে । তারপর এক কোনায় চুপচাপ বসে পড়লাম । ফার্মগেটে এসে অনেক লোক উঠে বাসটা ঠাসাঠাসি করে ভরে ফেলল । যেসব জানালার কাঁচে স্টিকার লাগিয়েছিলাম তার একটার পাশে বসেছিলেন মধ্য বয়সী এক ভদ্রলোক । স্টিকার দেখেই এই প্রসঙ্গে পাশের জনের সাথে আলাপ জমে গেল । আমি কান পেতে শুনতে থাকি তাদের কথা । জানালার পাশের ভদ্রলোকই ...
বেশ কিছুদিন থেকেই দাঁতের ব্যাথায় খুব কষ্ট পাচ্ছি। ডাক্তার আমার কাছে ভয়াবহ ব্যাপার আর তার উপড় দাঁতের চিকিৎসা... আমার জন্য হৃদয় বিদারক মর্মান্তিক ঘটনা।। দাতের কারুকাজ করার সময় যে মুখে বাতাস কিংবা পানি দেয় তাতেও আমি ব্যাথা পাই আর অন্যকিছুর ব্যাপারতো বাদই দিলাম। দাত খোচানোর হাতা কাঠিগুলো দেখলেই আমার ব্যাথা লাগতে থাকে। কিন্তু কি আর করা। এবারতো আর ডাক্তারের কাছে না যেয়ে উপায় নেই দে...
১.
একটি মাত্র শপথের জন্য বেঁচে আছি
থাকবোও, আরও কিছু কাল
কেউ দানছত্র থেকে অনন্ত ভালোবাসা বিলোতে পারে না
অর্থনীতির রেভিন্যু সম্পর্কেও সমান প্রযোজ্য
যদি কাঁদি কখনও, ধরে নিও তা যে কোনও শিশুর
জানোইতো মেয়ে শিশু বেশি কাঁদে
আমার জীবন, আমি, সেতো এক খেলনা, কিংবা পুতুল
দম দিয়ে দিতে পারো, সময়মতো
ধরে নিতে পারো আমি তোমার এক ধরনের ব্যাথা
যা তোমাকে জানায় যে, তুমিও বেঁচে আছো।
২.
আমি দাঁড়িয়ে আছ...
দেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুরে যখন প্রথম যাই, তখন সারাদিন ভীষণ খারাপ লাগত। সিঙ্গাপুরের যাই দেখতাম, তাতেই বিরক্ত হতাম। হয়তো বাসে খুব নিরীহ কেউ বসে আছে, সে এত নিরীহ কেন দেখেও মনে হত একটা চড় বসিয়ে দেই। আর ঢাকার যেকোন কিছুর কথা মনে পড়লেই কান্না পেত। আমাদের বিয়ের সময় কটকটে গোলাপি রঙ করা শ্বশুরবাড়ির বেডরুমটা, যেটায় ঢুকলেই এক সময় রঙ দেখে মেজাজ চড়ে যেত, দেশ ছাড়ার পরে দেখা গেল সেটার জন্যও মন কাঁদে। ...
কথা হচ্ছিল বাঙালী মুসলমানর নামকরণের রীতি নিয়ে। সেখান থেকে সন্তানকে নিজের দলে টানবার প্রসঙ্গটা এল। লেখক অর্ঘ্য বললেন নামের এই রীতিটা সন্তান কে নিজের ধর্মীয় গোত্রে টানার প্রবণতারই ফল। অস্বীকার করিনি, কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল দলে টানবার এই আকাংখাটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। নইলে বিদেশের মাটিতে বসে সন্তানকে আমি বাংলা বলা কিম্বা ভাত খাওয়া শেখাই কেন, যেখানে ত...
আমার প্রতি তার তীব্র ভালবাসাই জয় করে নিয়েছিল সমস্ত প্রতিকূলতা । তখনকার প্রতিটি দিনরাত ছিল উৎকন্ঠার-না জানি কি হয় ! শেষের তিনটা মাস ছিল তিন যুগের সমান।
ঘরকুনো আমি ঘর ছাড়তে চাইতামনা যদিও, তবুও তার ব্যকুলতা স্পর্শ করত আমায় শতভাগই। বুঝতে চাইতনা সেটা তখন এবং এখনও। খুব কঠিন করে কিছু বললে জ্বর এসে যেত তখন এবং এখনও। প্রতি মূহূর্তে ১০০% এটেনশন চাইত তখন এবং এখনও...
ও আমার কাছে কোমল ছায়া চাই...
একটা ছোটোকাগজ করবো প্রাণস্রোত নামে। সেখানে সচলায়তনের সৌজন্যে এই পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর ছাপতে চাই। অনুগ্রহ ক'রে মন্তব্যের ঘরে উত্তর দিন।
================================================
০১.
কবি বুদ্ধদেব বসু পাঠকের সঠিক মনোযোগ পেয়েছেন বলে মনে করেন?
না পেয়ে থাকলে এর কারণ কী?
০২.
বু্দ্ধদেব বসুর ভাষান্তর করা বোদল্যার ও রিলকে বাংলা কবিতায় কী
ধরনের প্রভাব রেখেছে বলে মনে করেন?
০৩.
কথা সাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসুকে ...
লখ্যিন্দর প্রবল উত্তেজিত। সদ্য বিবাহ করিয়াছে সে। নববধূ রূপসী তন্বী বেহুলা পুষ্পসজ্জিত শয্যায় বসিয়া আছে উদ্বিগ্ন মুখে। পারসোনার সজ্জাকারিণীরা তাহাকে ভূতের ন্যায় সাজাইয়া দিয়াছে, মনে মনে ভাবিল লখ্যিন্দর। দেখিয়া মনে হইতেছে জাপানের একটি পতাকা শাড়ি পরিধান করিয়া বসিয়া আছে জবরজং।
লৌহনির্মিত বাসরঘরের ইশটিলনির্মিত দরজাখানি লাগাইয়া লখ্যিন্দর একে একে সবকয়টি খিল সুচারুরূপে আঁটি...
নাম তার হারুণ-উর-রশিদ। বয়স ১৭। বাংলাদেশের কোন এক গ্রামের ছেলে। তিন বছর আগে তার মা বাংলাদেশী এক লোককে টাকা দিয়েছিল ছেলেকে আমেরিকায় পাঠানোর জন্য। যাবার দুই দিন আগে হারুণের মা ছেলেকে বলেছিল, ‘তুই আমেরিকা যা, ওখানে তোর ভালো পড়ালেখা হবে’। তারপর বাংলাদেশী সেই লোক হারুণকে আমেরিকা নিয়ে আসল। কিন্তু পড়ালেখা করানোর পরিবর্তে সে তাকে নিউইয়র্কের এক বাংলাদেশী পরিবারের কাছে দিয়ে দিল, যে বাসা...