"এবার ক'দিন থাকবে?" পাশ ফিরে ডান হাতটা দিয়ে স্বামীকে জড়িয়ে ধরে অরিত্রী জানতে চাইল । জামিলের কাছ থেকে কোনো প্রকার সাড়া না পেয়ে মাথার চুল গুলিকে এলমেলো করতে করতে আবার বলল, "জানো, তুমি বিয়ের প্রথম বর্ষপূর্তীতে যখন এলে না, মা তখন কী বলেছিল?" ঘুমঘুম চোখে ভারী কন্ঠে জামিল জানতে চাইল "কী?" আমার মধ্যে না কি কোনো আকর্ষণ নেই, তাই তুমি আমাকে রেখে নিশ্চিন্তে বিদেশ পড়ে থাকো।" মাথাটা জামিলের প্রসস্ত ...
১
ঈশ্বর কইলো, 'হও' আর সব হইতে শুরু করলো, আলো হইলো, মহাবিশ্ব হইলো, স্বর্গ হইলো, নরক হইলো, পিথিমী হইলো, পিথিমীতে আদম হইলো, লিলিথ হইলো, আদম আর লিলিথ উইঠাই বেক্কল হইয়া দেখলো সব হইতাছে। আদম কইলো, 'বাহ মজা তো! আমিও কমু!'
আদম তখন হেভি ভাব নিয়া গুরুগম্ভীর গলায় লিলিথরে কইলো, 'শোও..'
লিলিথ কইলো, 'কুথায়?'
আদমের মেজাজ খারাপ হইলো, ভ্রু কুঁচকাইয়া কইলো, 'নিচে!'
লিলিথ কইলো, 'এহ!'
২
নিশি কালা রাইত। চাইরদিকে পান...
তুমি যখন জমাট হতে শিখলে তখন দেখলাম,
তোমার কনুই থেকে গড়িয়ে পড়ছে ক'ফোটা ঘাম
একটা নীল প্রজাপতি বসে আছে তোমার ঠিক
মুখোমুখি। একটা আলনায় জমাট হয়ে আছে
একাকী ,আমার খুব পরিচিত বন্ধনশিল্প।
তুমি যখন জমাট হতে শিখলে , মনে পড়ছে
এর দুদিন পর আমার সংগ্রহ থেকে গলে পড়লো
চারটুকরো বরফ। আমি মুঠোয় ধরে ,মাখতে
চাইলাম আমার বুকে-মুখে-ত্বকে। একটা শাদা
বক উড়িয়ে নিয়ে গেলো সেই ছায়াদৃশ্য। আমি
অবাক হয়ে শুধুই ...
ফরাসী বিভ্রম
আগের পর্বে বেহুদা জ্বালাইলাম আবঝাব বলে...চলেন মূল প্যাচালে যাই...
০১. অ্যাপেটাইজারঃ স্ট্র্যাডলড ইন আ জেট প্লেন
সে বছর মালয়েশিয়ান এয়ার সস্তায় বিজনেস ক্লাসের টিকেট দিচ্ছিল, তাই ইকোনমি ছেড়ে আগে বাড়লাম। যাত্রী হিসেবে আমি একটু অসামাজিক টাইপের , কোনমতে রাতের খাবার সেরেই ঘুমিয়ে পড়লাম চওড়া সিটটাকে বিছানা বানিয়ে । জানালার পাশের আসনে ছিলেন এক সুবেশী ...
১
গত কয়েকদিন মাঝে মাঝেই সচলে উকি দিয়ে যাই, কি হচ্ছে, আর অনেক কিছুই ভাবি দেশপ্রেম, রেসিজম, নিজেকে নিয়ে, ভবিষ্যত নিয়ে, ক্যারিয়ার নিয়ে…। তারপর আবার কাজে নেমে পড়ি, প্রব্ললেম সল্ভ করি, বাকি সময় আড্ডা মারি কলিগদের সাথে। ও বলা হয়নি আমি এখন কাবুল, আফগানিস্তান।
২
ভয়াবহ বাজে নেট স্পীড নিয়ে তার অপটিমাইজিং এর নতুন নতুন থিওরী বের করি। কিংকু চৌধুরীর ইস্নিপ্সের ফোল্ডার থেকে কিভাবে ডাউনলোড করব...
ভালোবাসা নিয়ে কথা তো আর নতুন নয়। বরং বলা যায়, আমাদের তাবৎ কথাবার্তা এই ভালোবাসা, নয়ত না-ভালোবাসা নিয়েই চলছে সেই অনাদিকাল থেকে। তার পরও কথা থেকে যায়, তারপরও কথা ফুরোয় না। ভালোবাসার আবেগ, ভালোবাসার ক্রোধ, ভালোবাসার অধিকার, ভালোবাসার দায়িত্ব, ভালোবাসার উপেক্ষা, ভালোবাসার স্বপ্ন, ভালোবাসার স্বপ্নভঙ্গ, ভালোবাসার জন্ম, ভালোবাসার মৃত্যু কিংবা ভালোবাসার মৃত্যুবরণ - কত কত কথা কিংবা কথকত...
প্রকৃতির এই আহবানকে উপেক্ষা করার কৌশল আজ পর্যন্ত কেউ শিখেনি। যত ক্ষমতাধর, শক্তিশালী বা বিত্তশালী হোক না কেন প্রকৃতির এই ডাককে অবজ্ঞা করার ক্ষমতা কারো নেই। গ্রামের মরুব্বীদের কাছে ছোট বেলায় একটা কথা শুনতাম "-----ইয়ে ধরলে নাকি বাঘের ভয়ও থাকে না।" আর এখনতো আলোকিত দিন, সাথে চার বন্ধু, সুতরাং সাজ্জাদেরতো ভয় পাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। আর লজ্জা! সেটাতো সাজ্জাদের প্রথম দিকে ছিলো, আস্তে আস্তে ব...
১
মাঝ দুপুরে রাতের মতন চুপ
দু-একটা কাক আলসে গলায় ডাকে
রোদের তাপে পুড়িয়ে তোমার রূপ
হাজির হলে আমার গলির বাঁকে
২
চোখের কোণে জল
হারিয়ে যাবার আগে তোমার সেই পুরোনো ছল
শিশির গড়ায় আমার বৃক্ষশাখে
৩
যাই বলে না, আসি
বারান্দাতে ফুলের চারা, শুকনো শাড়ি মেলা
হালকা হাওয়ায় তোমার চেনা হাসি
নিত্যদিনের বিদায় বিদায় খেলা
ছবি: লেখক
[এইটার ভূমিকা হৈলো- এইটার আবার কী ভূমিকা লাগে, অ্যাঁ?!]
আবার হাওয়ার ঠাট্টা-হাসি
আবার অক্টোবর।
শাপে বর, না বরেতে শাপ-
বোঝাটা দুষ্কর!
ভোর-বাতাসে হিম মেশানো,
রোদের রঙে শীত।
বিকেল হ'লেই কাঁপতে লাগে
একলা মনের ভিত্।
উদ্লা মনের একলা লাগা
নতুন কিছু নয়,
বছর বছর এমন মাসে
এটাই আমার হয়।
বুঝতে পারি- আসছে উড়ে
প্রিয় ঋতুর মায়া।
জানতে এখন ইচ্ছে, কবে-
আসবে তুমি, প্রিয়া?
[জীবনের বত্রিশ-তম অক্টো...
অনেক দিন ধরে যা মনে আসছে তাই লিখে যাচ্ছি । পাঠক শ্রেনীর নিন্দা-প্রশংসার কোনরকম তোয়াক্কা না করে, লিখছিতো লিখছি : অনেকটা ক্ষ্যাপার মতো । হঠাত্ করে নিজেকে প্রশ্ন করে বসলাম, কেন লিখছি এবং কেনইবা লিখবো ? উত্তরখানা পেলাম অনেকটা এরকম :
Eventually, I write to please myself,
With things come out from deep and dark:
Towards light and flashed flare.
Want to be happy little more,
with share and blinks:
Unconditioned, free and fair.
কেন আমরা লিখি অর্থাত্ লেখালেখির উদ্দেশ্য সম্পর্কে সব লেখিয়েদের প্রায় ...