দরজা
কিছু দরজা বন্ধ থাকাই ভালো। কিছু দরজা কখনোই খুলতে নেই। কিছু দরজা কখনোই থাকতে নেই। তবু, কাল হঠাৎ করেই ভুল দরজাটাই খুলে ফেলে রূপকথা। আশ্চর্য, এই ঘর তার পরিচিত। এখানে রূপকথা আগেও এসেছে। দেয়াল থেকে শুরু করে খাট, টেবিল, চেয়ার, আলমিরা সব তার পরিচিত। এই ঘরের জানালায় বসেই রূপকথা অপেক্ষার প্রহর গুণতো। ভাবতো ইফতির কথা। ইফতি তখন প্রায়ই দেরি করে বাড়ি ফিরতো। বাড়ি যতো কম আসা যায় ততোই ভালো...
প্রিয় হাসিখুশি,
আজ ছুটি। কলেজ নেই, কিন্তু প্রচুর কাজ ছিল। কিছুই করতে পারলাম না। ছ’টা বড় লেখা লিখতে হবে বিভিন্ন কাগজের জন্য। কিছুতেই লেখায় মন বসছে না। স্বাতী এসে ফিরে গেছে বলে মন খারাপ আর তাই লিখতে পারছি না, এমনটা নয়। মন খারাপ হয়ে আছে এমনিতেই। কেন খারাপ হচ্ছে জানলে তো মন ভালো করার জন্য একটা ব্যবস্থা নেওয়া যায়। যে অসুখ তুমি বুঝতেই পারলে না, তার চিকিৎসা করবে কি করে? কিন্তু এমনটা মাঝে...
হয়তো বেশি না। মাত্র ৬ মাস । এই ৬ মাসে বদ্লে গেছে অনেক কিছু। শিক্ষা জীবন শেষে মুখোমুখি বাস্তব জীবনের। সবাই কমবেশি ছড়িয়ে পড়ছে, সেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি করবে। আজ হয়ত শেষ দেখা কিংবা আবার দেখা হবে। কে জানে..... সময় বেশি নেই, জরুরী কিছু কাজ বাকি, কাল বাদে পরশু এই শহরের ভোর হবার আগেই চলে যাবে সে। অথচ তার কোন পাত্তা নেই, এক ঘণ্টা হয়ে গেল। এইভাবে আর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যায়। বলল তিনট...
ভয়
আমি ভয় পেয়েছিলাম সেই দিন, অতি গোপনে
যেদিন আমার চোখের সামনে হাসপাতালের মেঝে
ছোট্ট শিশুটি বাঁচার তীব্র কাঙ্খায় তাকিয়েছিল
তার চোখের ভাষা যেন সবার কাছে আকুতি-মিনতি
করে বলছিল 'বাঁচিতে চাই সুন্দর ভুবনে'আমাদের
তাকানোর ভেতর দিয়ে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল
সেদিনই উপলব্দি করেছি সব জীবের মৃত্যু অবধারিত
আজ সে কথা নিজের করে ভাবতে ভাবতে মনে হলো
এ-জীবনের যত ইচ্ছে, যত বাহাদুরি সবই ম...
আমার কোনো শব্দ নেই
আমার কোনো আমি নেই। তবু
আমার শরীর ঘিরে মেঘেদের মিছিল,
আমার কোনো নদী নেই
তবু আমি মাঝিদের দুঃখ বুঝি।
আমার দুঃখগুলো পিঁপড়ে টেনে নিয়ে যায়...
যে যার মতো করে আমার শরীরে
বৃষ্টি ঝরায়। আমি কাঁপন টের পাই,
তবু আমি জল খুঁজে পাই না।
যে যার মতো আমাকে নিয়ে খেলা করলো
তবু আশ্চর্য, আমি আমাকে কোথাও খুঁজে পেলাম না।
স্বাধীন হওয়ার তীব্র ছুটাছুটির সবকটা স্তর পারি দিয়ে প্রেমহীন আমি এখন পুরা প্রেমিক। স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখতে কতইনা পাক পরিকল্পনা করতে হয়েছে আমাকে। আর কতইনা মধুর বানী ঝড়িয়েছি কন্ঠে আমার-রেখেছিলাম আচ্ছন্ন করে তাকে-তারই লেখা কাব্যে। দাঁড়িয়েছিলাম কতোকাল সিমানায় অতন্দ্র প্রহরী হয়ে-একাই। অভ্যন্তরে আসতে হয়েছে কতোবার শৃংখলা রক্ষার্থে, দুর্যোগ মোকাবেলায়, পূনর্বাসনেও। এভাবেই চলতে থ...
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে সচলে অতিথি-সচল হয়ে লিখতে শুরু করেছিলাম। তার আগে উঁকি মেরে মেরে চলে যেতাম, এখানের লেখাগুলো পড়ে ভালো লাগতো কিন্তু নিজে কেমন করে লেখা যায় সেই কৌশল কিছুতেই বুঝতে পারি নি। ঘটনাচক্রে একদিন জানা হয়ে গেল তাও। তারপরে আর কি, ব্যস! বেশ নেশা জমলো, হাবিজাবি যা পারি লিখে যাই, একসময়ে ছবিও জুড়তে শিখলাম। তারপর একদিন পূর্ণ সচলও হয়ে গেলাম। খেয়াল করে দেখি আজকের এই পোস্টটা হবে ...
ভয়ানক গরম পড়ছে আজ। জ্যৈষ্ঠের কাঠফাটা দুপুর। ক্লাস শেষে কোনমতে ষ্টেশানগামী শেষ বাসটা ধরে ঝুলে পড়লাম। ষ্টেশানে এসে দেখি ট্রেনে ঠাসাঠাসি ভীড়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুপুর দেড়টার ফিরতি ট্রেনের যাত্রাটা মোটেও সুখকর নয়, বিশেষ করে এই দাবদাহে। কোন বগিতেই সুঁচ ঢোকার জায়গা নেই। বগির পাদানি গুলো পর্যন্ত দুজন করে বসে দখল করে রেখেছে। হ্যান্ডেল ধরে ঝুলে যাবার আশাও মাঠে মারা গেল।
ব...
১০.
সন্ধ্যার অন্ধকার গাঢ় হয় হয় এমন একটা সময়ে পৌঁছে গেলাম হিরণ পয়েন্টে। বিখ্যাত স্পট। বনবিভাগের বিশাল অফিস সেখানে। আছে নৌ-বাহিনী আর মংলা বন্দরের দুটো আস্তানা। আগেরবার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে শেখ হাসিনা সুন্দরবন নিয়ে কি একটা প্রজেক্ট আর রামসার এরিয়া ঘোষণার জন্যে সেখানে গিয়েছিলেন। বিশাল একটা ফলক লটকে আছে সেখানে। আছে এই এলাকার একমাত্র মিঠাপনির পুকুর। জেটিতে বোট বেঁধে আমাদেরক...
মুরুব্বীরা বলেন, কারো আর্থ-সামাজিক অবস্থা আর রুচির পরিচয় পাওয়া যায় তার বাথরুম দেখে। বাংলাদেশের পাবলিক টয়লেটগুলার অবস্থা সম্পর্কে অনেকেরই ভাল ধারনা থাকার কথা। কোথাও বের হওয়ার আগে আমি সবসময় টয়লেট সেরে নেই। তারপরো কেন জানি বিধাতা আমার দিকে মুখ তুলে চান না। ফলস্বরূপ আমাকে কিছুক্ষণের মধ্যেই ইতিউতি চাইতে হয়। এম্নিতে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে পড়তে আমার কোন সমস্যা নাই, কিন্তু সাথে বড় বা...