কত সহজেই না রাজনীতির মারপ্যাঁচে ইতিহাসের দগদগে ঘা'কে আমরা ঢেকে রাখি। প্রতিবছর ঘুরে ঘুরে ১৪ ডিসেম্বর এলে বিচার চাই বিচার চাই বলে আবার চাদর টেনে দেই। গ্যাংগ্রীনের পুঁজ মেখে সেই চাদর বহুদিন থেকেই তার বর্ণহীনতা খুইয়েছে। এখন চট করে বাইরে থেকে দেখলে একরকম ডেকোরেশন মনে হয়। বেশ চমৎকার মানিয়ে গেছে বর্ণাঢ্য ইতিহাসের শোকেজে। বছর বছর ঘোমটা খুলে কয়েক মুঠো...
অধ্যাপক জাফর ইকবাল খুব সংক্ষেপে স্বাধীনতার ইতিহাস লিখেছেন। তিনি পারতেন আড়ম্বরপূর্ণ কথাবার্তায় বিশাল কলেবরে একটা বই বের করতে। কিন্তু তিনি সেটা করেন নি। কারণ তথ্যপূর্ণ কথা বেশি বলার চেয়ে কথার লাইন লেন্থ বজায় রাখাটাই মূখ্য।
আজ ১৪ই ডিসেম্বর। আমাদের স্বাধীনতার সোনালী আমেজে একটা তেঁতো স্বাদ।
এই তেঁতো স্বাদ যারা আমাদেরক...
…
(প্রথম পর্বের পর…)
…
# শহীদ বুদ্ধিজীবী সমাধিক্ষেত্রে চিরশায়িত শহীদদের সমাধি
ঘাতকরা যখন আলোচনা (!) র আয়োজন করে ------
এই সেই দেশ যেখানে এখনও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা সকল ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসেন জাতীয় প্রয়োজনে। জাতীয় দিবসে। তারা বলেন , জয় বাংলা।
আজ সেই দেশেই একাত্তরের ঘাতক দালাল রাজাকার রা আলোচনার আয়োজন করে। তারা ও কচ্ছপের মতো গলা বাড়িয়ে বলে , এই দেশের বুদ্ধিজীবিরা ছিলেন স্বর্ণসন্তান।
বড় শংকিত হই , যখন একাত্তরের আলবদর কমান্ডার মতিউর রহমান নিজাম...
বলিতে ছিলাম ঘর সংসার নিয়া। সংসার শব্দটিকে যতই "সং" এর সার বলিয়া বৈরাগ্য দেখাই না কেন গরম গরম ভাত আর নরম নরোম বাতাস পাইতে হইলে "সং" টা বাদ রাখিয়া সার টা নিয়াই ভাবতে হয় । তো সংসারে কি কি আছে একটু দেখি? ভাই বোন, মা বাবা, বউ , ছেলে মেয়ে, জিনিস পত্র। এইতো? না একটা জিনিস বাদ পড়িয়াছে। তেলাপোকার কথা যে বাদ পড়িয়াছে।! আমি হলফ করিয়া বলিতে পারি বারাক হোসেন ওবামার হুয়াইট হাউজ থেকে শুরু করিয়া নাসার হেড ...
স্কুল থেকে ফিরেই রুবাবা ব্যগটা টেবিলের উপরে রেখে কোন রকমে জামাটা বদলে তার প্রিয় কাঁঠাল গাছে খেলার ঘরে তরতরিয়ে উঠে যায় কমলাবতীর সংসার নিয়ে। বাবা বাড়ি ফেরার আগে যতটা খেলে নিতে পারা যায় আরকি!!
দাদী এসে কাঁঠাল গাছের নিচে দাঁড়ায়, কোমড়ে হাত রেখে উপর দিকে তাকিয়া বলে "নিচে নাম জলদি, গোসল করতে, খেতে হবে না?" খুব মনযোগ দিয়ে তখন পুতুলকে নতুন বানানো ড্রেসটা পরাতে ব্যস্ত, দাদীর কথা কানেই যায়নি...
লিফটে দরজার সামনে ওদের দেখা। দুজনের চোখেই কিছুটা কৌ্তুহল।কোন রকম ইতস্তত না করেই তরুন দু পা এগিয়ে যুবতীকে পরিস্কার ইংরেজীতে জানতে চায়, তুমি কোন দেশী?
আমি বাংলাদেশী, তুমি? মৃদু হেসে যুবতীও ইংরেজীতেই উত্তর দেয়।
তরুন এবার বাংলায় বলে, আপনি বাংলাদেশী!সিঙ্গেল স্টুডেন্টসদের এই হাউজেই থাকেন! এখানে আর কোন বাংলাদেশী আছে বলে তো জানি না!
-আমিও তো জানতাম না। কাল চাবি নেয়ার সময় প্রভোষ্টকে ...
[সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ
এখানে গাওয়া গানটি এক (অ-)গায়কের রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার (অপ)চেষ্টা। যারা রবীন্দ্রসঙ্গীতের একনিষ্ঠ শ্রোতা এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত খেয়ে-পরে-বেঁচে আছেন তাদের কে এই গানটি না শোনার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। এরপরও যদি কেউ শোনেন এবং সে কারণে বিপুল মনঃকষ্ট ও নিদ্রাহীনতার শিকার হোন--সেজন্যে এই (অ-)গায়কটি দায়ী থাকবেন না।]
বড় জটিল একটা সময় পার করছি।
কোন কিছুই ঠিক ...
××× বিশুদ্ধ শৈল্পিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিখ্যাত দুষ্টু ছবি থাকার সম্ভাবনা ব্যাপক। সুতরাং ঢোকার আগে সাধু সাবধান।×××
উপরোক্ত কথাটি একটি ভুল ডিসক্লেইমার। এই সিরিজের কোনো ছবিতে দুষ্টু কিছু দেখার নাই, কিন্তু বুঝে নেওয়ার আছে
সিরিজ লেখা শুরু করেছিলাম প্রতিদিন একটা করে (অন্তত: একদিন পর একদিন) লেখা দেব ভেবে। কিসের কি! পরীক্ষা আসলো, পর্বত সমান চাপে তামা তামা হয়া গেলাম.. দাড়ি বড় হইত...
দিনগুলি মোর আজকাল মোটামুটি দৌড়ের উপর কাটে, কাজেই "দিনগুলি মোর" নামক সিরিজটা ছাড়া আর কিছু লেখার মতো চিন্তাভাবনা করার অবকাশও জোটে না। কলেজ স্ট্রীট বহু দূরের বস্তু, উপন্যাস লেখার জন্য যে প্রস্তুতির প্রয়োজন তা করা প্রায় অসম্ভব আপাতত, কাজেই এই সব খুচরো মাল দিয়েই কাজ চালাই।
এই ঘোর শীতের মধ্যে হর হপ্তা যাই সুদূর উত্তরের মিনিয়াপোলিসে। এটি শীতকাতুরেদের জন্য নয়, যেরকম হরর ফিল্মের পোস্ট...