[justify]
অনেকদিন লিখি না আমার প্রবাস জীবনের হিজিবিজি দিনলিপি। নিরর্থক মনে হয়। শেষ লিখেছিলাম অনেক আগে, এর মধ্যে অনেক কিছু টুকিটাকি আর বড়সড় ঘটনা ঘটে গেছে, সেগুলো নিয়ে স্মৃতিচারণের ইচ্ছেও হয় না।
ফার্মভিল খেলতাম মাঝে খুব, বলাইনী একদিন এসে উঁকি মেরে দেখে নাক সিঁটকে "এগুলি কী খ্যালেন?" বলে চলে যাচ্ছিলেন, তাকে একটা ইনভাইটেশন পাঠালাম। কয়েকদিন পর দেখি তিনি স্নানাহার বাদ দিয়ে ফার্মভিল খেলছে...
[justify]“গঙ্গারামকে পাত্র পেলে? জানতে চাও সে কেমন ছেলে?”-স্কুলের অ্যানুয়াল ফাংশনে লাল সাদা চেকের সেই ফ্রকটা পরে ঝুটি নেড়ে নেড়ে আবৃত্তি। ফ্রকটার কথা মনে আছে তোলা ছবি দেখে। এরপর বাসায় কেউ আসলেই বাবা বলতো- ঐ ছড়াটা বলে দাওতো, মা- “মন্দ নয় সে পাত্র ভাল, রঙ যদিও বেজায় কাল”- আদিবা বলতে চায় কী না চায় তা না শুনেই দাঁড় করিয়ে দিত টেবিলের ওপর। এখন যেমন যেতে চায় কী না চায় তা না শুনেই শুক্রবার বিকাল চার...
কুয়ালামপুরে বসে লিখছি। আমার এখনও বিশ্বাসই হচ্ছে না যে আমি সত্যি সত্যি দেশে যাচ্ছি!
এরকম হয়, যে ব্যাপারগুলো নিয়ে সবচেয়ে বেশি উতসাহ, আগ্রহ, প্রত্যাশা, অপেক্ষা বা এমন যেকোন ভালো লাগা বা কষ্টের অতি মানবীয় আবেগ জড়িয়ে থাকে, সেই ব্যাপারগুলো চোখের সামনে চলে এলে আমি ঠিক বিশ্বাস করে উঠতে পারি না। এয়ারপোর্টে তারুকে ফেলে যখন ইমিগ্রেশান পার হচ্ছিলাম, তখন আবার এটাও বিশ্বাস হচ্ছিলো না যে আমি ...
উৎপলকুমার বসু, জীবনানন্দ পরবর্তী মধ্য পঞ্চাশের কবি। হঠাৎ মজা করে লিখতে শুরু করা এই কবি এখন কবিদেরো কবি। নিজের একটা পাণ্ডুলিপি পুন:পাঠ করতে করতে মনে হলো, নতুনতো কিছুই এখানে নেই। আসলেই নেই। তবে আর কেন, এইসব পুনরাবৃত্তির প্রকাশ। তারচেয়ে উৎপলকুমার বসু থেকে কয়েকছত্র পাঠ করা যাক। এই কবি দুই বছর আগে নিজ দেশে পরদেশের নাগরিক হয়ে বেড়াতে এসেছিলেন।
সলমা-জরির কাজ
৭.
বন্ধু, তোমার হাতের উপর ...
৬৮.
ঘুম ভুলেছিলাম নিঝুম নিশিথে জেগে থেকে। তারপর জুলহাসের ডাকে চোখ খুল্লাম। খুলে দেখি লুসনিটা পন্ত জায়গামতো ঝুলছে। শুধু জুলহাসকে আর পাওয়া গেলো না। কিঞ্চিৎ জুলহাসপনা দেখা গেলো সহাস্য পলাতক পেলিক্যানের ঠোঁটে ...
৬৯.
এইসব বলে কোন লাভ নাই। ঠিক কোনসব বলে লাভ আছে সেটা আপাতত অস্পষ্ট হলেও একদিন্নাএকদিন স্পষ্ট হবে এরকম হরিহর মজমার চৌষট্টি ঘাটে একশত আঠাইশ বাড়ি স্পষ্টত: কোন কোন হাড়ি ফা...
এখানে আগের পর্ব
৬
কয়েকদিন কেটে গেছে, সত্যক আর রুবেন সারাদিন একসঙ্গে কাজ করে। কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেলে সত্যক নিজেই একসময় বলে," আর তো পারা যায় না, চলো চা আর ঝালমুড়ি খেয়ে আসি৷"
সন্ধ্যার চা-ঝালমুড়ির আড্ডা বেশ ভালো লাগে মনে হয় দুজনেরই, কোনো কোনোদিন এর সঙ্গে থাকে বড়ো বড়ো সিঙারা৷ কোনোদিন চায়ের সঙ্গে ঝালমুড়ি থাকে না, থাকে কচুরি আলুরদম৷ সত্যকের শেফ-র...