আমার খালা মুনা। তার দু’টি ছানা। মাহরাফ, মাইশা।মাহরাফ ৯, মাইশা ৪।
বড়টি অটিস্টিক। ভীষণ পড়ুয়া। প্রতি ক্লাশে ফার্স্ট হয়। বলে, “আমি দ্রুত বালক”(first আর fast গুলায় ফেলে)। কিছু দিন অন্তর বিচিত্র সব অবসেশন তৈরি হয় তার। একবার হল এনার্জি সেভিং বাল্ব নিয়ে। দোকানে গেলেই বাল্ব কেনার বায়না ধরে। কারুর সাথে আলাপচারিতার শুরুতেই জানতে চায়, “এই, তোমাদের বাসায় কি এনার্জি সেভিং বাল্ব আছে?”।
তার অতিসম্প...
দেখতে দেখতে এসে গেল সেই দিন। এইতো আগামী ৭ ডিসেম্বর কোপেনহাগেনে শুরু হবে অনেক প্রতিক্ষিত ঐতিহাসিক পরিবেশ জলছা।
জলছার পোশাকি নাম হল কপ ১৫। নামশুনে মনে হতে পারে যে এখানে ১৫টা (রসগোল্লা) কপ কপ করে গিলে ফেলা হবে বা সবাই মিলে শামসু কসাইকে হেইও বলে বলে ১৫ বার চাপাতির কোপ মারতে দেখবেন। জলছার মধ্যে রসগোল্লার মত মিঠা আর চাপাতি মত সুরুখ্ ললনাদের হয়তো...
যন্তরপাতি জিনিষটাকে আমি সত্যি সত্যি ডরাই..মিনি সাইজের ক্যালকুলেটারেও ঠিক সুবিধা করে পারিনা কিনা, 2004..সেকেন্ড ইয়ার,এক সখী জুটেছিলো নেটখোর,ঐ বালিকার সুবাদেই অর্ন্তজালে হাতখড়ি.. আজকের হাবিজাবি অনলাইনে খুঁজে পাওয়া এক বন্ধুকে নিয়ে!
আমাদের দোস্তির বয়স বছর পাঁচেক..সরাসরি দেখা হয়নি কখনোই,নাহ..আমি প্রবাসিনী নই,শহর আলাদা হলেও তিনিও বাংলাদেশেরই বাসিন্দা,আসলে মুখোমুখি হওয়াটা খুব বেশি ...
সকালে উঠে দাঁত ব্রাশের পর প্রতিদিনকার মতো কম্পু চালু করে পাঁচটা ট্যাবে খবরের কাগজখুলে পড়া শুরু করলাম। হেডলাইন পছন্দ হইলে বিস্তারিত, না হইলে হেডলাইনেই খতম। ত্রিতীয় ট্যাবের সাইটে প্রথম পাতার হেডলাইনগুলো দেখতে দেখতে চোখে পড়লো পরপর তিনটা লনচডুবি সংক্রান্ত হেডলাইন। তিন নাম্বারটার হেডলাইন্টা একটু খাপছাড়া মনে হওয়ায় মারলাম ক্লিক।
বিস্তারিত পড়ে আমি...
সোহোরার্দী পার্কের ল্যাম্প পোস্টের আলোতে রুপালী ছেলেটাকে অন্ধকারের দিকে এগিয়ে আসতে দেখলো...
রুপালী তার সাথের সবাইকে বলে রেখেছে এই ছেলেটা এলে সে ছাড়া আর কেউ যাবেনা তার কাছে..
লুলা সামসুর বউ আসিয়া রুপালীকে মুখ ভেংচে বলে-এ্যা ঢং কত! ঐ ছ্যাড়া বিয়া করবো তরে?এত পিরিত কিসের?ল্যাহা পড়া করা পুলাপান মাতা গরম হইলে এইহানে আসে। তর মুক দেখছে ঐ ছ্যাড়া কহনো?জীবনেও দেখতনা,তুমি খালি তারে নিয়া খোয়া...
ছেলেবেলার একটা দিনের কথা মনে হলেই চোখের সামনে অনেক কিছু ভেসে উঠে। একটা সময় ছিল যখন ঈদ মানে ছিল অন্যরকম কিছু একটা। সকালে ঘুম ভাঙ্গতো বাসার পাশের মসজিদ থেকে মোয়াজ্জেমের মাইকিং শুনে। অস্থির হয়ে ঘুম থেকে উঠতাম... চারপাশ দেখতাম। সবকিছুই কেমন যেন নতুন মনে হত। অন্যদিনের আকাশ থেকে সেদিনের আকাশটাকেও একটু অন্যরকম লাগতো। চারপাশ কেউ যেন একটু অন্যরকম করে সাজিয়ে দিয়ে যেত। ছোট-বড় সবাই মনের আ...
অদ্ভুত এক রোগের কবলে আমি
মিঠুন কুমার সমাদ্দার
“তোর তো মামা ওষুধ ফুরায় গেছে” হাসতে হাসতে একদিন একথাটা বলেছিলেন সুবর্ন আর্য্য( ছোটোকাগজ কর্মী, ছড়াকার) এই কথাটা আমাকে মাঝে মাঝে ভাবায় আসলেই কি আমার ওষুধ ফুরাইছে? কোনো কিছুই ভাল লাগছে না ইদানিং, ভাল করে কথা বলতে পারছি না সবার সংগে। যেমন ধর কোনো মিটিং এ কথা বলতে গেছি কথার মাঝ খানে আটকে গেছি.... “তারপর কি হবে, ঔ বলিস না ক্যানরে” এই হল অবস্...
হাতের মুঠোয় আঁকড়ে ধরে আছি
একরাশ রঙিন কাগজ। ফেস্টুন।
কাগজ? শুধু কাগজ নয় ওগুলো;
অন্তত আমার কাছে তো নয়ই।
তাহলে কি ওগুলো? আমি বলি,
‘ওগুলো স্মৃতি’। হাসলে? হাসির কথা নয় মোটেও!
মনে আছে? সেই যে সেদিন?
মনমরা হয়ে বসে ছিলাম আমি।
কিচ্ছু ভাল্লাগছিল না। এই যে, এখানে,
এই কাগজটিতেই তুমি এঁকেছিলে! দেখ, দেখ!
মনে পড়ে না বুঝি? অমন কৌতুকময় কার্টুন
শুধু তুমিই আঁকতে আমাদের ক্লাসে।
এই ময়লা আধ-ছেঁড়া কাগজটু...
আমাদের বাসায় ২টা বেড়াল ছানা আছে!! যদিও ২টাই মানুষের ছানা, তাও আমার কাছে বেড়ালের ছানাই মনে হয়!বড়টা আস্তে আস্তে মানুষের ছানা হয়ে যাচ্ছে...তবে পিচ্চিটা এখনো গুব্লা গুব্লা বিল্লি ছানাই রয়ে গেছে!
বড়টার নাম হাসিব,ছোট্টটা সাহিক। আমার আপু অফিসের কাজে পুরা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়ায় আর মিটিং করে!!! তাই এই পিচ্চি দুইটা আমার আম্মুর কাছেই বড় হচ্ছে বলা চলে!
বড়টা যখন ছোট ছিল, বেশ শান্ত ছি...
১.
আপনাদের এমন হয়েছে কিনা, জানি না। তবে আমার ইদানিং টেস্ট ক্রিকেটের উপর থেকে আগ্রহ একেবারে উঠে গেছে। কেমন জানি ম্যাড়ম্যাড়ে খেলা হচ্ছে সব।
ইন্ডিয়া-শ্রীলংকা টেস্ট সিরিজের কথাই ধরুন, মুড়ি মুড়কির মতো সেঞ্চুরী হচ্ছে। বোলাররা সারাদিন বল করেও ২/৩ টার বেশী উইকেট পাচ্ছে না। এমন পিচ বানিয়ে রেখেছে, বোলারদের ছেড়ে দে মা কেঁদে বাচি অবস্থা। এই রকম একপেশে উইকেটে কিভাবে ইন্টারেস্টিং ম্যাচ সম...