Archive - ডিস 2009 - ব্লগ

December 2nd

ফিরে ফিরে আসবো, তোর কাছে

রেশনুভা এর ছবি
লিখেছেন রেশনুভা (তারিখ: বুধ, ০২/১২/২০০৯ - ১০:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
প্রতিবার লিখতে বসার সময়ই মনে হয় তোকে নিয়ে লিখব। কোনবারই হয়ে ওঠে না। তোকে নিয়ে লিখে কী পুরোটা শেষ করা যাবে, তুইই বল? একবার লিখেছিলাম ও কিছুদূর। প্রথম প্যারা শেষ হতেই দেখি কী-বোর্ড ভিজে যাচ্ছে অনর্থক চোখের পানিতে। ওযাত্রায় আর লেখা হল না। আজ কী তবে শেষ করতে পারব?

তোকে দেখি না অনেকদিন। সাত মাসের বেশিই হয়ে গেল। শেষবার যখন তোকে দেখি কী করছিলি তোর মনে আছে? সিএনজিতে বসে আমার সাথে সে ক...


স্বপ্নের সমীকরণ

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: বুধ, ০২/১২/২০০৯ - ২:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেশ কিছুদিন থেকে আমি চেষ্টা করছি স্বপ্নকে বর্ণনা করার একটা স্টাইল খুঁজে বের করতে। বিশেষ করে গল্পের জন্য। মানুষ স্বপ্ন দেখার সময় যেভাবে দেখে কোনোভাবেই সেটাকে অন্যের কাছে বর্ণনা করতে পারে না

বর্ণনা করতে গেলে দেখা যায় পুরো স্বপ্নটা একটা সরল কাহিনী হয়ে যাচ্ছে- আমি দেখলাম আমি ডুবে যাচ্ছি। তারপর অমুককে দেখলাম দাঁড়িয়ে আছে। কিংবা দেখলাম ওরকম একটা জায়গায় গেছি। অনেক লোক। কাউকে চিনি ...


ছায়াম্লান দিন (অসম্পূর্ণ)

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি
লিখেছেন জুলিয়ান সিদ্দিকী (তারিখ: বুধ, ০২/১২/২০০৯ - ১:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিছু কথা:
সচলায়তনের পাতায় ধারাবাহিক উপন্যাস পোস্ট করলে কেউ কেউ ব্যক্তিগত ভাবে উপন্যাসটির পূর্ণাঙ্গ পিডিএফ কপিটি আগেভাগেই তাঁদের মেইলে পাঠিয়ে দিতে বলেন। তা অনেক সময় করিও। কিন্তু এবারকার উপন্যাসটি (ছায়াম্লান দিন)র পরিচ্ছেদগুলো খানিকটা বড় বলে ধারাবাহিক ভাবে দিতে গেলে পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখা সম্ভব না ও হতে পারে। তাই এবার ধরনটা একটু পরিবর্তন করে পিডিএফ অংশে সিংহভাগই তুলে দিয়ে শ...


সিনেকাব্যঃ এবং ঋতুপর্ণ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: মঙ্গল, ০১/১২/২০০৯ - ৯:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আমি নানান ফরেন মুভিতে আসক্ত। সে অনেক কাল। বাংলা ছবিতে আমার আগ্রহ কেন জানি কম। বছর সাতেক আগের কথা। আমার এক বন্ধু আমাকে প্রথম পরিচিত করান ঋতুপর্ণ ঘোষের সাথে। ছবির নাম উনিশে এপ্রিল। দেখে ভালোই লেগেছিল। ঋত্বিক ঘটক বাংলা সিনেমা-বানিয়েদের মধ্যে আমার সবচে পছন্দের। অযান্ত্রিক। উফ, কি অসাধারণ! সুবোধ ঘোষের গল্পটা খুব ভালো। কিন্তু সাহিত্যের অনেক উৎকৃষ্ট ফল সিনেমায় নামলে টকে যায়। ঋত...


মনে না রাখার মতো ৪

মনামী এর ছবি
লিখেছেন মনামী (তারিখ: মঙ্গল, ০১/১২/২০০৯ - ৮:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোটটাকে কোলে গুঁজে, বড় মেয়েটাকে পথের ওপর দিয়ে অনেকটা হেঁচড়াচ্ছিল সেলিনা। এ পথ তার চেনা নয়। তার পথের রঙ নরম সবুজ। এ পথ শক্ত কালো রঙ এর।

এখানে মানুষের মুখ কুয়াশায় তৈরি। ঠান্ডা আর অস্বচ্ছ। কিন্তু সেলিনার খুব বিপদ! তাই বদ্ধ ঘরে আটকে পড়া পাখির মত দেয়ালে বার বার বাড়ি খাওয়া, অদম্য প্রাণশক্তির অসহায় ক্ষয়।

“আমার স্বামীরে দেখসেন? উনার নাম আব্দুর রাজ্জাক।”

শহরে কেউ কাউকে চেনে না।

“এই ...


পুনর্জন্ম বিষয়ক একটি ব্যর্থ রচনা-

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: মঙ্গল, ০১/১২/২০০৯ - ৮:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভূমিকাঃ
-------
আমি টিভি খুব একটা দেখি না। একটা লম্বা সময় হোস্টেলে থেকেছি বলে টিভি-র প্রতি আকর্ষণ একদমই উবে গেছে। সিরিজ ধরনের নাটক বা ডকুগুলোর প্রতি আবার বিশেষ এলার্জি আছে, টিভিতে ওগুলো দেখাই হয় না তেমন।
এখানে এসে অবশ্য একটা উপকার হয়েছে, দোকানে গেলে বাংলাদেশী সিরিয়ালগুলো এক ডিভিতে সব দিয়ে দেয়, বিজ্ঞাপনের কোন ঝঞ্জাট নেই, মাঝখানে খবর দেখার টানাটানি নেই, একেবারে এক বসায় দশ পর্ব এক সাথে...


বই কেনা, বইয়ের দোকান

নৈষাদ এর ছবি
লিখেছেন নৈষাদ (তারিখ: মঙ্গল, ০১/১২/২০০৯ - ৭:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শৈশবের ট্রেনের চালক হওয়া কিংবা এ-টিমের বেলিন্দা সুলজের বিপরীতে অভিনয় করা জাতীয় জীবনের লক্ষ্য বয়স বাড়ার সাথে পারিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু কৈশোরের লালিত একটা ইচ্ছা আজও রয়ে গেছে, মাঝে মাঝে অনুভব করি যেন তীব্রতর হচ্ছে। আর সেটা হল মনের মত একটা বইয়ের দোকান দেয়া।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় অ্যাকাডেমিক বইয়ের জন্য অবশ্যই পীঠস্থান ছিল নীলক্ষেত। বই কেনার আনন্দ অথবা ছাত্র জীবনের জন্য আরও প...


বারবার ফেল করিলে একবার বড় পাশের গ্যারান্টি থাকে / শেখ নজরুল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০১/১২/২০০৯ - ৭:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কথাটি আমার নয়, এক বাল্যবন্ধুর। তার সাথে অষ্টম শ্রেনতে প্রথম দেখা। আমার চেয়ে তার বয়স ছিলো ৫ বছর বেশি। এই বেশির কারণটি নিশ্চয় বুঝতে পারছেন! তবে বিষয়টি আমি নিজেই তখন বুঝিনি। অষ্টম শ্রেনীতেই মোটা গোঁফ; কিঞ্চিত কৌতুহলবশত তাকে প্রশ্ন করতেই একরকম গড়গড় করে বলেছিলো, পঞ্চম শ্রেণীতে দুই বার, আর সপ্তম শ্রেণীতে দুইবার ডাব্বুমেরে এখন এখানে।

কি ভয়ংকর রে বাবা! ডাব্বুমারার গল্প এতো হাশিখুশিভ...


পাখিরা উড়ে যায়...

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা পারভীন শিমুল (তারিখ: মঙ্গল, ০১/১২/২০০৯ - ৫:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

”আবার যদি এইরকম করে গান শুনিস, থাপ্পড় খাবি একটা।” এই ডায়লগ আপার মুখে প্রায়ই শুনতে হয়। কারণ আমার গান শোনার ধরণটা খুবই ইরিটেটিং। বোধহয়। কোনো গান আমাকে খুব বেশি ছুঁয়ে গেলে সারা দিনরাত ওই একটা গানই ঘুরে ঘুরে শুনতে থাকি। সক্কালবেলা ঘুম থেকে উঠেই কম্পুতে বাজিয়ে দেই। পাশাপাশি চলতে থাকে আমার অন্য সব কাজ। এখন ”পথে পথে দিলাম ছড়াইয়া রে” বা ”চলো ভিজি আজ বৃষ্টিতে” শুনলেই আপা আমাকে প্রায় তে...


December 1st

কবি-তা ১৪: কাছে কি-বা দূরে, আছি কাছি ধ'রে!

সাইফুল আকবর খান এর ছবি
লিখেছেন সাইফুল আকবর খান (তারিখ: মঙ্গল, ০১/১২/২০০৯ - ৪:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[আবার বহুদিন আমি নাই। 'নাই' ব'লে তো আসোলে কিছু নাই। ছিলাম তো নিশ্চয়ই কোথাও, অন্য কোনোখানে। কোথাও কিছু অশুদ্ধ হয়ে যায় নাই আমার না-থাকায়, বরং যা আমাকে পাশ কাটিয়ে ওই প্রত্যেক সময়টাতেও ঘটেছে এখানেও, সেগুলোই না-পৌঁছানো পাড় হয়ে থাকলো আমার। সরেছিলাম বলতে, আসোলে ছুটিই নিয়েছিলাম একটু, এখানকার চৌদ্দআনা দখলদারিতে নিজেকে আর কোথাওই একটুও ব্যয় করতে পারি না ব'লেই। ছুটতে চাইনি, এখানট...