লখ্যিন্দর প্রবল উত্তেজিত। সদ্য বিবাহ করিয়াছে সে। নববধূ রূপসী তন্বী বেহুলা পুষ্পসজ্জিত শয্যায় বসিয়া আছে উদ্বিগ্ন মুখে। পারসোনার সজ্জাকারিণীরা তাহাকে ভূতের ন্যায় সাজাইয়া দিয়াছে, মনে মনে ভাবিল লখ্যিন্দর। দেখিয়া মনে হইতেছে জাপানের একটি পতাকা শাড়ি পরিধান করিয়া বসিয়া আছে জবরজং।
লৌহনির্মিত বাসরঘরের ইশটিলনির্মিত দরজাখানি লাগাইয়া লখ্যিন্দর একে একে সবকয়টি খিল সুচারুরূপে আঁটি...
নাম তার হারুণ-উর-রশিদ। বয়স ১৭। বাংলাদেশের কোন এক গ্রামের ছেলে। তিন বছর আগে তার মা বাংলাদেশী এক লোককে টাকা দিয়েছিল ছেলেকে আমেরিকায় পাঠানোর জন্য। যাবার দুই দিন আগে হারুণের মা ছেলেকে বলেছিল, ‘তুই আমেরিকা যা, ওখানে তোর ভালো পড়ালেখা হবে’। তারপর বাংলাদেশী সেই লোক হারুণকে আমেরিকা নিয়ে আসল। কিন্তু পড়ালেখা করানোর পরিবর্তে সে তাকে নিউইয়র্কের এক বাংলাদেশী পরিবারের কাছে দিয়ে দিল, যে বাসা...
আজ থেকে প্রায় পনের মাস আগে একটা ই-বুক খোলা হয়েছিল বেশ জোশের সাথে, কিন্তু যতটা জোশ নিয়ে খোলা হয়েছিল ঠিক ততটাই খালি ছিল সেই ই-বুকের পাতা। কি কারনে, কেন, এসব জটিলশ্য ব্যাপারে না গিয়ে আর একটু সামনে এসে দেখলে আমরা দেখতে পাই ২০০৮ সালের ১৫ই ডিসেম্বর নুতন করে সচল মডুরা আমাদের সামনে এনে উপস্থিত করলেন সেই লুপ্তপ্রায় সম্ভাবনাময় ই-বুকটি।
আজ ২৬শে জানুয়ারী ২০০৯, খুবই আনন্দের সাথে জানাতে যাচ্ছ...
যাদুঘরের চাকা
তৈমুর রেজা
চাকার স্বভাবে একটি স্ববিরোধ আছে। প্রাচ্যের কালের মতো তার গড়ন বৃত্তাকার, কিন্তু অগ্রসর হয় পশ্চিমা সময়ের নিয়মে। চাকা কথানাট্যের গোড়াতেও যাদু। বাহের গাড়োয়ানের ভিটে ছেড়ে বার হলো চাকা, বাহন হয়েছে হলাঙ্গা ফকিরের দুই ষাঁড়। অন্তরে বাসনা তারা দিল সোহাগীর বিলে যাবে জলিধান কাটতে। কিন্তু কয়েক পাক ঘুরতেই চাকা গিয়ে পড়লো কাকেশ্বরী নদীর পৌরাণিক ঘাটে। তার পৃষ্ঠদ...
কবিতা নাকি গল্প - কোনটা লেখা সহজ? সচলায়তনে কিছু লিখতে গেলেই আমার মাথায় এই প্রশ্নটা ঘুরপাক খেতে থাকে। আর প্রতিবারই আমি ও দুটোর কোনটাই না লিখে বরং ছোট্ট একটা ছড়া লিখে পোস্ট করে দিই। কবিতা বা গল্প কোনটা লেখার ধৈর্য আমার আপাতত হয়ে উঠবে বলে মনে হচ্ছে না। তাই, নিজের চিন্তাভাবনা নিয়ে এই পোস্ট। মাথার মধ্যে যত উদ্ভট চিন্তা ঘোরে তার কিছু এখানে লিখে ফেললাম।
চিন্তা ১: শব্দজব্দ
"পান" করার ব্য...
ঢাকায় যাওয়ারর পরদিনই হাতে আসে পূর্ণমুঠি, টুটুলভাইয়ের শুদ্ধস্বর থেকে। যদিও বইটি প্রকাশের পরপরই তিনি দুটি পূর্ণমুঠি আমার এক ভাইয়ের ( তার কলকাতায় আসার কথা ছিল) কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন আমার অনুরোধে কিন্তু সে বই আমার হাতে তখনও পর্যন্ত পৌঁছয়নি। প্রবল এক আকাঙ্খা নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম বইটি হাতে পাওয়ার, প্রথম ছাপা গল্পটি দেখতে পাওয়ার আকাঙ্খা। সে যে কি প্রবল, এখানে অনেকেই তা জানেন। যেভাব...
‘উঁহু, এটা নয়, ওইটা এখানে !’
‘হাঁ হাঁ, এটা ঐদিকে !’
ছিন্নভিন্ন দেহাংশগুলো সাজাতে সাজাতে
সন্ত্রস্ত ফিসফিসানিগুলো গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকে।
পিতার বন্ধুদের সংখ্যা কমতে কমতে সামান্য ক’জনে এসে দাঁড়িয়েছে,
কী আশ্চর্য ! ‘কোলে এসো’ বলে একবারও হাত বাড়ালো না কেউ !
‘কিন্তু এই জায়গাটা খালি যে !’
এমন অদ্ভুত প্রশ্নের নিরুত্তর মর্ম খুঁজে তন্নতন্ন হয় একজোড়া শৈশব আকাশ,
‘আয় বাবা বুকে আয়’ ডাকে যে...
ক্যাপ্টেন সং এর সাথে আমার প্রথম দেখা হয়, সেক্টর হেডকোয়ার্টারের সামনে। প্রথম পরিচয়ে সে আমাকে রীতিমত ভড়কে দিল পরিস্কার বাংলাভাষায় কথা বলে।সে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে নিজের পরিচয় দিল এই ভাবে, “ আমার নাম ক্যাপ্টেন বন্দুক।“ আমি বললাম” What ?” সে পরিস্কার বাংলা ভাষায় আবার তার নাম বলল, “বন্দুক”।আমি মনে করলাম লোকটার মাথায় মনে হয় ছিট আছে কিনচিৎ।পাশে থাকা একজন অফিসার বললেন যে, ও ওর নামকে অনুবাদ ...
কী মনে করিয়া রাজা দুষ্মন্ত একা একা শিকারে বাহির হইলেন কেউ বুঝিতে পারিলো না। এমনকি তিনি কোনো উষ্ট্র, অশ্ব কিংবা নিদেনপক্ষে খচ্চরও লইলেন না। সবাই বলিতে লাগিলো- দেশে শকুন্তলার অভাব পড়িয়াছে, তাই রাজা অভাবমোচনে শিকারে বাহির হইয়াছেন।
দুই.
পথিমধ্যে বিরান প্রান্তরে একা অশ্বত্থ বৃক্ষ দেখিয়া রাজা কিছুকাল থামিলেন। বিশ্রাম লইবেন কিনা ভাবিতে ভাবিতেই বৃক্ষতলে আঁচলখানি সাজাইয়া বসিলেন...