হুঁক্কুঁ (শেষ পর্ব)
দুপুর না গড়াতেই ঘটনাটি অনেকের কানে কানে ছড়ায়ে গেল । সবাই ঘটনাটা বেশ উপভোগ করল। তারা কেউ কেউ নিজে নিজে উচ্চারণ করল - হুঁক্কুঁ। উচ্চারণ করে একা একাই হাসতে লাগল। তিন চার জন মিলে কোরাসও শুরু করল – হুঁক্কুঁ, হুঁক্কুঁ, হুঁক্কুঁ। আহা কী সুন্দের নাম। হাসির একটা রোল পড়ে গেল।
পর দিন মোরের দোকানে এই নিয়ে হাসাহাসি হচ্ছে। ঐ দেখ লিটন যাচ্ছে, লিটনেক ডাকেক, উচ্চেরণ সোয়ি করে ল...
ডাইনে পিপাসা বায়ে তৃষ্ণা
তুমি আমার সুদেষ্ণা
আমার গায়ে নাই প্রজাপতি
তাহলে কেমনে হবে রতি
তাই বলে চাহি না বিরতি
আমার কাছে তুলি আছে
রঙ যদিও নাই তব কাছে
গিটারে তুলিতে হতে পারে
কিছুটা আহারে আহারে
তবে আমি ভাত খাই না
চানাচুর ভালো লাগে
জলের ভেতরে তরল
তরলে তরলে গরল
ভোরে সূর্য জাগে
এইটা কিন্তু একটা কবিতা
মনে রাখতে হবে
যদি না মানেন তাইলে
গোল্লায় যাইতে হবে
কবিতা ভালো হইলে
প্রশংসা ...
কৃপাহত্যার বলিরেখা ফুটে আছে আমার বেওয়ারিশ ত্বকে, লোমকূপে সোঁদা গন্ধ দ্বিতীয় প্রেমের; মৃত্যু চাই। অঘোর মৃত্যু তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ
করার্থে নলখাগড়া-ঝোপে। আমাদের বাষ্পীয় সময় উবে যায় উবে যায় জগতের সকল উদ্বায়ী। নোনা দাগ পরে আসে সবুজ দেয়ালে। রজ্ঞনের সকল উপাদান তোমার হাতে তুলে দিলাম। কেবল
আমার
অঘোর
মৃত্যু
চাই।
৫১.
প্যারালালবারে প্রজাপতিপারাপারাবর্তনপ্রজ্ঞায় কাঁটাকম্পাস যতিশ্বাসাবনত ঘুঁপচিতে ঘড়া ঘড়া উপচে পড়া পপকর্ণ টুকে শুঁকে শুঁকে আবরণ আপতিত ডেগচি হেঁচকিনিরোধঅবকাশে সকরুণ বেনু যথেচ্ছ প্যাঁ পোঁ সহকারে হালেবেহালে ক্ষ্যাপা মজমায় হেঁচকি তোলে ঘোলে কয়েক কিস্তি ফিরতি কোরাসের নিয়মিত হাহাকার অনুরোধে
৫২.
প্রাথমিক খাবলার ঠিকুজি ইজি হয়ে খানিক সুজির হালুয়ার স্মৃতি উস্কে দিতে থাকে ব...৫১.
শিরশিরে মৃত্যু সে ইস্পাত
শিরায় শিরায় তার সায়ানাইড স্রোত
চিরকষ্টের ম্যানিকিন সে এক
ভাঙ্গে না তার শীতল অবরোধ
চিনির মত? নয়..
নোভোকেইন সে
যন্ত্রণা ঘষে দাঁতে
দেখো
সেই মেয়ে..
কালো ঠোঁট
মৃত রাত
সায়ানাইড দাঁত মধু আত্মঘাত
সে এক খুনে..
সে আমার
সায়ানাইড মধু দেঁতো আত্মঘাত..
স্ট্রিকনাইন সেরেবেলাম মাথায় তার
হিংস্র রাগে জাগে তুফান সমন
সুন্দরী সে ঠিক অ্যানা নিকোল,
কি.. নয়?
‘ওহ রুপো নয়.. ছোট...
ঘুড়ির লেজে করে উড়ে গেছে দুরন্ত আটপৌরে রোদ। শরীরে ঘুমপ্রিয় ক্লাশরুমেরা একা একা অযথাই ফাঁকা হয়ে বসে থাকে। ক্লাশের মেয়েরা বেণীর পেছনে মেঘের দরজা খুলে নেমে আসে, ওড়নাপ্রান্তে বেঁধে নিয়ে নিজ নিজ হোমওয়ার্ক। হাত বাড়িয়ে মেঘপ্রান্তের ঢেউ ছুঁয়ে দেখেছি, সেখানে শুভ্র রাতের ওপারে কুসুম কমলা ভোর আঁকা। পানিতে ঢেউ কেটে কেটে একবালিকার অবসন্ন রাত থরথরিয়ে ওঠে, দ্রুত নেমে যায় নিঠুর কাঁপন! যেমন ভ...
এতো মধুর করে কথা বলো কী করে
তোমার কথায় বসন্ত নামে
কোকিলের স্বর ভেসে আসে কানে
অজস্র প্রজাপতি উড়ে যায় রোদ্দুরে
ফুল ফোটে অফুরন্ত আবেগে
এতো বিধুর করে কথা বলো কী করে
এতো মায়ার স্বরে কাছে ডাকো কী করে
তোমার ডাকে জল হয়ে গড়িয়ে যায়
প্লাবন হয় আমার হৃদয়
জ্যোৎস্নাভেজা পায়ে তুমি হাটছো যে সৈকতে
তবুও বুঝিনা এমন মিষ্টি করে কথা বলো
বেদনা দাও কী করে?
প্রেমতো স্বয়ং বলে -
আমি কী আর কথা বলি তোম...
আগের দিন সুমেরু দা’র ফোন পেলাম। যদিও তারও আগেরদিন পান্থ’র মোবাইল ওয়েভেই জেনে গেছি যে ১৪ মার্চ ‘বন্দুকের নলই ক্ষমতার প্রকৃত উৎস’, সুমেরু মুখোপাধ্যায়ের বইটার প্রকাশনা উৎসবের কথা। অনুষ্ঠানের আরেকটা চমৎকার আকর্ষণের বিষয় ছিলো প্রিয় শিল্পী কফিল আহমেদের ‘একটা ঘাড়ভাঙা ঘোড়ার ওঠে দাঁড়ানো’র আয়োজন। তবে অনিবার্য সমস্যা না থাকলে যে কারণে অনুষ্ঠানটা মিস করার কোন উপায় ছিলো না, বাদাইম্যা ...
...আমি ভাবলাম গাড়ি খালি। ভিতরে কেউ নেই। কিন্তু গাড়ির ভিতরে তিনজন যাত্রী ছিল। আমাকে দেখে তাদের কেউই একটুও নড়ল না। এমন কি আমার দিকে তাকালও না। মনে হলো তারা সবাই ঘুমাচ্ছে। আমি ভিতরে গিয়ে বসলাম। গাড়ির ভিতরটা মনে হলো খুবই ঠাণ্ডা, এমন কি বাইরের চেয়েও বেশি ঠাণ্ডা। গাড়ির ভিতরের বাতাস বেশ ভারী, স্যাঁতস্যাঁতে। এর মধ্য থেকে মৃতবত্ গন্ধ আসছিল। আমি সকল যাত্রী...