এই বিপ্রতীপ সময়
গল্পের অনুকূল নয় মোটে
কথাগুলোর কোন ক্রমানুসার নেই ;যেন
বালকের অগোছালো খেলাঘর-----
কাঠের ঘোড়া
রোবোট-মানব
মাটির পুতুল
সাইরেন বাজানো গাড়ী
প্লাস্টিকের লাটিমগুলো
লাল-নীল ঘুড়ি
নাটাইয়ের এলোমেলো সুতো
রংগীন বেলুন
ঝিকি মিকি মার্বেল
----- সারা ঘরময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
জানিনা কোন কথা আগে বলা যায়
গোলাপ এবং বারুদের গন্ধ মিলে মিশে গেলে
সব কথা এলোমেলো হয়ে যায় বড়ো.........
সেন্সরড 'আ...
শহীদুল জহিরের উপন্যাস “মুখের দিকে দেখি”(২০০৬)-তে আমরা জাদুবাস্তবতার যা কিছু দেখে চমৎকৃত হই, চিন্তান্বিত হই তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দুইজন মামুনের উপস্থিতি। একজন মামুনুল হাই পুরোনো ঢাকার ভূতের গলির বাসিন্দা সিলভারডেল কেজি স্কুল-সেন্ট যোসেফ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র, পরবর্তীতে ইস্টার্ণ ব্যাংকের এভিপি, জুলি ফ্লোরেন্সের নাছোড়বান্দা প্রেমিক, সাদাসিধে-নিপাট ভদ্রলোক। অন্যজন মামুন ও...
তিনিও চলে গেলেন। তিনি গান করতেন। আমি গান বুঝি না। গান শুনি। অল্প যে কয়জনের গান খুব ভালোবাসতাম তাঁদের একজন রামকুমার চট্টোপাধ্যায় আজ ভারতীয় সময় বিকেল পাঁচটায় ৮৯ বছর বয়সে দেহ রাখলেন। তাঁকে নিয়ে তাঁর গান নিয়ে সংগীত বোদ্ধারা অনেক কিছু বলতে পারবেন। আমি শুধু আমার শোকটুকু জানিয়ে গেলাম।
বিদায় রামকুমার বাবু। শ্রোতাদের মধ্যে আপনি বেঁচে আছেন। থাকবেন।
...
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে অন্য অনেকের সাথে মনোনয়ন দিয়েছে বুকটা ফাইট্যা যায় খ্যাত কণ্ঠশিল্পী মমতাজকে।
মমতাজ-
২০০৫ সালের ১ বৈশাখে ঢাবির টিএসসিতে জাসাস আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান গান। গানটির রচয়িতা তিনি নিজেই। গানের প্রথম দুটি কলি ছিলো- তারেক আমার ভাই, জিয়া আমার পিতা/ জিয়া ছাড়া এই ভূবনে আমার কেহ নাইরে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তারেক রহমান স্বয়ং। তিনি করতালি দিয়...
'ফেলানন্দ' বলে কোন শব্দ বাংলা অভিধানে আছে কিনা জানা নেই। ব্যাপারটা সোনার পাথর বাটি ধরনের। পরীক্ষায় ফেল করে এক দঙ্গল ছোকরা আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে এরকম দৃশ্য খুব বাস্তব নয়। কিন্তু সেরকম একটা বিরল ঘটনার অংশীদার হয়েছিলাম ১৯৮৬ সালে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার পর। এলাকার ১৫ জন পরীক্ষার্থী বন্ধুর প্রত্যেকের কোন না কোন পরীক্ষা খুব খারাপ হয়েছিল। সবগুলো পরীক্ষা ভালো হয়েছে এরকম একজন...
যেখানে আমাকে তুমি দাঁড়িয়ে রেখেছিলে
সেখানে এক গাছ এখনও দাঁড়িয়ে আছে
যেখানে প্রিয়ে তুমি গোপনে বলেছিলে
সেখানে সেই কথা বাতাসে ভেসে আছে।
জীবনে জীবন আনো প্রণয়ে প্রণয়
যে পথিক সেই ক্ষণ বলেছিল জনায়
আমি সেই পথিকের শব্দ এখন শুনি
'ঘর পোড়া গরু গুলো ঘর কি পাব কোন'
আমাদের বাতায়ণে যে ভালোবাসার রোল
সেখানে অবহেলা গড়েছে আস্তরন
পথিক চলে গেছে-
নিয়ে গেছে আমাদের সময়ের ক্লান্ত ক্ষণ।
এককী দাঁড়িয়ে ...
বুকের খুব কাছে মৃত পালক আর গোপনে জমানো হাহাকারের ভেতর, অযুত নিযুত বর্ষের শেষে কে তাঁকে ডেকেছিলো, হারানো আরেক কবির মতো- ''এবার তো প্রস্তুত রথ, ওঠো ওঠো জয়দ্রথ''
আর সে উঠেছিলো । উঠে লিখে গিয়েছিলো, লিখতে চেয়েছিলো গতজন্মের আয়ূকাহিনী তার !
ভ্রম জন্মের খেসারত দিয়ে লিখতে বসেছিলো রক্তময় সব পঙত্তি ! আমরা তাকে কবি বলতে চাই...
রাহুর বালক, আমরা তোমাকে অভিমন্যু বলে ডাকতে চাই
আমরা তোমাকে বলি শুভ এই ...
কে কীভাবে কখন কোথায় মিশে বিষ হয়ে যায়
জানার পরিধিতে এ রূপান্তরের ব্যাখ্যা নেই।
বিষক্ষয় প্রক্রিয়া তাই রূপকথায় ডুকরে মরে
অবলীলাক্রমে
বদলে যায় দৃশ্যপট
আর নয় নিছক নিস্তরঙ্গ নিদ্রাবিভূত মাংসপিন্ড
তাই দ্রোহের মন্ত্রহীন বিবেক অহিংসায় খুন হয়
আণবিক আড়োলন আসে গোবেচারা চলনে
নিরীহ সত্ত্বায়-
মননে রণাঙ্গণ সাজ
অবশেষে জ্ঞানতঃ হয় 'ভালোবাসা'-ই শেষ রূপকথা।
গভীর কূপ থেকে তোলা দু-আজলাজল :
কার যেন
আঙুলের আঁচ লেগে ঝরঝর -
ঝরে পড়ছে এক রূপোর বাটিতে।
চেয়ে দেখি সেই রূপোর বাটিতে
ভেসে গেল তোমার কাঞ্চননিতম্ব
নারী। আর তার সাথে ভেসে গেল
আমাদের সেই চঞ্চল চোখ। সে
ছিল সন্ধ্যার বহতা নদী অথবা
জ্যোৎস্নার বৃষ্টিতে ভিজে আমরাই
কাঁপছিলাম যেন যুগল শিল্পের বন্ধনে
ঝিলের- ঝিলিক!
হায় আমার স্মৃতি! কোন মায়াবলে -
তুমি আজ হয়েছো এমন রূপোর বাটি ?
থেকে থেকে তু...
'ওরে! সে তো অতি পুরাতন কথা!' কিচিমিচি করিয়া দাদু যখন তাহার বগল চুলকাইয়া আগাইয়া আসিলো, ভাবিলাম, 'হইল!
এই বুড়োকে কিছু প্রশ্ন করাই ঝামেলার ব্যাপার। কিছু হইলেই একদম কিষ্কিন্ধ্যা হইতে শুরু করিবে! যেন হনুমান সুগ্রীব কথা না বলিলেই নয়! তবে বুড়ো জানে অনেক, তা না হইলে এইরূপে গুল মারাও বোধ করি সম্ভব হয় না!
আমি শুধু জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম, 'দাদু মিসিং লিঙ্ক কি?' দাদু যেইভাবে 'ওরে!' করিয়া উঠিল, বুঝিলাম...