কাল মুশফিকা মুমুর “ক্যার্নস ট্রিপ” লেখাটি পড়ে এবার নিজেকে নিয়ে একটু দুঃখ হচ্ছে । সচলের উপর একটু অভিমান দেখা দিচ্ছে যে লিখবো না ভেবেও বসে গেলাম আবার লিখতে। আমরা কি অতিথি লেখক বলে আমাদের প্রতি সচলের এত অনীহা ! মুমুর মত আমিও কিছুদিন আগে একটি ভ্রমণ অভিজ্ঞতা সচলে জমা দিয়েছিলাম কি কারণে জানিনা সেটি সচলে অচল হয়ে পড়ে থাকলো। পরবর্তীতে আরো কিছু লেখা দিয়েছি সেগুলোর কোনটাই যে সচলে আসেনি তা...
বাংলা হরফে লিখতে হলে,
কন্ট্রোল + অল্ট + পি চাপলে ফোনেটিক লেআউট সক্রিয় হবে। এখানে ami লিখলে বাংলায় "আমি" লেখা হবে।
ইউনিজয় লেআউটে অভ্যস্ত কেউ থাকলে কন্ট্রোল + অল্ট + ইউ চাপতে পারেন।
সচলায়তনে সবাই খেটেখুটে বাংলায় লেখেন। তাদের পরিশ্রমটুকুকে অন্তত সম্মান করতে পারি আমরা, রোমান হরফে বাংলা না লিখে, কিংবা ইংরেজিতে না লিখে।
রোমান হরফে লেখা বাংলা মন্তব্য প্রকাশিত না-ও হতে পারে...
এ কেমন নিষ্ঠুরতা!
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। অনিবার্য। কিন্তু এমন ভয়ংকর মৃত্যু শত্রুও চাইবেনা। ২৫ ফেব্রুয়ারি এমনই ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতা হলো আমাদের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উচ্ছৃঙ্খল হয়ে গেলে কতটা প্রলয় ঘটাতে পারে তা আমরা অতীতেও দেখেছি। আমরা কোন পক্ষের দোষ-গুণই খুঁজতে যাবোনা। সে ভার আইনের হাতেই থাক। আমরা কেবল অনুভব করবো কতগুলো পরিবার আজ নিঃসঙ্গ হয়ে গেলো । কতগুলো সন্তান আর বাবার আদর পাবেনা ...
(বাঁচতে হলে জানতে হবে টাইপ কথাবার্তা আছে ... খোকা খুকিদের না পড়াই ভাল)
আমার ছোটভাই শাহেদের বাচ্চার বয়স প্রায় ৬ মাস। হাসিখুশি আমার এই ভাস্তিটার জন্মের সময়টার কথা মনে পড়লে এখনও ঐ ডাক্তারের উপর রাগে মাথায় রক্ত চড়ে যায়। শাহেদের বউ আমাদের কাজিন ছিল (আছে)। গর্ভের কয়েক মাসের সময় বাইরে বেশি ঘুরাঘুরি করার জন্য সম্ভবত হঠাৎ একদিন অসুস্থ হয়ে পড়লো। ডাক্তার পরামর্শ দিল বেড-রেস্টে থাকার জন্...
এক.
হুমায়ূন আহমেদ ৯৮ সালে একটা মজার কথা বলেছিলেন আমাদেরকে । উপন্যাসিক আর ইঞ্জিনিয়ারের মাঝে পার্থক্য । ধরা যাক , একটা টেবিল , টেবিলের উপর এককাপ চা , পিরিচের উপর দুটো বিস্কিট আর একটা সিগারেট রাখা । একজন ইঞ্জিনিয়ার সেটাকে বর্ণনা করবেন এভাবে - টেবিলের উপর সাদা কাপে চা রাখা । সিগারেটটি বেনসন ব্র্যান্ডের , এর পুরুত্ব এতো মিলিমিটার । বিস্কিটের ব্র্যান্ড নাবিস্কো , এতো ডিগ্রী এঙ্গেলে তা ...
জীবন থেমে আছে আমার,
সময়ের পুলসিরাতে আমি আটকা পড়েছি ঠিক মাঝখানটায় ।
কতোজন চলে যায় অবলীলায় ;
কেবল আমি আর
আমার মতো অসময়ের কতিপয় মন্থর পথিক
অনেক ভয় সংশয় আর দ্বিধা নিয়ে
পড়ে থাকি রাস্তায় ।।
শূন্যে ভাসমান এই পুলসীরাতে যাত্রার শুরুটা ভালই ছিলো-
দুপাশে উঁচু রেলিং ছিলো-
আশা ছিলো, আশ্রয় ছিলো-
পথ দেখানোর দেবদূত ছিলো-
কোলে পিঠে করে যারা অনেক খানি পথ পার করে দিয়েছিলো ।
দেবদূতরা আমাকে আগলে র...
মানুষটা মুখ ভ্যাংচাইতাসে এদিক চায়া। কোতকোঁতায়া হাইসা উইঠা বদমাইশ পুলাপানের মতন চোক টিপি দ্যায় একটা। সামনে ঝুঁইকা ফিসফিসায়া কয়, " তর সব জানি, তুই ধরা "। অর কথাডি আমার কানের ছ্যাদার মইধ্যে দিয়া মোচরাইতে মোচরাইতে নাইমা গিয়া কইলজা ছুঁইয়া চইলা আসে তল প্যাডের কাছে। তল প্যাডে এ্যামন চিরিক লাগে মনে হয় সাত মাইসা পোয়াতির না বিয়াইত্যা পুলার জোড়া পায়ের লাত্থি। ছুইটা পলায়া যাইতে গিয়াও খাড়...
উত্তর আমেরিকার ঠিক মধ্যস্থলে অবস্থিত (এবং ৫০টি নানা আকারের রাজ্যের সমন্বয়ে গঠিত) এই সুবিশাল দেশটিতে আমার পদার্পণ গত বছরের আগস্ট মাসে। আটলান্টা এয়ারপোর্টের রসিক ইমিগ্রেশন অফিসারের বিকট শব্দের D/S সিল পাসপোর্টের I-91 ফর্মে পড়ার পর দেখতে দেখতে ৭ মাস হয়ে এল। এর আগের সবগুলো প্রবাস ভ্রমণই ছিল নিছকই ভ্রমণ, কোনটা ১০ দিন তো কোনটা ২ মাস; 'দেশ ছেড়ে দূরে আছি' - এমন অনুভূতির জন্ম হতে না হতেই ...
এ ঘর ও ঘর করে করেই বেলা গেলো
এখন ভীষণ অবেলা-
অভিধানের অভিব্যক্তি, কেমন আছো?
অসংজ্ঞায়িত ভালো-মন্দের সহাবস্থানে
সর্বানুভূত আত্মস্থকরণ বেছে নিয়েছি।।
ঘটনা ১
আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস আর মহান একুশে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষ্যে কানাডিয়ান রক্ত কেন্দ্রে আয়োজিত রক্তদান অনুষ্ঠানে গিয়েছি। প্রাথমিক নিবন্ধনের পরে একজন নার্সকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আরো কিছু তথ্য সংগ্রহের জন্য, বিশেষ করে রক্তদানের নিয়ম কানুন এবং ঝুকি নিয়ে আলোচনা করার জন্য। মাঝবয়সী নার্সের প্রথম উক্তিঃ
‘তুমিত ডাক্তার সুতরাং এসব বিষয়ে তোমার ধারনা আছে’
আমি কিছুটা বিষ্মিত, বাব...