''ব্যান'' শব্দটির কথা শুনলেই আমার উল্টানো লুংগির কথা মনে পড়ে যায়। বর্ষার
ঢলে আমিও লুংগি তুলে বেঁধে নিতাম। কখনো কোমরে গামছাটাও বাঁধতাম সাহসের সাথে। যে মাল্লা নায়ের গুন টেনে হেঁটে যাচ্ছে নদীর পাড় দিয়ে, তার সাথে
পাল্লা দিয়ে আমিও হাঁটতাম।
মনে হতো বৈরি বানকে আমি ও ব্যান করে রেখেছি আমার লুংগির গিট্টে !
মূল রচনা:
সিলভেস্টার গালামবোশ
ক আর খ-এর ভেতরে অদ্ভুত কিছু সাদৃশ্য আছে। দু'জনে সমবয়সী, দু'জনেই একই বিষয়ে উচ্চশিক্ষাপ্রাপ্ত, দু'জনের চেহারার মিলও অবিশ্বাস্য। তবে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী। ক হতাশাবাদী, আর খ - আশাবাদী।
নিজের পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে মাথার টিকির অঞ্চলে টাক পড়তে দেখে হতাশায় ভেঙে পড়লো ক। আর খ সানন্দে লক্ষ্য করলো, তার অভিজাত খুদে টাকের চারপাশটি চুল ঘির...
তুমি ভাঙতে থাক, আমি চা খাওয়া শেষ হলেই যোগ দিব উৎসবে। চায়ের উপযোগিতা আমার নিউরনে দ্রুত ধরা দেয় না, হালকা কুসুমগরম হলে আমি অমোঘ আরাম পাই; শরীরের আরাম মানসিক নিবিষ্টতার প্রাথমিক সিঁড়ি। শরীর ভাঙতে থাকুক, তুমি অণু-পরমাণু ছুঁয়ে কোর্য়াক হয়ে যাবে; বিবিধ শক্তি থেকে একদা জন্ম দিবে তোমার শরীরভর। আমরা তখন চিরায়িত দর্শক, ব্যস্ততম পরিব্রাজক।
এই চায়ের তাপ হারানো কিংবা গুণগত মান নিয়ে পরীক্ষা হ...
জুলফিকার কবিরাজ
অত:পর টেনু মণ্ডলের তাহাজ্জত আমলের ফায়াজ হল। খুশিতে বাঙ্গী ফাটা হয়ে মণ্ডল পালের সেরা দুটি দামরা গরু মেরে আকিকা দিয়ে নাম রেখে পিদিম জ্বালল। নাম রাখা হল খালিদ বিন অলিদ। বাপ ব্যাটা সম্পর্কে আরবী ব্যাকরণে অনভিজ্ঞ ধর্মান্ধ মণ্ডল ছেলের সাথে বাপের নাম ঠিক থাকল কিনা সে দিকে তাল না দিয়ে গাল ভরা উচ্চারণের একটি সেরা আরবী নাম দিয়েছেন তাতেই বেজায় খুশি। ডাক নাম রাখল হামজা। ...
চা পানের দীর্ঘ বিরতির আগে...
[=12]আমরা জেনেছিলাম, ফারজানা নাজনীন লিপস্টিক না মাখা ঠোঁট চায়ের কাপে ডুবাতো। রাজন জিজ্ঞেস করতো ফারজানা লিপস্টিক দেয় না কেনো। ফারজানা এ প্রশ্নের উত্তরে কী বলতো তা আমাদের জানা নেই। তবে তারা চা খেতো। চিনি কম, দুধ বেশি, কিংবা রঙ চা'য়ে লেবু চিপে। তারা চা খেতো ক্যান্টিনে, রুস্তম চাচার দোকানে, মেরিনা কুলিং কর্ণারে। মাঝে মাঝে রাজন জিজ্ঞেস কর...
ঝড় থেমে গিয়েছিল পরদিন সকালেই। সূর্য ওঠার কিছুক্ষন পরেই ফেরীর মাঝি যখন ঘাটে আসলো, দেখল জ্ঞানহীন মিনোকিচিকে.. পড়ে আছে মৃত মোসাকুর পাশে। তাকে বিছানায় পড়ে থাকতে হয়েছিল আরো অনেকদিন। সে রাতের ঠান্ডায় বেশ কাবু হয়ে গিয়েছিল সে। মোসাকুর মৃত্যুতে অনেক ভয় পেয়েছিল। কিন্তু সে কাউকেই বলল না সে রাতের কথা, সেই তুষার সাদা মেয়েটির কথা। আস্তে আস্তে যখন সে আবার সুস...