ছুতো পেলে গুঁতো মারে
নাকটাই শিং তার
চেহারাটা থলথলে
কিম্ভুত কিমাকার
যেন তার-
ইয়া বপু চলে না
গুঁতোলেও টলে না
চামড়াটা এতো পুরু
নাম তার গণ্ডার।
জু’তে গেলে দেখা মেলে
আফ্রিকা বাড়ি তার
হয়ে গেলে লুপ্ত
খুঁজে পাওয়া হবে ভার
তাই বুঝি-
স্বভাবটা ধরে রেখে
বহুরূপে রূপ ঢেকে
মানুষের ভীড়ে না কি
ইদানিং একাকার! #
জেবতিক ভাই অলরেডি লিখা ফেলসে, তাই আমার লেখাটা বিলাই টু নামে ছাড়লাম। সচলায়তনের এই পশু দিবসে কাহিনী দুইটা সবাইরে জানাইতে ইচ্ছা করল।
কাহিনী এক
------------
আমাগো মহল্লায় বিলাইয়ের কমতি নাই। সারাদিন তারা ছানাপোনা সহ এইখানে ঐখানে বাসাবাড়ি গাড়ে। একবার অনেক আল্লাদ কইরা এমন এক বিলাই মা আর তার কতিপয় সন্তানদের আশ্রয় দিছিলাম আমরা বাড়ীতে। সেই ফ্যামিলি কি জানি এক পোকাসহ আসছিল, ছোট ছোট পোকা। ঐগু...
এক বনে ছিল এক নারীলিপ্সু বাঘ। সুন্দরী বালিকাদের যত্ন করে কামড়ানোতেই তার যত আনন্দ। কিন্তু বাঘের মনে বড়ই দুঃখ। বনে কামড়ানোর মত সুন্দরী বালিকার বড়ই অভাব। অব্যবহৃত হতে হতে বাঘের দাঁতে প্রায় মরচে পড়ার উপক্রম।
অবশেষে একসময় বাঘের এ দুঃখ অবসান হওয়ার একটা সম্ভাবনা দেখা দিল। বনে এক চকিতচপলাচিত্তচঞ্চলা বালিকার আবির্ভাব ঘটল। বাঘমামা কাঁঠাল পাতা চিবুতে চিবুতে, পাত্থর ঘষে দাঁতে শান দি...
মানিই বা না মানি
আমরা হলাম প্রাণী!
ভীষণ রকম আল্লাদী আর
ভীষণ অভিমানী!
আমরা নাকি আবার
সব প্রানীদের সেরা!
কেউ যদি এর দ্বিমত করে
চলবে কঠিন জেরা!
কার বা এমন সাহস
কিংবা গলায় জোর
সামনে এসে বলবে হেসে
তুই তো ব্যাটা চোর!
তাই দেখো সবখানে
আমরা কাজের কাজী
আমরা চালাই, ওরা চলে
লাগবা নাকি বাজি?!
তারপরও তো ভীষণ
চিন্তা আসে মাথায়
ক্যান যে এমন হয় যে ভাবি
মুখ জড়িয়ে কাঁথায়!
আমার পাশের বাসায়
লোকটা...
আজ বিশ্ব জুড়ে 'পাই দিবস' পালিত হচ্ছে। গণিত আর বিজ্ঞানে যে ক'টি 'বিশেষ' সংখ্যা সব সময়ে আলাদা রকমের সম্মান ও ওজর পেয়ে এসেছে---পাই তাদের মাঝে অন্যতম। পাই এর মান সাধারনত ৩.১৪ হিসেবে ধরা হয়। সেই সূত্রে আজ(অর্থাৎ ৩/১৪/০৯) পাই দিবস।
এই বিশেষ দিবসে এই 'বিশেষ' সংখ্যাটির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, তার শ্রদ্ধা জাগানিয়া কিছু তথ্য নীচে দেয়া হল। বলাই বাহুল্য, তথ্য গুলো বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত।
১। পাই হল ...
অন্ধকারে কালো বেড়াল খোঁজার গল্পগুলো কি আপনারা পড়েছেন ? আমি নিশ্চিত আপনারা পড়েছেন , কারন ওসব গল্পগুলো লেখাই হয় শুধু আপনাদের মতো পড়ুয়েদেরকে পড়ানোর জন্য , আমাদের মতো লোকজন তাঁর খবর পাই না ।
আমি শুনেছি যে ওরকম বেশ কয়েকটা তোফা গল্প লেখা হয়েছে বটে , তবে সেসবই শুনেছি আপনাদের আলাপ আলোচনায় , নিজে চেখে দেখার সুযোগ পাইনি । অবশ্য পেলেও যে সেসব আমি বুঝতে পারতাম তেমন নয় , তবে আলাপের সময়ে বেশ দুলা...
এক খরগোশের খুব সখ হলো ছেলেপুলেদের গাজর খাওয়াবে। নিজের ছেলেবেলা ও গাজর খাওয়ার কথা মনে পড়লে এখনও তার জিভে জল আসে। কি দিনকালই যে ছিল, বনে জঙ্গলে ভরা ছিল সব। বিশাল এলাকা ছিল সবই যেন তাদের নিজেদেরই। সারাদিন ঘোরাফেরা আর খাওয়া দাওয়াই ছিল কাজ। কিন্তু দিনকাল বদলেছে। আজ প্রায় সব বনজঙ্গলই মানুষের খামার, ঘন কাঁটাতারে ঘেরা, ঢোকার উপায় নেই। সারাদিন পালিয়ে থাকাই কাজ। কিন্তু বাছারা আমার রসালো ...
[justify]নদীতে তেষ্টা মেটাতে যেয়ে এক হাতির সাধ হলো, সে-ও জলহস্তীদের মতো ওরকম সারাদিন নদীর মাঝে ডুবে ডুবে জল খাবে।
যে-ই ভাবা সে-ই কাজ। নেমে পড়লো সে নদীতে।
কিছুদূর যেতেই হাজির হলো গাঁট্টাগোট্টা এক জলহস্তী। খ্যাঁক করে উঠলো সে, "এইখানে কী চাস ড়্যা?"
হাতি শুঁড় বাড়িয়ে জলহস্তীর বোঁচা নাকের সাথে নাসিকামর্দন করে বললো, "আজ থেকে আমিও এখানে তোমাদের সাথে মিলেমিশে নদীতে থাকবো।"
জলহস্তী বললো, "বটে? ...
আজ সচলায়তনে "গরু" আর "গাধা" নামে দুটো গল্প প্রকাশিত হতে দেখে এই প্রবাহে অবদান রাখার লক্ষ্যে খুদে একখানা গল্প অনুবাদ করে ফেললাম । রূপকধর্মী এই গল্পটি প্রকাশে কিছুটা দ্বিধা অবশ্য ছিলো...
শুয়োর
মূল রচনা: তুরখান রাসিয়েভ
এক সবজি-বাগানে ঢুকে পড়লো শুয়োর। দেখে বাগানের মালিক চিত্কার করে উঠলো:
- ভাগ! বেরিয়ে যা আমার বাগান থেকে! আমার বাগানে এসে কেন ঘাঁটাঘাঁটি করতে হবে তোকে!
...
বাজারের রাস্তায় একটা মালিকছাড়া গরু চরে বেড়াত, হুটহাট এর ওর দোকান থেকে ডালটা, ছোলাটা, শাকটা, সিংগাড়াটা খেয়ে নিতো।
একদিন বাজার কমিটির প্রধান সর্বজনাব খালেক সাহেবের কাছে সব আড়তদার বিচার দিল, হাজী সাহেব, এই গরু তো বস্তা বস্তা চাল নষ্ট করে ফেললো, কিছু করেন, সব সব্জি বিক্রেতা অভিযোগ করলো, মাচালে একটা শাকের ডগাও রাখা যাচ্ছে না, গরু সব খেয়ে ফেললো, কিছু করেন, সব হোটেল মালিক দাবি করলো, বজ্জা...