দেশ থেকে দূরে থাকার বেশ কিছু সুবিধা আছে, যদিও এমনটা বলছি না যে সেগুলো অসুবিধাগুলোকে ম্লান করে দেয় কোনভাবে। আমার ক্ষেত্রে তার একটি হল ইচ্ছেঘুড়ি ওড়ানোর স্বাধীনতা। ১২*১২ বর্গফুটের এক বদ্ধ কুঠুরিতে বিছানায় হেলান দিয়ে বসে, ল্যাপটপটাকে কোলে নিয়ে, কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে মনে মনে ৮২৬০ মাইল দূরের ১৩৪০০০ বর্গকিলোমিটারের দেশটির কত-শত সমস্যা সমাধানের উপায়-ই না বের করা হয়ে গেল! ...
অনেক আগের কথা। মুসাহি প্রদেশের এক গ্রামে মোসাকু আর মিনোকিচি নামে দুই কাঠুরে বাস করত। যে সময়ের কথা বলছি সে সময় মোসাকু বুড়িয়ে গিয়েছিল, আর তার শিষ্য মিনোকিচি ছিল আঠারো বছরের এক ছেলে। প্রতিদিন তারা গ্রাম থেকে পাঁচ মাইল দূরের বনটায় কাঠ কাটতে যেত। যাবার পথে বড় একটা নদী পড়ত যার সাথে ছিল ফেরী পারাপারের নৌকা। অনেকবার ফেরীর জায়গাটায় ব্রীজ বানানো হলেও বন্যার টানে ভেঙ্গে পড়ত ওগুলো। নদীর ও জায়গাটা এতোই খরস্রোতা ছিল যে কোন সাধারণ সাঁকোও টিকত না।
১৯৩০ সালে ভারতবর্ষের নৈনিতালে বেড়াতে এসেছিলেন একজন অস্ট্রেলিয়ান টুরিস্ট। স্থানীয় এক ক্রিকেট দল তাকে আহবান জানালো প্রীতি এক ম্যাচে অংশ নেয়ার জন্যে আর টুরিস্ট ভদ্রলোক সে আহবান গ্রহণ করলেন সানন্দে। খেলতে নেমে কিন্তু প্রথম বলেই শুণ্য রানে আউট হয়ে গেলেন তিনি - স্থানীয়রাও তাকে আর মনে রাখলো না। তারা ধরেই নিলো, এই লোক ক্রিকেট খেলতে পারেন না।
১৯৭১-৭২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার সাথে খেলতে ...
সম্ভবত আজকে সকাল থেকে ইউটিউব ও ইস্নিপ্সে বাংলাদেশ থেকে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। কেউ কি কিছু জানেন?
---------------------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক
কাল মুশফিকা মুমুর “ক্যার্নস ট্রিপ” লেখাটি পড়ে এবার নিজেকে নিয়ে একটু দুঃখ হচ্ছে । সচলের উপর একটু অভিমান দেখা দিচ্ছে যে লিখবো না ভেবেও বসে গেলাম আবার লিখতে। আমরা কি অতিথি লেখক বলে আমাদের প্রতি সচলের এত অনীহা ! মুমুর মত আমিও কিছুদিন আগে একটি ভ্রমণ অভিজ্ঞতা সচলে জমা দিয়েছিলাম কি কারণে জানিনা সেটি সচলে অচল হয়ে পড়ে থাকলো। পরবর্তীতে আরো কিছু লেখা দিয়েছি সেগুলোর কোনটাই যে সচলে আসেনি তা...
বাংলা হরফে লিখতে হলে,
কন্ট্রোল + অল্ট + পি চাপলে ফোনেটিক লেআউট সক্রিয় হবে। এখানে ami লিখলে বাংলায় "আমি" লেখা হবে।
ইউনিজয় লেআউটে অভ্যস্ত কেউ থাকলে কন্ট্রোল + অল্ট + ইউ চাপতে পারেন।
সচলায়তনে সবাই খেটেখুটে বাংলায় লেখেন। তাদের পরিশ্রমটুকুকে অন্তত সম্মান করতে পারি আমরা, রোমান হরফে বাংলা না লিখে, কিংবা ইংরেজিতে না লিখে।
রোমান হরফে লেখা বাংলা মন্তব্য প্রকাশিত না-ও হতে পারে...
এ কেমন নিষ্ঠুরতা!
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। অনিবার্য। কিন্তু এমন ভয়ংকর মৃত্যু শত্রুও চাইবেনা। ২৫ ফেব্রুয়ারি এমনই ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতা হলো আমাদের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উচ্ছৃঙ্খল হয়ে গেলে কতটা প্রলয় ঘটাতে পারে তা আমরা অতীতেও দেখেছি। আমরা কোন পক্ষের দোষ-গুণই খুঁজতে যাবোনা। সে ভার আইনের হাতেই থাক। আমরা কেবল অনুভব করবো কতগুলো পরিবার আজ নিঃসঙ্গ হয়ে গেলো । কতগুলো সন্তান আর বাবার আদর পাবেনা ...
(বাঁচতে হলে জানতে হবে টাইপ কথাবার্তা আছে ... খোকা খুকিদের না পড়াই ভাল)
আমার ছোটভাই শাহেদের বাচ্চার বয়স প্রায় ৬ মাস। হাসিখুশি আমার এই ভাস্তিটার জন্মের সময়টার কথা মনে পড়লে এখনও ঐ ডাক্তারের উপর রাগে মাথায় রক্ত চড়ে যায়। শাহেদের বউ আমাদের কাজিন ছিল (আছে)। গর্ভের কয়েক মাসের সময় বাইরে বেশি ঘুরাঘুরি করার জন্য সম্ভবত হঠাৎ একদিন অসুস্থ হয়ে পড়লো। ডাক্তার পরামর্শ দিল বেড-রেস্টে থাকার জন্...
এক.
হুমায়ূন আহমেদ ৯৮ সালে একটা মজার কথা বলেছিলেন আমাদেরকে । উপন্যাসিক আর ইঞ্জিনিয়ারের মাঝে পার্থক্য । ধরা যাক , একটা টেবিল , টেবিলের উপর এককাপ চা , পিরিচের উপর দুটো বিস্কিট আর একটা সিগারেট রাখা । একজন ইঞ্জিনিয়ার সেটাকে বর্ণনা করবেন এভাবে - টেবিলের উপর সাদা কাপে চা রাখা । সিগারেটটি বেনসন ব্র্যান্ডের , এর পুরুত্ব এতো মিলিমিটার । বিস্কিটের ব্র্যান্ড নাবিস্কো , এতো ডিগ্রী এঙ্গেলে তা ...
জীবন থেমে আছে আমার,
সময়ের পুলসিরাতে আমি আটকা পড়েছি ঠিক মাঝখানটায় ।
কতোজন চলে যায় অবলীলায় ;
কেবল আমি আর
আমার মতো অসময়ের কতিপয় মন্থর পথিক
অনেক ভয় সংশয় আর দ্বিধা নিয়ে
পড়ে থাকি রাস্তায় ।।
শূন্যে ভাসমান এই পুলসীরাতে যাত্রার শুরুটা ভালই ছিলো-
দুপাশে উঁচু রেলিং ছিলো-
আশা ছিলো, আশ্রয় ছিলো-
পথ দেখানোর দেবদূত ছিলো-
কোলে পিঠে করে যারা অনেক খানি পথ পার করে দিয়েছিলো ।
দেবদূতরা আমাকে আগলে র...