শার্প ৩:৪৫।
মেসেজটা পড়ল শাহরিয়ার মামুন। টুশি’র মেসেজ। যদি জানতে চান শার্প ৩:৪৫টা মানে তিনটা বেজে পঁয়তাল্লিশ মিনিটই বুঝিয়েছে টুশি। নট নড়নচড়ন। তবে টুশি এক ঘণ্টা পড়ে আসুক, তাতে সমস্যা নাই। কিন্তু মামুন দেরি করেছে মানে ওই দিনের আনন্দটাই মাটি হয়ে গেছে।
এখন আড়াইটা বাজে। মাত্রই খেয়ে এসেছে মামুন। ভাবছিল সৈয়দ দেলগীরের ‘অন্তস্থ পৃথিবী’ বইটা পড়বে কী’না। গতরাতে পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়েছি...
থানার ওসি , হার্টের ডাক্তার আর গার্মেন্টস শিল্পের বড়কর্তাগন - এই তিনপদের মানুষের ফোন কখনোই বন্ধ করার কোন নিয়ম নেই । তবু ভোর রাতে যখন হাচড়ে পাচড়ে উঠে মোবাইলটি ধরলাম , তখনও বুঝতে পারিনি যে ফোনটি দূ:সংবাদ নিয়েই এসেছে । ফোন করেছে বিআন্কো , এই ইটালিয়ানটি আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু , কাজ করে একটা বড় রিটেলারের বায়িং ডিভিশনে ।
- এতো রাতে ফোন করলা কী মনে করে ?
- রাত কোথায় , এখন তো তোমার ওখানে ভোর । তো...
স্মৃতিচারণমূলক এই লেখায় আজ বলেছি সেই সব শিক্ষকদের কথা যাঁদের হাত ধরে ভাষা ও সাহিত্যের প্রথম পাঠগুলি হয়েছিলো। আপনাদের ভালো লাগলে আরো লেখা যাবে।
আমার পড়াশুনা সব বাংলা মাধ্যমের পাঠশালে। খুব ছোটোবেলায় এক নার্সারিতে ভর্তি হয়েছিলাম কিন্তু দু দিনের বেশি যাই নি, কারণ মিসগুলো সব স্কার্ট পরে। তারা সব ছিলো অঞ্জন দত্তের গানের কালো মেম, শাড়িতেই তাদের ভালো মানাতো হয়তো, কিংবা সেই ...
আইপিএলের খেলা এবছর আর দেখতে পাচ্ছিনা। তবে তা নিয়ে খুব কিছু আক্ষেপ নেই। বছরের শেষ দিকে ২০-২০ বিশ্বকাপটা বরং দেখব। অফিসে খেলা লাইভ দেখানোর ব্যবস্থা হয়েছে। আমাদের লাঞ্চ সার্ভ করে যে কোম্পানী, তারাই উদ্যোগ নিয়ে আমাদের খেলা দেখার ব্যবস্থা করছে। আশা করছে এই মন্দার বাজারে বেশী কিছু লোক সকালে ব্রেকফাস্ট করতে আসবে আর সেই সাথে খেলা খাবে। বা উল্টোটা ... খেলা খেতে এসে কিছু ব্রেকফাস্টও খাবে...
সম্প্রতি সরকার জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীকে প্রধান করে ১৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে। সংবাদপত্রের খবর অনুসারে, কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে ১৯৭৪ সালে প্রণীত কুদরাত-এ-খুদা কমিশনের প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে ২০০০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতিকে সময়োপযোগী করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষানীতি প্রণয়ন নিয়ে দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য সরকার ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। এ প্রসঙ্গে আমি ...
বর্ণকথার সমাপ্তির পর সূচনা শুরু হয় এরূপেঃ
বর্ণমালার সবক'টা বর্ণ নিয়ে লেখার ইচ্ছে বহুদিনের। আজ খুব করে চেপে বসলো ইচ্ছেটা। শুরু করলাম, বর্ণানুক্রমানুসারে। একে একে বর্ণ এসেছে, মনে যে শব্দ এসেছে তা দিয়েই বাক্যের অবতারনা। কবিতার মতো করে, মূল ভাবনা একই থাকার প্রয়াস ছিলো। হয়তো হয়নি, মনেপ্রাণে যা চেয়েছিলাম। তবুও...
অহর্নিশি শব্দ বুনি-
আমার মৃতপ্রায়
ইচ্ছেদলে
ঈশ্বর প্রাণ দেন
উজাড় উড়...
ঘুমাইনি
তবু বেঁচে আছি ।
আদিম এবং প্রচণ্ড কৃত্রিম
..................................পাপ!
আমি প্রায়শ্চিত্ত করি না।
নির্লজ্জ রাতে
ঘুমাইনি
তবু বেঁচে আছি;
.......................পাপ!
যত্নে কাটা নখের ভিতর
প্যাকেটবন্দি পাপ।
আব্বার সাথে রাশেদের আজ আশ্চর্য শত্রুতা। আজ সারাদিন, দিনমান। ছোট্ট চায়ের টেবলের দু'পাশে ওরা দু'জন ঠিক দুই যুযুধানের মতন দাবার গুটি নিয়ে বসে আছে সকাল থেকে। কখনও গালে হাত, কখনও বাঁকানো ভ্রু, কখনও চুপচাপ।
১.
আত্মীয়তার সূত্রে এক মুরুব্বীর বাসায় কয়েকদিন কাটিয়েছিলাম। মুরুব্বী আবার খানদানী জমিদার বংশের, দাদার তাঁর সত্যি সত্যিই বিরাট জমিদারী ছিলো; তাই নিজে জমিদার না হলেও কথায় কথায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পূর্বপুরুষের সেই বাহারী জমিদারীর প্রসঙ্গ তুলে আনায় যে মুরুব্বী সিদ্ধহস্ত ছিলেন, সেটা বুঝতে একদিনেরও কম সময় লেগেছে। তবে মুরুব্বীর এরকম বাহাদুরী ফলানোর পেছনে কারণ যে নেই তাও না; শুধু জমিদার...
আমার ব্লগ জীবনের প্রথম দিকে যে কজন মানুষের লেখা পড়তাম, কমেন্ট করতাম এবং ফিরতি কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করতাম- তাদের অন্যতম এস এম মাহবুব মুর্শেদ। প্রথম দিকে প্রোফাইলে বিশাল পেশিবহুল এক মানুষের আঁকা ছবি ছিলো।
ভাবতাম - ব্যাপক গম্ভীর একজন মানুষ হবেন।
কিন্তু, কমেন্টে দেখতাম অন্যরকম। প্রাণ খোলা মানুষ।
এস এম মাহবুব মুর্শেদ লগ ইন করা মানে প্রথম দু'পাতার সব লেখা পড়ে কমেন্ট করা...
সে সময় তা...