ধারণা করা হয ভৃঙ্গু কোবরেজের নামটা তাঁর পিতৃ-প্রদত্ত নাম নয়। তবুও এই নামটাই তাঁর আদিনাম ছাপিয়ে কী করে যে দশ গ্রাম পেরিয়ে বহু দূর দেশেও খ্যাতি পেয়ে গেলো, এর কোষ্ঠি বিচার করার বয়েসী কেউ আর জীবিত নেই এখন। কিংবা আদৌ তাঁর কোন আদিনাম ছিলো কিনা সেটাও কোবরেজের নির্বিকার ঘোলা চোখ পাঠ করে কোন সুরাহা মেলে না। তাই সবক্ষেত্রে যা হয়, ক্লু হারিয়ে নাম নিয়ে আগ্রহ বা কৌতুহলগুলো তাঁর বয়সটার মতোই বহ...
১৯৯২ সালে আমাদের বাবা যখন না ফেরার দেশে চলে যান, তখন আমাদের ভাই-বোনদেরকে মোটামুটি অপোগণ্ড বলা যায়। বড় বোনের সবে বিয়ে হয়েছে, মেজ বোন আর আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। বাকিরা কোন যোগ্যতা অর্জনের বয়সেই পৌঁছোয়নি। বাসায় তখন কোন উপার্জনক্ষম সদস্য নেই, আমাদের কোন সঞ্চয় নেই, নিয়মিত আয়ের কোন উৎস নেই। উদ্বাস্তু পরিবার বলে সাহায্য করার মত কোন নিকটাত্মীয়ও নেই। আমার হয়তো তখন...
এই লেখা নেহাৎই ব্যক্তিগত। ব্যক্তিগত? ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। 'মা' তো সর্বজনীন। কিন্তু এই লেখা লিখতে গিয়ে ব্যক্তিগত কথাও চলে আসছে কিছু।
=============================================
আমার বোন বয়সে আমার চেয়ে বছর পাচেকের ছোটো। বিয়ের কল্যাণে সে এখন আমাদের সঙ্গে থাকে না। শুধু সঙ্গে থাকে না তাই না; সে আমাদের চোখের সীমায়ও থাকে না। সে থাকে বহু দূরে। প্রায় চাঁদসমান দূরত্বে- জার্মানিতে। বোনটার ভাইও, মানে আমি, অতো পয়স...
(মন মেজাজ এর অবস্থা মনে হয় সুবিধার না... হবেই বা কিভাবে... চারপাশে কি ভূতের ঘোরাফেরা বন্ধ হয়েছে? আমিও বা এই সুযোগ ছাড়ব কেন? যে কয়টা পাই ধরে ধরে বস্তায় ভরে ফেলি। কানে কানে বলি... ক্লাস করতে করতে লেখা... তাই লেখা বোরিং হওয়ার জন্যে আমি দায়ী নই... )
[center]
আমড়া গাছের ডালে যখন আমরা সবাই বসে,
পাত্তা পেয়েও হাততালি দেই নাম হারাবার দোষে
মান করে সেই গান করে ভূত, প্রাণ গেল তাই বলে।
পূর্ণিমাতেও চাঁদ ...
১৯৯৭ সালের কথা। ইন্টারনেট তখনো নতুন ধারনা বাংলাদেশে । পুরো অফিসে একজনের পিসিতেই ইন্টারনেট কানেকশান ছিল। ভাগ্যবানটা আমি। তখনো ইন্টারনেটে কোন কাজ নেই আমাদের। ডায়াল-আপ কানেকশানটা নেয়া হয়েছিল মুলতঃ মেইল করার জন্যই। মিনিট হিসেবে বিল আসতো। খুব ব্যয়বহুল। শুধু কানেকশান নিতেই লেগেছিল দশ হাজার টাকা। মডেমটাও আলাদা কিনতে হয়েছিল। মেইল চেকের ফাঁকে ফাঁকে সুযোগ পেলেই ইন্টারনেটে বিশ্ব ঘ...
নীল
কি এক হিসেব কষছি গোপণে
কার নাম জেনো জপ করছি মনে মনে!
কখনও ছিলো কেবল যাওয়া। যেতে যেতে নিরাপদ স্বপ্নঘুম। ঘুম ভাঙার পর দেখি শিমুলের মেঘ বেড়াতে গেছে গ্রামে। যে মনোবলে, স্বপনে আমাকে আঁচর কেটে দিলে, তাতেই আমি ছায়া হয়ে যাই! বলি স্পর্শের নিকটে থাকো না তুমি... হে বড়ো বে-হিসেবি জীবন..সেবকিছু হবে ধূলিসাৎ; আজ দেখো সেকথা স্মৃতি হয়ে আছে পাঠানটুলি'র নিবর সময়ে।
মেঘ নেই আকাশে। নিসর্গ...
মানুষ আমি বড়ই খ্রাপ। জীবনেও কোন দিবস আমার মনে থাকে না। আর ‘মা দিবস’ টা তো আরো মনে থাকে না, এই সময়টা সব সময় ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যে দিয়া যায় আমার। মা’রে উইশ করা তো পরের কথা দিনটা ঠিকঠাক মত মনেও থাকে না। এই যেমন এখনের কথা ধরি, এখনও মা’রে উইশ করি নাই, এতো দেরী হইয়া গেল যে এখন উইশ করতে গেলে নিজেরই শরম লাগবো। কিন্তু মা’রে ভীষন দারুন কিছু দিতে মন আই-ঢাই করতেছে সেই কখন থেইকা, চুনু পাউডার লিপিস্...
আমাদের বাড়িতে কখনও মুরগী ছাড়া অন্য কোনও হেভিওয়েট গবাদি পশু পালন হয় নাই। বাড়িতে এদের আগমন এবং অবস্থান বরাবর খুব ক্ষণস্থায়ী ছিল। ঈদের কদিন আগে একটা গরু ঢুকতো বাসায়। সাথে হয়তো কখনও সখনও একটা ছাগল (না খাশি, শিওর নই)। ফলশ্রুতিতে বেচারা নবাগত পশুকে বাড়িতে প্রবেশের পর থেকেই আমাদের আন্ডা বাচ্চাদের অপরিশোধিত কৌতুহলজনিত অত্যাচার খানিকটা করে সইতে হতো। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, কারো ছ...
হারমোনিয়াম বিহীন তীরন্দাজকে দেখে দুজনেই হতাশ হলো। প্রতিবারই যখন ফ্রাংকফুর্টে আসি, হারমোনিয়াম সাথেই থাকে। এবার নেই। বউকে পিকিং এর পথে বিমানে তুলে দিয়েছি। বিরহের সময় হারমোনিয়ামের কথা কি মনে থাকে! তীর ছুড়ি বলে দুর্নাম থাকলেও, নরম মনের মানুষ আমি। আর বেজায় ভারী এই হারমোনিয়ামটা টানাও মুশকিল। শরীরেও মনে হয় কিছুটা নরম হয়ে গেছি। যাকগে আমার কথা!
তারপরও ...
আগের পোস্টে শিশুকে কীভাবে বর্ণ শেখানো যায়, সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছিলো। সেখানে অনেকে জানিয়েছিলেন- কিছু কিছু বিষয়ে তাঁদের খটকা লেগেছে। কেউ কেউ তাঁদের খটকার জায়গটা পরিষ্কার করলেও অনেকেই করেন নি। এই পোস্টে কারও কোথাও খটকা লাগলে জানানোর অনুরোধ রইলো। এবার শিশুকে কীভাবে বর্ণের মাত্রা শেখানো যায় সেটি দেখা যাক।
শিশুকে বর্ণের মাত্রা শেখানো খুব-ই, আবারও বলি, খুবই সহজ ...