তুমি না এলে কী এমন ক্ষতি হতো?
.
এসেই জাগিয়ে দিলে অযুত নিযুত দিবারাত্রির হাহাকার। যে হাহাকার লুকিয়ে রেখেই বেঁচে ছিলাম। অন্য কোন সবুজ পৃথিবীর আশ্বাস ছিল না, তবু তোমাকে ছাড়াও চলতো আমার।
.
তুমি আসলে, পাশে বসলে, আমার দুচোখের ভেতরে তোমার দুচোখ ডোবালে। আমার অবাধ্য মন সাঁতার দিল অগম্য সাগরে। আজন্ম সাধ তোমাকে ছুঁয়ে দেখার, তবু সসংকোচ হাতটা বাড়িয়েও পিছিয়ে গেলাম।
.
গোটানো হাত পাখা মেলার আগ...
ব্লগ দুনিয়াতে, যতো কিছু আছে, যতো কিছু সুন্দর,
অর্ধেক তার ব্লগিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
তারপরও দেখি!
ধান বানে ঢেকি!,
যতো বড় হোক ব্লগারের পাল, একজনই ব্লগেশ্বর!
কারামেন। জঁ লুক গোদার।মাই ব্লুবেরি নাইটস, ওয়াং কার ওয়াই। এক চ্যানেলে শব্দ এল, অন্যটা মা গা রে সা। আমাদের রবিশঙ্করের মেয়ে সে ট্রাফিক জ্যামে আটকে গেল জুনিয়ার ল্যবরেটরি ইস্কুলের সামনে সেই জন্য ডাবওয়ালা দাম বাড়িয়ে দিল পাঁচটাকা। বত্রিশের ঐ মাথায় ফরম্যালিন মুক্তির পাশ দিয়ে যেতে যেতে দেখলাম আমের হলদে রঙ, অন্তমিলে গাছের পাতার ভেতর।
কিস্কিন্ধ...
আমার দাদা খুব কড়া টাইপের মানুষ ছিলেন, দাদী সারাক্ষন ভয়ে তটস্থ থাকতেন। বড়চাচা তার মাকে গিয়ে বলেন,
“মা তোমার এত কষ্ট আমি তো আর সইতে পারি না।”
দাদী পুত্রের মনের কথা বুঝতে পারেন, পুত্র বিবাহ করতে চায়। তিনি বলেন,
“বাবা, তুই তো চাকরী-বাকরী কিছু করলি না। এখন ব্যবসা-বানিজ্য কিছু কর। নাইলে বিয়ে করাই ক্যামতে?”
“মা, আপনে খালি কিছু পয়সা দেন আমারে। দেখবেন কয়দিনের মধ্যেই বস্তায় বস্তায় টাকা আইন...
এ গল্পটা পেলাম এক বন্ধুর কাছ থেকে মেইলে। ছোট্ট একটা গল্প। কিন্তু আমার কাছে খুব ইন্টারেসটিং মনে হল। তাই বঙ্গানুবাদ তুলে দিলাম এখানে। গল্পটার শেষে একটা প্রশ্ন করা হয়েছে। প্রশ্নটা হচ্ছে - বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কাহিনী কি এই রকম কিছু ?
গল্পটা পড়ে দেখেন আপনাদের কী মনে হয় -
-----------------------------------------
সমুদ্র ঊপকুলবর্তি একটা ছোট্ট সুন্দর গ্রাম। সারা বছর সেখানে পর্যটকদের ভীড় লেগে থাকে। তাই পর...
--কী সব চ্যাঁচাচ্ছিস বল তো?এগুলোকে গান বলে?
কালোমতন মেয়েটি মাথা গোঁজ করে তক্তপোষের ওপর পেতে দেয়া চাদোরের ফুলগুলো দেখতে থাকে। চরণ চুম্বনে বিশ্বকমল ফোটার গুঢ় রহস্য তার হৃদয়ের কোথাও ঠাঁই পায় না। তার নিজের চিত্তকমল সেই অজানা রসে সিক্ত হয় না কোনোভাবেই। এতোগুলো সাজানো শব্দের মানে তাকে কেউ বলে দেয়নি। যে শব্দের মানে জানা নেই তাকে সে কন্ঠে ধারণ করতে পারে না। না পেরে মাথা নুইয়ে বসে থেকে স...
আমার বাবার বয়স এখন ৫৮, গতবছরই অবসর নিয়েছেন। আমি চোখ বন্ধ করে যদি একটা দৃশ্য কল্পনা করি যে কেউ আমার নিরপরাধ বাবার গালে একটা চড় মারছে কেমন লাগবে আমার ? ইচ্ছে করবেনা পৃথিবীটা ভেঙ্গে চুড়ে একাকার করে দেই ? ইচ্ছে করবেনা তার প্রতিবাদ করতে না পারলে মাটি ফাঁক করে তার ভেতর ঢুকে যাই কিংবা আত্মহত্যা করে নিজেকে শেষ করে দেই?
না আমার বাবার গালে কেউ চড় মারেনি কিন্তু যার গালে চড় মেরেছে সে কিন্তু আম...
হিমুর ব্লাডি কৌতুকমালা থেকে অনুপ্রাণিত।
রুশ ভাষায় সামরিক কৌতুকের জনপ্রিয় একটি ধারা থেকে সংগৃহীত কিছু বাক্যের অনুবাদ-সংকলন এই সিরিজ। বাক্যগুলো সামরিক মুখগহ্বর নিঃসৃত বলে প্রচলিত ধারণাটি সঠিক কি না, নিশ্চিত নই।
১১.
সামরিক বাহিনীতে সবাই স্বেচ্ছাসেবক হতে বাধ্য।
১২.
কর্নেল স...
অনেক অনেক দিন আগের কথা। ভারতবর্ষে পৃথিবীভূষণ নামক এক রাজ্য শাসন করতেন রাজা শুক্লপক্ষ। তিনি ছিলেন অতি সৎ এবং সাদাসিধা একজন মানুষ। কেউ কখনো কারো খারাপ করতে পারে এই চিন্তা তিনি করতে পারতেন না। রাজার এক মন্ত্রী ছিল, নাম কৃষ্ণপক্ষ। এই কৃষ্ণপক্ষ ছিল খুবই ধূর্ত এবং দুষ্ট একজন লোক। একদিন সকালে শুক্লপক্ষ যখন সভাসদদের সাথে রাজদরবারে বসে রাজকার্য পরিচালনা করছিলেন দূত এসে বলল, “মহারাজ, ব...
স্ক্যান্ডিনেভিয়ার উপকথা
১
দেবতারা থাকতো স্বর্গে মানে আস্গার্ডে, মানুষেরা মর্ত্যে মানে মিডগার্ডে আর দত্যি দানো অসুরেরা আর সব বাকীরা নয়টি লোকের বাকী সাতটিতে। ভারী সুন্দর এক রংধনুর সেতু ছিলো স্বর্গ থেকে পাতাল অবধি। আগে ঝগড়াঝাঁটি ছিলো না কিনা, তাই ভাবভালোবাসা আর যাতায়াত ছিলো দেবতাদৈত্যে। কিন্তু পরে ঝগড়াঝাঁটি হয়ে আলাদা হয়ে গেলো। সেতুর উপরে পাহারা বসলো। বিরাট শিঙা নিয়ে দেবতা হ...