সেবা করার খুব ইচ্ছা ছিলো, ইচ্ছা ছিলো জুড়ে দেয়ার
ইচ্ছা ছিলো কাছেকাছে থাকবো, ডাকবো দূরে থেকেও
কে, কখন ঠিক কোথায় আছে, মুহূর্তে
পাওয়া যাবে কি যাবে না আঁচ
উষ্ণ তার অভিশ্বাস
-আহা, পারতাম না তো জানতে এই সেদিনও
হাতে-হাতে চলন্ত ফোন উঠে আসার আগে,
আহা
কী দূরের ভাগ্য; আমরা তখন বিচ্ছিন্ন ছিলাম!
তখন আমরা দূরে-দূরে ছিলাম!, যে যখন যেখানে
তখন শুধু সেখানেই, সেখানেই শুধু
তার দেহমনপ্রাণ!
আহা, কুশল তখ...
‘দিন বদলের সনদ’ যদি নেহায়েতই ছেলে ভোলানো বিজ্ঞাপনের কপি না হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারকে ক্রসফায়ার কিংবা এনকাউন্টারের মত আদিম শব্দগুলোকে প্রত্যাখান করতে হবে। অপরাধ দমনে এই আদিম কিংবা মধ্যযুগীয় বর্বরতা একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তৃতাগুলোতে যখন জনমানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলে...
আমাকে নিয়ে গেল ভোর--রাত্রিযাপনে
পথে কিছু মেঘখণ্ড পড়ে আছে ফাঁকা--নিমিলিত
তুলে নিতে গিয়ে তাতে ঢুকে গেল হাওয়া
হাওয়াদের কথা তাই বারবার ফিরে-ফিরে আসে
এইসব হাওয়া ভারবাহী
রেখা হতে কিছুটা তফাতে ছুটে গেলে
তাতে নির্জনতা ঘনীভূত হতে থাকে--ফলে
কামবোধ আরও তীব্রতর হয়ে ঘিরে ফেলছে ভোর
আর চোখের সামনে তাই বারবার বদলে যাচ্ছে
কাম ও ক্রোধের মহিমা
কর্পোরেট অফিসের ধুমায়িত কফির আড্ডা আর প্রতিদিনের কঠিন ব্যস্ততায় আমি ভুলতে বসেছিলাম আমার এক বন্ধু রিয়াজকে।
তখন আমি ঢাকা বিশশবিদ্যালয় ৩য় বর্ষের ছাত্রী। পহেলা বৈশাখের এক অনুষ্ঠানে তার সাথে আমার প্রথম পরিচয়। তার পারিবারিক নানা বিষয়ের কথা বলতে বলতে আমরা কার্জন হল পার হয়ে হাইকোর্টের সামনে দিয়ে রিক্সা করে যাচ্ছিলাম ।সে ছিলো একজন দক্ষ আই,টি স্পেশালিস্ট এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিট...
(গদ্য লেখার সাহস কখনো হয়নি। অনুবাদের ইচ্ছে ছিল কিন্তু বড় লেখায় হাত দিতে ভয়ও করত। অবশেষে ছোটখাটো একটা লেখা পেয়ে গেলাম, যেটা মনে হল সবার সাথে শেয়ার করা দরকার। অত্যন্ত প্রিয় লেখক পাউলো কোয়েলো এর Like the Flowing River এর The pianist in the shopping mall গল্পটা অনুবাদের দুঃসাহস দেখালাম। অভাজনের ধৃষ্টতা মার্জনীয়।)
শপিং মলের পিয়ানোবাদক
************
(মূলঃ পাউলো কোয়েলো)
একটা শপিং মলে এলোমেলো ভাবে হাঁটছি। সাথে আমার বন্ধু ...
এক দেশে এক সন্ন্যাসী ছিলেন। তিনি গেরুয়া রঙের কাপড় পরিধান করতেন না। নির্জন গাছের তলায় বসে ওম্ শান্তি ওম্ বলে ধ্যান করতেন না। যত্র-তত্র যাকে তাকে যেখানে সেখানে শাপ অথবা বর দিতেন না। সন্ন্যাসী হলেও তিনি ছিলেন পুরো মাত্রায় সংসারী। তাই জনগণ আদর করে তাঁকে সংসারে এক সন্ন্যাসী বলে ডাকতো।
তিনি নিয়মিত আসর জমাতেন - কখনো দারুণ সব ছোট গোল-গাল রুটির মতো সুস্বাদু গল্পে, কখনো কামরাঙা ছড়ায় আবা...
এক:
ছেলে: মা, অপরাধ কাকে বলে?
মা: খারাপ কিছু করা হচ্ছে অপরাধ।
ছেলে: তিন্নি গত হাফইয়ার্লি পরীক্ষায় খাবাপ করেছে। ও কি অপরাধ করেছে মা?
মা: না তা হতে যাবে কেন? ও তো কাউকে মেরে ফেলেনি!
ছেলে: ও, তাহলে র্যাব, পুলিশ আর জেলখানান জল্লাদরা অপরাধী!
মা: না, অপরাধী তারা, যারা ইচ্ছে করেই যাদের কোন দোষ নেই, তাদেরকে খুন করে বা ব্যথা দেয়।
ছেলে: তাহলে কাল শামীম খেলার সময় টেনিস বল ছুড়ে পিঠে ব্যাথা দিয়েছে...
শোমচৌ-এর অটোমান হারেমের কিচ্ছা বা তুর্কী কামসূত্র দ্বিতীয় ভাগের অংশবিশেষ থেকে এই কমিক্সের কথা মাথায় আসে। কবি ফাজিল ফাজলামি করে পার পেয়ে গেছেন, কিন্তু নারীদের দিয়ে এই আনাড়ি নাড়াচাড়া কোনো পাঠিকাকে গোঁসাঘরে না পাঠালেই ভালো।
যাক এই প্রাথমিক প্যাচালটা ম্যান্ডেটরি, নীড়পাতায় কমিক্সের টুকি মারা ঠেকাতে। পড়েন, মতামত জানান, এই সবও জানা কথা।
শোমচৌ-এর "অটোমান হারেমের কিচ্ছ...
আজ জুন ২, ২০০৯। একমাস হলো। আরো কতদিন বাকী! মনে হচ্ছে তোমাকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য হলেও চলে যাই। কিন্তু সেটা কি ঠিক হবে? হবে না। তাই অপেক্ষাই একমাত্র সম্বল।
এখানে গ্রীষ্ম আসেনা
রোদে পোড়েনা ফুল-ফল-পাখি
বৃষ্টির রিমঝিম বাজেনা;
মেকী হাসি, মেকী মন
জান্তব ক্ষুধার ভেলায়
অহরাত্রি ভাসেনা;
ছন্নছাড়া মেঘ
সবুজের ঘাঘরা পরা
কিশোরীর চঞ্চলতায় নাচেনা;
এখানে গ্রীষ্ম আসেনা।
এখানে প্রেম আসে ন...
গ্রেট পাওয়ার সিরিজ: পর্ব-১ । পর্ব-২ । পর্ব-৩ । পর্ব-৪
*
হ্যাবসবার্গদের নিয়ে কেনেডির লেখা অধ্যায়টা বিশাল, আর এত নানা দিক থেকে আগাইছে যে কোনদিক দিয়া ধরমু আর কোনদিক দিয়া নাড়মু এখনো ঠিক বুইঝ্যা উঠবার পারলাম না। আবার পড়তেই লাইগা গেল বিশাল সময়! আরো পেইন হইল, কেনেডি মহাশয়ের ল...