[justify]গত দুই বছরে সচলায়তন বেশ কয়েকজন কবির অগণিত কবিতার ভিড়ে মুখর থেকেছে। সচলাবহ কাব্যবিমুখ নয় একথা আমরা হলফ করে বলতে পারি।
এবার আমাদের পরিকল্পনা একটি কবিতার ই-সংকলন প্রকাশ করার। সংকলন সম্পাদনার জন্যে অনুরুদ্ধ হয়েছেন সচল হাসান মোরশেদ ও সুমন চৌধুরী।
বরাবরের মতো এবারেও লেখা পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম থাকছেঃ
জিসানকে চিন্তার আধাঁর, গুদাম যাই বলা হোক না কেন তা সবসময় অপর্যাপ্ত মনেহয়। ওর প্রতিটি দিন প্রতিটি মুহুর্ত শুধু চিন্তা করেই কেটে যায়। চিন্তা করার বিষয়ের ওর অভাব হয় না। এই যেমন আজকে ওর চিন্তার বিষয় হল কষ্ট ও দুঃখ। কষ্ট ও দুঃখের মধ্যে পার্থক্য কি এটা চিন্তা করেই আজকে ওর দিনের অধিকাংশ সময় পার হয়ে গেছে। একটু পরেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসবে। জিসানের ধারণা সন্ধ্যা নামলেই তার চিন্তাগুলো কেমন যে...
ধুন্ধুমার আড্ডা হলো আজ বিকেলে। কোনো পূর্ব পরিকল্পনা ছিলো না। এনএসইউ-এর পুরানো দালানের সামনে একে একে কিভাবে যেনো সবাই হাজির হয়ে গেলো। জমজমাট আড্ডা শেষে; স্টার কাবাবে খাসির পায়া নান ফালুদা আর মালাই চা মেরে এই একটু আগে বাসায় ঢুকলাম।
আজ ক্যামেরার ডেটা কেবলও কিনেছি। কিনতে গিয়ে দাম জিজ্ঞেস করেছি, দোকানী বলে ২০০টাকা দেন। আমার কেনো জানি হাসি পেয়ে গেলো। খানিকক্ষণ হাঃ হাঃ করে হাসার পর ...
পাখি হলো একটা অডিও-ভিস্যুয়াল ব্যাপার, তার ছবি অসম্পূর্ণ থাকে যদি ডালে বসে পুচ্ছ নাচিয়ে সে কিচিরমিচির না-ই করলো। তবে কি না সুন্দরী ললনাদের ক্ষেত্রে দুর্জনে বলে (আমি কিন্তু বলি না একদম, কেউ রাগ কইরেন না) হিস্ট্রি জিওগ্রাফি দুটো একসাথে ভালো হওয়া একটু কঠিন। পাখির ব্যাপারটাও খানিকটা তাই, দেখতে সুন্দর পাখিগুলোর ডাক একেবারেই এলেবেলে, আর যারা গান শোনায় তারা পাতার ফাঁকে লুকিয়ে থাক...
আসবে কি গোলাপফুল খেলার শুভদিন
নাজমুস সামস
স্বপ্নও আমাকে ঈশ্বর দেখায়
তাই যে সব ঘুঙুর হারিয়ে গেছে পুর্ণজন্ম সময়ে
তার শব্দ বাজে প্রশ্নকালে
ঐতো ওখানে সাঁকো ছিল
বাঁশচার দিয়ে হেঁটে যেতো সময়ের লোক
সেখানে ফ্লাইওভার উন্মাদনা দিনে
আমি ফিরে যাই লম্বা কামিজ পরা রোদে
যারা দিয়েছিল হৃদয়ে ধোয়াঁ
তাদের আগুন খাওয়াই আবার
না পাওয়া ব্যাথার দু:খভুলি অজ্ঞাত মুখস...
সুমন চাইয়ের জেনেসিস হইল একটা মিন্সুক্যাট মার্কা বাঘ। যে কাড়মাইলে কুনো ব্যাদ্না পাউয়া যায় না। উফুরন্তু কীয়ের নিগ্যা জানি ভালো নাগে। এক ধরমের আনন্দ নিরানন্দকারে কানের গুর দিয়া খেলা করে।
সে সহসা হরিঙ্গের মান্সো দিয়া ভাত খায় না। কিন্তু হরিংরে ভালো বাসে। যারপরনাই। কারণ বিজ্ঞান হরিংকে ভালোবাসে না। বাঘকেউ ভালোবাসে না। তাই তারা বনের মইদ্যে গলাগলি ধইরা কান্দে। হুহু কইরা কান্দে।...
সচলে অনেকেই স্মৃতিচারন করেছেন কিন্তু কেউ মনে হয় না তার প্রথম স্মৃতি নিয়ে এখন পর্যন্ত লিখেছেন, অথবা লিখেছেন যা আমার চোখে পড়েনি, আমি তো আর সচলে প্রথম থেকে নেই, তাই এরকম রায় ঘোষনা করাটাও বোধহয় বোকামী হচ্ছে। আসলে আমার উদ্দেশ্যটা খুব সহজ, আমার সবচেয়ে পুরানো স্মৃতি যেটা আমি পরিষ্কার মনে করতে পারি এবং তার পরের আরো কিছু ঘটনা সবার সাথে ভাগাভাগি করতে চাই। বুঝতেই পারছেন, আবারো স্বার...
এই সেমিস্টারের সবচে দীর্ঘতম মিশন হলো টেলিকম ল্যাব করা। শেষই হতে চায় না। মনোযোগ দেয়ার কোন মানে নাই। জানি- পাঁচ দশ মিনিট পরেই তাল হারিয়ে ফেলব।
কী মনে করে আজ ল্যাবে- খাতায় বাংলা লেখা শুরু করলাম। এবং স্বাভাবিক ভাবেই লক্ষ্য করলাম, লিখতে খুব কষ্ট হচ্ছে। অ এর মাথাটা দিয়ে ঘুরিয়ে আনতে বেশ সময় লাগলো।
কত দিন পর, কলমে কাগজে বাংলা লিখতে বসা। কী বোর্ডে নোটপ্যাডের যুগে অবশ্য এ কাজটা এখন না করলে...
ছবিটা কোন ফ্যান্টাসি ছবি না, কিছুটা স্টেজড হলেও। প্লেনটা সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের, যে এয়ারলাইন এখন পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক প্যাসেঞ্জার বহন করে।
কি কাহিনী?!
বলছি, পড়েন!
*
সকালে অফিসে আসার জন্য আমি প্রায়ই সবার আগে রেডি হয়ে যাই। বাবা আর বোনের দেরির কারণে এ সময়টায় বসে বসে টিভি দেখি।
আজকে দেখি সিএনএন দেখাচ্ছে সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের একটা প...
হাতের পাতায় চোখ ঢাকে লীনা-" সরিয়ে নাও, শিগগির সরিয়ে নাও ঐ ছবি। আমার ভয় লাগছে।"
সামনে দাঁড়ানো ঋত্বিক অবাক হয়ে যায়, কিসের ভয় সামান্য একটা ছবিকে? কিন্তু লীনার মুখে সত্যি সত্যি ত্রাস,"কই সরিয়েছ? এতক্ষণ লাগছে? এখনো সরালে না?"
সমুদ্রের পরাক্রান্ত হাওয়া উড়ে আসে জানালা দিয়ে। ঋত্বিক মুগ্ধ চোখে দেখে তার হাওয়ায় এলোমেলো চুলের প্রিয়তমাকে। লীনা এত সুন্দর! হিমবিদ্যুতের মতন ওর জ্বলজ্বলে রঙ।...