http://www.sachalayatan.com/guest_writer/25702
জিসানের কখনই চিন্তা করার বিষয়বস্তু খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়নি। গাছের যেমন একের পর এক শাখা-প্রশাখা গজাতে থাকে ঠিক তেমনি ওর চিন্তাগুলো সব সময় বিস্তার লাভ করে। এক চিন্তা থেকে হাজারো চিন্তা জন্ম নেয়। ও যদি ঘুম নিয়ে চিন্তা করে সেক্ষেত্রে দেখা যায় ঘুমের সাথে সম্পর্কিত সববিষয় ধীরে ধীরে ওর চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এভাবে ওর চিন্তাধারা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তেই থাক...
হঠাত ফোনটা পেয়ে একটু আশ্চর্যই হয়েছিলাম। প্রেমেনদার স্বর্গবাসের পর আর ওপথ মাড়ানো হয় নি।
- 'কি হে। অনেকদিন দেখা নেই। পরশু একবার আসবে নাকি?', সেই পুরনো গলায় আহবান।
- ঘনাদা আপনি? মানে? কেমন আছেন?
- 'সে তো এলেই দেখতে পাবে। তোমাদের কি আর সময় হবে?', গলায় সেই চিরপরিচিত অভিমানের সুর।
- হবে না মানে? পরশুদিন নিশ্চিন্ত থকুন, সবাইকে নিয়ে আসছি।
তারপর সব কটাকে পর পর ধরলাম। শিশির, শিবু, গৌর। ৭২ নং বনমাল...
কেন তুমি বলো 'আমার আত্মা'
আত্মা কি তোমার হতে পারে কখনো ?
শুধু সার ভর্তি দেহটাই তোমার
যা শুধু গোরস্তানের মাটিকেই উর্বর করে
আর যতসব বস্তাপচাঁ সুখের আকর
যার ভেতর লুকিয়ে থাকে
আত্মা নামের বিদ্যুত।
দেহে মাংশ বাড়াতে বাড়াতে
কামে আর ঘামে তুমি অচেনা করে তোলো তাকে।
অধম জাহেদ
আত্মা পরমমহাবিশ্বের সাথে তোমার
সম্পর্কের অস্থায়ী বুনিয়াদ।
প্রিয় পাঠক শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এই অতি গুরুত্ত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিয়ে দেরী হওয়াতে, বিশেষ করে একাধিক পাঠক ও সচলদের কাছে থেকে অনুরোধ আসার পরেও। আমার বিলম্বের কারন মূলত দূটি, প্রথমতঃ আসলে এই বিষয়টি নিয়ে সংবাদপত্রে, ব্লগে ও অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমে অসংখ্য লেখা বেরিয়েছে এবং যার অধিকাংশগুলিতেই বিচ্ছিন্ন ভাবে সমস্যা গুলি তুলে ধরা হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি এই সময়ের মধ্যে ...
আশির দশক।
আমি তখন ক্লাস সেভেন কি এইটে পড়ি।
সে সময়টাতে বাজারে 'গজল' নামের একটা জিনিস খুব চলছে। রাস্তা-ঘাটে বেরুলেই বিজাতীয় ভাষায় কিছু গান কানের উপর আছড়ে পড়ে।সবচাইতে অদ্ভূত ব্যাপার হল---ঐ সব গানের ফাঁকে ফাঁকে বিস্তর লোকজনের 'ক্যা হুয়া' 'হুক্কা হুয়া" 'ক্যাবাৎ ক্যাবাৎ' ইত্যাকার চেঁচামেচি শোনা যায়। আমি কিছুতেই ঠাহর করে উঠতে পারিনা---গানের মাঝ...
ঠিক এক সপ্তাহ আগে, বুধবারে অফিসে কাজ করছিলাম। তখন দুপুর পেরিয়ে বিকেল হয়েছে সবে মাত্র। হঠাৎ বাসা থেকে বোনের ফোন - তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আয়। সাথে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসবি অবশ্যই।
বুঝলাম সময় এসে গেছে। দ্রুত বাসার উদ্দ্যেশে ছুটলাম। জরুরী ফোনগুলো দ্রুত সেরে ফেললাম পথে। বাসায় পৌঁছেই বউকে নিয়ে হাসপাতালে রওনা হলাম।
তারপর বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা হলো। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত। রাত পেরিয়ে সকাল...
চার - (শেষ কিস্তি)
তারুর বিয়ের পর থেকে কিনা কে জানে রীনারা তিনবোন বা পাড়ার অন্যান্য আবিয়াত মেয়েগুলি হয় তো বিয়েশাদীর স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। এইবার তো রীনাও পাক্কা ধরে নিয়েছিল পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরলে আম্মা তার ঠিক হওয়া বিয়ে দিয়ে হজ্বে করবে। প্রতিবার বিয়ের কথা হলে তাকে এই কথাই শুনতে হয়। এইবার রীনাও এক রকম কনর্ফাম মনে করেছিল- কারণ এই ছেলে তো গত দুইমাসে দুইবার তাকে দেখতে ঢাকা এসে ঘুরে ...
পাথরের শ্বাস শুনেছ কখনও? একলা বিকেলের পাশে দাঁড়িয়ে যেভাবে শুনো নদীর কান্না? অথবা বৃষ্টির ফোঁটায় তাকিয়ে যেরকম দেখো স্বপ্নে পাওয়া মুখ, লেপ্টে থাকে তোমার দেয়াল জুড়ে।
আমি পাথরের শ্বাস শুনেছি বাতাসে ভেসে ভেসে! আমাকে পাহাড়ে দেয় পাখিদের শিস! কখনও একটুকরো আকাশ দেখে হাত বাড়িয়েছি, চিত্রল মেঘেদের আয়নায় নিজের পেছন লুকিয়ে শুধু নদীর গল্প-ই বলে গেছি। শুনিয়েছি বৃষ্টি ও মাটির সঙ্গম আখ্যান।
...
এবারও দেখা হলো না। গতবারও হয়নি। গতবার কোন ফাঁকে এসে চলে গেলো সেটা বুঝতেই পারিনি। মাঝখানে কথা হলো একদিন ফোনে। এবার ঘটলো বিশ্রি ঘটনা। আমি ঢাকা ঘুরে সিলেট এলাম, এর ঘন্টাখানেক বাদেই ফোন, 'এইটা আমার নাম্বার, আপনে ঢাকা আসবেন কবে?' আমি বলি পাগলি আমি একটু আগে ঢাকা থেকে ফিরলাম!
বিষয়টা খুবি কষ্টকর। ভ্রাত এবং ভগ্নি একই শহরে থেকেও দেখা হয় না। এর আগে গত রোজার ঈদেও এমন কারবার হয়েছে। আমি বাবাইর...
ভ্যাংকুভারের এই এলাকাটায় প্রচুর বাংলাদেশীদের বসবাস। প্রায়ই সপ্তাহান্তে এর ওর বাসায় জমজমাট আড্ডা বসে। খানা-পিনা, আড্ডাবাজি, বোর্ড গেমস বা তাস পিটানোতে দুর্দান্ত সময় কাটে, সাথে দেশ নিয়ে আক্ষেপ-ক্ষোভ বা তত্ত্ব-তালাশ তো চলেই।
আজ আড্ডা জমেছে জামিলের বাসায়। সবাই হাজির। টেক্সাস হোল্ডেম পোকার খেলা চলছে। বাইরে নির্বিকার পোকার ফেস রেখে ভেতরের উত্তেজনা দমাতে প্রায় সবাই চিমনির মতো স...