সচলায়তনে বহুদিন পর লিখতে বসলাম। মনে হচ্ছে অনেকগুলো বছর এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে। অথচ তা নয়। অস্ট্রেলিয়ায় এসেছি এখনো চার মাসও হয় নি! এই চার মাসের ভেতর নেটে বসলেই সচলায়তনে এক ঢু মেরে এসেছি কিন্তু ইচ্ছা থাকার পরও কিছু লিখতে পারি নি। কারণ লাইব্রেরির নেটে বসে আধাঘন্টায় কতটুকুই বা আর লেখা যায়। তার উপর নতুন একটা জায়গায় একটু গুছিয়ে নেয়ার ব্যাপারতো ছিলোই।
যাই হোক অবশেষে আজ আবার সচলায়তনে ...
উইকিসোর্সে জগদীশচন্দ্র বসুর একটা রচনা যোগ করতে গিয়ে ব্যাপারটা প্রথম খেয়াল করলাম। যে- ইউনিকোডে সম্ভবত ড্যাশের ব্যবহার নেই। প্রথমে খটকা লাগলেও পরে অভ্র, প্রভাত, ইউনিজয়, ইউনিবিজয় ইত্যাদি কি-বোর্ডেও খোঁজাখুজি করে নিশ্চিত হলাম- আসলেই ইউনিকোডে ড্যাশ নেই। তাও সন্দেহ কাটছিলো না। আমি টেকি নই- যে কারণে 'নিশ্চয়ই কোথাও না কোথাও আছে' ধারণা করে বেশ কয়েকটা দিন কাটিয়ে দিলাম।
আজ সকালে উইকিপি...
[justify]
আজকের পর্বে থাকছেঃ বাংলাদেশে টিপাইমুখ বাঁধের প্রভাবঃএকটি স...
[justify]
১ - ভিশন ২০২১
২ - জাতীয় পরিচয়পত্র
দেশজ আন্তর্জাল
প্রজন্ম কথাটি এক সময় বয়স দিয়ে নিরূপিত হত। শিশুরা ছিল চিৎকার আর ছোটাছুটির প্রজন্ম, কিশোরেরা ছিল বোকা স্বপ্ন আর ঔদ্ধত্যের প্রজন্ম, তরুণেরা ছিল মিছিল আর প্রেমের প্রজন্ম, প্রৌঢ়েরা ছিল শাসন আর সাবধানতার প্রজন্ম, বৃদ্ধেরা ছিল খিটখিটে মেজাজ আর হতাশার প্রজন্ম। আজ এ-ধরনের বিভেদগুলো ধুয়ে-মু...
[right]কবেকার মৃত কাক: পৃথিবীর পথে আজ নাই সে তো আর;
তবুও সে ম্লান জানালার পাশে উড়ে আসে নীরব সোহাগে
মলিন পাখনা তার খড়ের চালের হিম শিশিরে মাখায়;
তখন এ পৃথিবীতে কোনো পাখি জেগে এসে বসেনি শাখায়;
পৃথিবীও নাই আর; দাঁড়কাক একা — একা সারারাত জাগে;
কি বা হায়, আসে যায়, তারে যদি কোনোদিন না পাই আবার।
নিমপেঁচা তবু হাঁকে : ‘পাবে নাকো কোনোদিন, পাবে নাকো
কোনোদিন, পাবে নাকো কোনোদিন আর।’
--- "এই সব ভালো লাগে", জী...
চাঁদপুরে আমাদের বর্ষা ছিল
শত কুয়াশার মধ্যে কী করে যে
ঠাঁই খুঁজে নিলো নিরন্তর
বড়ই অদ্ভুত!
নদীর পেছন ফিরে অবিরত শুশুকের
মুখ গুণতি কাটিয়ে সময়
ফিরে দেখি বসন্ত উধাও।
অন্য কুয়াশা এসে ঘিরে ধরেছিল
সেই নদীর বসতি।
অবিনশ্বরের সঙ্গে দেখা হয়ে গেলো
কথায় কথায় ক্রমে রাত বেড়ে গেলে
বর্ষার পেছন ফিরে তারপর
ঘাড় কাৎ করে চলে যাওয়া-
এভাবে তো না গেলেও চলে!
ভদ্রলোক দুনিয়ার উপর মহাখাপ্পা।
ঘর থেকে বের হলেই হাজারটা জাহেরী বাতেনী গায়েবী সমস্যা দেখা দেয়। বাজারে আলুপেঁয়াজের সামনে দাঁড়ালে নিজেকে তার মনে হয় কমদামী চাইনিজ মাল। অপিসে বস'রে দেখলে ইচ্ছা হয় কইস্যা দুইডা থাপ্পড় লাগাইতে। আর রাস্তায় বের হলে ভাড়া নিয়ে কাইজ্যা ক্যাচাল তো আছেই...
ঘরে এসেও বেচারার শান্তি নাই। যদিও ঘরে তার চাঁদের মত বউ, তবে সেটা অমাবস্যার চাঁদ কিনা! আর আছে চার-চারট...
কালো পিচ ধরে ছুটে চলা রিকশা কেন দোলে নৌকার মত ?
ও রিকশাওয়ালা তুমি বুঝি খেয়া নৌকার মাঝি ছিলে ভাই?
তুমি কি হলিউডের মুভি ট্রান্সফর্মার দেখেছ?
মানুষ রবোট হয়ে যায়,
রবোটগুলো গাড়ি,
গাড়ি উড়োজাহাজ।
বেঁচে থাকা, টিকে থাকার অমোঘ ফর্মুলা।
বদলাও, নিজেকে বদলাও, কিছুটা বদলে যাও।
তুমি ভূমিপুত্র ছিলে,
তুমি কৃষকসন্তান ছিলে-
তুমি ভূমি হারিয়ে খেয়া নৌকার মাঝি হয়েছিলে,
ইঞ্জিন নৌকা এসে আবার বদলেছে তো...
মাঝে মাঝে ছড়া লেখার বদভ্যাস আছে। তবে সচলায়তনে ছড়া দেবার দুঃসাহস করতে অনেক সময় লাগলো।
ভার্চুয়াল প্রেমোলজি
চ্যাট দিয়ে শুরু, পরে একটু ঘনিষ্ঠ,
দুজনেই হল প্রেম-অনুভূতিপিষ্ট
পরে হল গলা শোনা, শুরু হল নিত্য
কথা বলা, প্রতীক্ষা, প্রেমায়িত চিত্ত!
হয় নি তো দেখা তবু কথা হলে বন্ধ
মনে হয় কোথা যেন কেটে গেছে ছন্দ।
পাবে নাকি পরিণতি এই সম্পর্ক?
এটা নিয়ে হতে পারে দুমদাম তর্ক।
এখন বলুন শুধু, নিন...
এই অফিসে আপনারা কাজ করেন আর আমি শুই। বসেন আপনি। সামনের সপ্তায় আপনাদের বস দেশের বাইরে চলে গেলে অফিসের সাথে সাথে আমারও শোয়ার জায়গা থাকবে না। যদিও একই ছাদের নিচে আমরা ছয়মাস ধরে আছি কিন্তু দিনে যখন আপনারা কাজ করেন তখন আমি থাকি দরজা বন্ধ করে আর আপনারা অফিস বন্ধ করে চলে গেলে শুরু হয় আমার কাজ। অবশ্য আমার কাজকে আপনারা কাজ না বলে বলেন কাম
এই শহরে আপনাদের বসকে ট্রাফিকজ্যাম ঠেলতে হয় না কোন...