বৃষ্টির শব্দে ঘুম ভাঙল আজ খুব ভোরবেলায়৷ আধোঘুমে ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না, শব্দটা বৃষ্টির নাকি জানলার ওপাশের আধখানা শেষ হওয়া বাড়িটির ছাদের জমানো জল গড়ানোর৷ খানিক এপাশ-ওপাশ করে আরো একটু ঘুমিয়ে নেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও ঘুম আর এলো না৷ কানে ততক্ষণে পরিষ্কার রিমঝিম বৃষ্টি৷ যাহ৷৷ আজকেও বাজার যাওয়া হল না৷ তার মানে আজকেও ডিম আর ডাল?! আর যা বৃষ্টি পড়ছে, বুয়ার তো আজকেও নিশ্চিত ছুটি! ...
হন্তদন্ত হয়ে অফিসে ঢুকে মোখলেস। আজও ১ ঘন্টা লেট। রিসিপশন থেকে ৯ টা ১৫ মিনিটে খাতা চলে যায় বসের রুমে। দেরী করলে ওখানে গিয়েই সই করে আসতে হয়।
টেবিলের উপর রাখা বিলের কপিটা নিয়ে বসের রুমের দিকে এগোয় সে। এই ফাঁকে মনে মনে জপে নেয় উত্তরা থেকে ধানমন্ডির দুরত্ব। বাস সার্ভিসগুলোর সেবার মান নিয়েও ভেবে নেয় ১ বার। ডে-লাইট সেভিংয়ের নামে ঘড়ির কাটা ১ ঘন্টা এগিয়ে দিয়ে কার কী লাভ হলো সেই হিসেবটাও ...
ঐ ছেলেটা
চেয়ারে গা এলিয়ে “ঐখানে” যে ছেলেটা বসে আছে, কে ও? পুরুষ! নাকি তার চেয়েও বেশি শ্রেণীভুক্ত নামসর্বস্ব নব্য ফেরাউনের ক্ষুধার্ত দাস, নাকি সে প্রাণহীন চাবিতে সচল একটি অটো বাইসাইকেল, কে ও! গুপ্তচর! নাকি সে কবি বা প্রায় কবিদের মত বোবা’য় কথা কয়, ডাঙ্গার ফাটলে যে নদী গড়ায় চলে সে কী তার এমাইনো এসিডের সন্তান, নাকি মানুষের, নাকি আদিমতম বাদশাহর (ঈশ্বরের)! সে কী সেই অসর্তক রাতের জলজ কাদার অ...
মাহমুদুল হকের "কালো বরফ" পড়তে পড়তে, সম্ভবত, বার তিনেক আমাকে পাতা উল্টে প্রথম প্রকাশের তারিখটা দেখে নিতে হয়েছে। ১৯৯২ সালে বেরিয়েছিলো এই বই। ঠিক সতের বছর আগে। কিন্তু তারচেয়েও বড় ব্যাপার হলো, এটির রচনাকাল আরও পেছনে, অগাস্ট ১৯৭৭! তিরিশ কিংবা তারও বেশি বছর বাদে, আমার নিজের চেয়েও বেশি বয়েসী এই বইটা হাতে নিয়ে আমি অবাক হয়ে ভাবছি, মাহমুদুল হক কেমন করে এত বছর আগেই এরকম একটা চির-আধুনিক উপন্যা...
সোভিয়েত পতনের মাধ্যমে বামবিশ্বের পতন ঘটেছে এমন একটা বদ্ধমূল ধারণা নিয়ে আমরা বসে আছি। সোভিয়েত পতন, পূর্ব ইউরোপে বামবিশ্বের ভাঙ্গন বার্লিন প্রাচীরের ভেঙ্গে পড়া,এইসব চিত্রকলা বামপন্থার কফিনে কতিপয় শেষ পেরেক হিসেবে উদযাপিত। তার মানে কী এই যে পুঁজিবাদ ই সর্বশ্রেষ্ঠ মতবাদ হিসেবে তার চরম উৎকর্ষের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে। এর উত্তর সম্ভবত চিরন্তন; রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।
আমর...
তবে তো রবীন্দ্রনাথ আশা আছে,তুমি আছ কলকাতা থেকে দূরে গ্রামে
যেখানে সমস্যা আর সমাধান পাশাপাশি শুয়ে থাকে প্রকৃতি রয়েছে।
ব্যর্থকাম চিমনির গ্লানি রোজ আকাশের রাঙা গালে কালিমা লেপন
সেখানে করেনা; তুমি শিখেছ কেমন ভাবে কথা বলে বিবাহিতা নদী।
এত জল নিয়ে ও সে অতি অকপটে চায় কার্তিকের কিছুটা শিশির
তুমি সেইখানে থাক নদীর ভিতরে, তীরে কাশবনে হাত বোলাতেই
দেখা গেল তুমি এক বিরাট পুরুষ আহা হাজার ম...
লেখালেখি খুব একটা ভাল পারি না। ছবি একটু আধটু তুলার চেষ্টা করি। মাঝে সিলেট লাওয়াছড়া ভ্রমনে গিয়েছিলাম ওটার কিছু ছবি দিলাম
সিলেট যাওয়ার পথে
হযরত শাহজালালের মাজারে
পি ডাব্লিউ ডির রেস্টহাউসে
কুশিয়ারা নদীর উপর ব্রিজ থেকে তোলা
লাওয়াছড়া অভয়ারন্যে
চা বাগানে
আসার সময় বাস থেকে তোলা ফেরিওয়ালা
--------
উদ্ভ্রান্ত পথিক...
মাত্র দু’বার ঢাকায় এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। প্রথমবার ১৮৯৮ সালে, বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলনে। দ্বিতীয়বার ১৯২৬ সালে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে। আরো একবার ১৯৩৬-এ তাঁর আসার কথা ছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত ডি লিট সম্মাননা গ্রহণের জন্য। রবীন্দ্রনাথ তখন আসতে পারেননি অসুস্থ থাকায়।
দ্বিতীয়বার রবীন্দ্রনাথ যখন ঢাকায় আসেন তখন তিনি বিশ্ব কবি। নো...
কত রাত্রিইতো বিফলে গেলো একটা রাত অন্তত তাকে দিও
তৃষিত হরিণ হয়ে নামবে সে তোমার রোমাঞ্চিত যমুনায়
নারীদেহ নয় শুধু দেহ- সভ্যতার কারাগার
কবিতো সভ্যতার জেলখানায় জন্মনেয়া, অনাথ-
তার কলমের ডগায় দুনিয়ার ভবিষ্যত
তোমার দেহে যত গান আছে সে তার স্বরলিপি জানে
খুঁজে নেবে নিয়ন জ্বলা সুরঙ্গ, ঘাষে ঢাকা পথ-
সেই সুর, যা পায়নি খুঁজে বেথোভেন, মোজার্ট, বাখ
পিয়ানোতে সুর তোলা তার সবকটি আঙুল জানে
দেহের ...
প্রথম পর্ব http://www.sachalayatan.com/swopnohara/26156
উপস্থাপকঃ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ক্যাদমস ভাই। সুধীমন্ডলী এবার আমরা কথা বলব আমাদের অতিপ্রিয় গোলাপ বানু রোজির সাথে। আচ্ছা আপনি কেমন আছেন?
গোলাপঃ জ্বী ভাল।
উপস্থাপকঃ ক্যাদমস ভাইতো তার ইতিহাস বললেন। আমরা এবং দর্শকরা আপনার নামের ইতিহাসও জানতে চাই।
গোলাপঃ আমার আসলে টাইটানিকের নায়িকা রোজ'রে খুব পছন্দ। উনি আমার প্রিয় এক্টোরেস। আমি যখন একটিং শুরু ক...