চাপাক্রোধ আর গভীর অনুরাগে মানসিক ভারসাম্যে সংযত খুব সীমিত সময়। যার জন্য সাজানো চিত্রকলা, নিজের মত! দেখি দেহস্বপ্নভঙ্গ ! কেঁপে কেঁপে উঠে ফনিল। আমি হিসেবের আঁধারে যাই না, যত পরো ভাঙ্গিমা করো আর ঘৃণা দাও। অবস্থান, কল্পের বিপরীতে গল্প সাজাও... ভেতরে জন্মে নেয়া স-সহস্র ঘৃণা, নিজকে ধিক্কার দিয়েও এর সুরাহা হয় না। আমাকে আরো ঘৃণা দাও। চোখের বিপরিতে তুলে নাও আরেকটা চোখ। প্রদীপের আলোকে প্রত ...
দুপুর পড়ে এলে পর শাহেদের জানালা দিয়ে রোদ ঢুকে। বিকেলের পড়ন্ত রোদ। ছোট জানালা তার ঘরে, একটাই। সমস্ত দিন ধরে বিশ্বচরাচর ধুয়ে এসে বিকেলের রোদ যেন জানালা ধরে ঢুকে পড়ে। তার খাটের পায়ার কাছে এসে আলগোছে চুপটি করে বসে থাকে। একটু জিরিয়ে একটা আদুরে বেড়ালের মতো। বেশ ভালো লাগে শাহেদের।
সুতপা যেন বুঝতে পারে শাহেদের এই ভালোলাগা। তাই তো, কোন কথা না বলে নীরবে বসে থাকে তার পাশে। তবুও চোখের আদর ...
আহাদুলের ভুলটা তুচ্ছ হলেও ধরাটা হলো কঠিন। ঘটনাটা এরকম।
পাশাপাশি দুটি দোতলা বাড়ী। নির্জন আবাসিক এলাকা। কাছাকাছি আর কোন প্রতিবেশী নেই। দুটো বাড়ীতেই মালিক দোতলায়, ভাড়াটিয়া একতলায়। ফারজানারা এলাকায় নতুন। আহাদুলরা মোটামুটি পুরোনো।
ফারজানার সাথে চোখাচোখিটা হয়ে গেল বাড়ীতে ওঠার দিনই। আহাদুলের নজর প্রথমে ফারজানা কেড়েছে নাকি ফারজানার নজর আহাদুল কেড়েছে আমরা জানি না। আমরা কেবল জা ...
আমাদের শহরে একবার ভালুক এসেছিল। গা ভর্তি কালো চুল। চারপায়ে হাঁটতে পারে—দুপায়েও পারে। দশাসই ফিগার। তর তর করে গাছে চড়ে। ভালুকটিকে কেউ দেখে নি। গলায় একটি ঝুমঝুমি আছে। খবরটি তাজা।
শুনে আমার বন্ধু প্রতিক বরইগাছের কচি ডাল পুড়িয়ে চারকোল বানিয়ে নিয়েছে। আর জোগাড় করেছে বড় সড়ো কার্টিস পেপার। কাঁধে ঝোলা। আমাকে নিয়ে সারা শহরম ...
১
আমার জীবনের অন্যতম 'প্রভাবশালী' একজন লোকের নাম হল ভলফ্র্যাম রসলার (Wolfram Roesler, s এর উপর দুটো ফোঁটা বা উমলট আছে, কিন্তু দিতে পারি না, তাই es লেখা)। ভদ্রলোক জার্মানির আচেন (Aachen) শহরে থাকেন। তার সাথে ঢাকাবাসী আমার পরিচয় হল কী করে?
এই হল ইন্টারনেটের ক্ষমতা। আপনার জীবন যে কখন কোন চলকে কিভাবে পাল্টায়, সেটা বোঝা খুবই কঠিন।
ক্লাস নাইনের প্রথম সাময়িকীতে আব্বার আশানুরূপ ফলাফল করায় দেড় বছরের প্ ...
সকালে অফিসে যাবার সময় দু'টো ফ্রিওয়ে ধরি - ফলে ১২ মাইল রাস্তা ১৫ থেকে ১৮ মিনিটে পার হতে পারি। শহরের মধ্যের রাস্তা ধরলে রাস্তাও লম্বা হতো এবং সময় লাগতো অন্তত আধা-ঘন্টা। আমেরিকাতে আমরা সবাই সময়ের দাস। এই ১৫ মিনিট গাড়ী চালাবার সময়টা ব্যয় করি প্রথমে কিছুটা খবরের হেড লাইন শুনে আর তারপর শহরের ট্রাফিকের অবস্থা জেনে। এরপর গাড়ীতে ফিট করা মোবাইল রেডিও অন করি। ঐ সময়ে ২ মিটার ব্যান্ডে একটা নে ...