গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়িয়ে আছি বেশ কিছুক্ষণ। ও এখনো আসছে না। ফোনে যোগাযোগ করেছি, ও আসছে। আরো কিছুক্ষণ পেরিয়ে যাবার পর হঠাৎ মনে হলো, আচ্ছা, ও আমাকে দূর থেকে দেখে আবার পালিয়ে গেলো না তো। একবার হয়েছিলো এরকম। আমার কাজের সাথে রিলেটেড একজন ফোনে যোগাযোগ করলো। কথা হলো। সেই যোগাযোগ মোটামুটি নিয়মিত হয়ে দাঁড়ালো। ঘটনাক্রমে যখন তার সাথে দেখা হয়ে গেল, সে বেচারা আমাকে দেখে এতো শকড হলো যে পাক্কা নয় ম ...
টাইগারেরা এবার থেকে
সব হতাশার ছিঁড়বে জাল
এ জয় যে ভাই গরুর দেশের
দুধের মতই নির্ভেজাল!
"বাংলা ওয়াশ" কইরা কেমন
ছিনায়া নিলাম ভিক্টোরি!
চশমাখানা খুইল্যা সেটা
দেখলো ভ্রাত: ভেট্টোরি!
উইড়া গেলো ইয়র্কারে
মিলস সাহেবের দু' বেল রে
দু:স্বপ্নে দেখবে কারে?
সাকিব, নাকি রুবেলরে ?!
* বর্তমান বা অতীত, বাস্তব বা কল্পনা কোনো কিছুর সঙ্গেই এ গল্পের কোনো দুশ্চরিত্রের বা দুর্ঘটনাবলীর মিল নাই। *
সিন্ধু নদের তীরে সন্ধ্যা নেমেছে। শীতকাল আসছে, একটু ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগে আজকাল। চাদরটা গায়ে জড়িয়ে নিলেন আলেকজান্ডার। মনটন খারাপ কদিন থেকে। প্রিয় সাথী হেফাস্টিওন কদিন থেকে রোজ রাত্রেই ‘মাথা ধরে আছে’ বলছে। যুদ্ধবিগ্রহের সময়েও যদি রাত্রে একটু কামকাজ না হয় তবে চলে কি করে? ...
অদৃশ্য একটা এলার্ম,
তোমার আমার মধ্যে বাজে,
সময়টাকে আকড়ে ধরি,
নিরর্থ সব প্রশ্ন মাঝে|
আর মাত্র পাঁচটা মিনিট?
একটুখানি বসতে পারো..
জানি,সময় নেইতো বাকি,
ঘড়িতে দেখছি বাজছে বারো|
আজ বিকেলে উড়াল দেবে,
যেখানে সময় উল্টো চলে
বৃষ্টি নয়,যেখানে বরফেরা,
অন্য ভাষায় কথা বলে..
জানি,বেশিনা,দুইটা বছর
দেখতে দেখতে কেটেই যাবে,
তারহীন সব যোগাযোগে,
আমাকেও রোজ দেখতে পাবে|
টিস্যু পেপার ?না লাগবেন ...
জহিরুল ইসলাম নাদিম
বলতে গেলে একটা পাখির ডাকে ঘুম ভেঙেছে আজ।
যদিও প্রাত্যহিক অন্য সব শব্দ যথারীতি কর্ণকুহরে ঢুকে
অন্তঃকর্ণের বারোটা বাজানোর তালে ছিল
তবু কেন যেন কোথা থেকে পাখিটার ডাকেই
ঘুমটা প্রথম ভাঙল।
চোখ খুলে অবশ্য পাখিটাকে দেখলাম না।
জানালার ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে থাকা
পর্দার জন্যই দেখলাম না তা নয়।
কারণ পর্দা সরালেও চোখের চৌহদ্দিতে আলসারের মতো বেড়ে ওঠা
কুৎসিত ...
একটি কান্না সলাজে হাসতে দেখে তুমি ছোটাছুটি করো চিলেকোটায়, উঠোনে। দেখো আমি কেবল হাওয়ারূপে পাখিদের কন্ঠ শোনে চারপাশ ঘুরি; ঘুরে-ঘুরে স্মৃতিস্পর্শ অবলোকন করি, সগৌরবে খুঁজি দেহসুরসহ গোপনমোহ। মুখভর্তি নীরবতা মেখে একটি কবিতা লিখবো বলে কতশত ইশারা খুঁজছি চোখের গহব্বরে
কি করে যে দিনের রূপ ফেটে ওঠে রোদের ভেতর! সন্নিকটে চতুর আকাশ চমকাতে চমকাতে ছায়াভরে দাঁড়ালে ঝরো-ঝরো রোদ্দুর রহস্যভেদ ...
[মিঁয়াও সিরিজের গল্পগুলো পর্ব পর্ব করে লেখা হলেও একটার সাথে আরেকটার তেমন যোগ নেই, এ কথা মনে হয় জানিয়ে রাখা দরকার!
নতুন নতুন নাম দেয়ার ঝক্কি থেকে বাঁচার একটা বড় উপায় এমন সিরিজ করে ফেলা- এটা মোটামোটি পরীক্ষিত সত্য।
তবে মিঁয়াও-কে ভালো করে চিনে নিতে চাইলে এখানে দেখা যেতে পারে, আগ্রহী পাঠকেরা বাকি গল্পগুলোর লেজ ওখানেই খুঁজে পাবেন।
মা
গ্রেস পালে
একদিন এএম রেডিও শুনছি। সেখানে একটা গান শুনতে পাই: ‘ও, আই লং টু সি মাই মাদার ইন দা ডোরওয়ে।’ গানটা ভালোমতো বুঝতে পারি। মাকে আমিও দরজার কাছে দেখতে চাই। সত্যি বলতে – মা আমাকে নানা দরজায় বিভিন্ন দিক থেকে দেখেছে। একদিন গভীর রাতে সদর দরজায়। মার পেছনের প্যাসেজে অন্ধকার। বছর শুরুর দিন। মা মন খারাপ করে বলে, সতের বছর বয়সে তুই রাত চারটায় বাসায় ফিরিস, বিশ বছর বয়সে তুই কী করবি? মা ...
কার্টুনিস্ট আরিফের কথা মনে হলে নিজেদের অক্ষমতাটা প্রকটভাবে চোখের সামনে ভেসে ওঠে, যে অবিচারটা ওর সাথে হলো এবং এখনো হচ্ছে এর প্রতিকার করার সাধ্য যে আমাদের নেই সেটা প্রতিদিনই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আরিফের নামটা কোথাও দেখলেই নিজের ভিতর একটা ক্ষোভ অনুভব করি এবং নিজের অক্ষমতার জন্য অপরাধবোধ হয়। আরিফকে আমি চিনি না সত্যি, কিন্তু ওকে ভোলাটা প্রায় অসম্ভব।
'আরিফের মা অসুস্থ' , এমন খবর দেখে আবা ...