শুরুতে স্নুজ বাটন চেপে চেপে ঘুম চালিয়ে যেতাম, এখন আর ওই কষ্ট করিনা। অ্যালার্ম বেজে ওঠা মাত্র বন্ধ করে দেই, তারপর যেসময়ের পর ঘুমালে ক্লাস বা মীটিং মিস হয়ে যাবে সেইসময়ে জেগে উঠে ব্রাঞ্ছ সেরে পিঠের ঝোলায় ল্যাপটপ আর বই পুরে হাটা দেই বাস-স্টপের দিকে। এভাবে দিন শুরু হয় সকাল দশটায় কি দুপুর একটায়।
ছোট শহর, হেটেই পুরোটা পাড়ি দেয়া যায়। ফ্রী বাস, আর রাস্তা যতই সুবেশা () বালিকাতে পরিপূর্ণ থাক ...
[ছবিগুলো অনুজপ্রতিম শেখ আলমামুনের অনুমতিপুর্বক তাঁর Illusion of Shadows অ্যালবাম থেকে নেয়া হয়েছে। মূলত ছবিগুলির অসামান্যতাই আমাকে নিচে জুড়ে দেয়া পদ্যটি লিখতে অনুপ্রাণিত করেছে! কৃতজ্ঞতার নিদর্শনস্বরূপ লেখাটি শেখ আলমামুনকে উৎসর্গ করলাম।]
উদাস দুপুর বাজায় নুপুর
কাঁপায় বনের ছায়া
কোনটা মাতায় মনটাকে তোর
ছায়া না তার কায়া?
শাপলা বাজার মোড় পাড় হতেই ভাগ হয়ে যায় রাস্তাটি। পাল্টে যায় চারপাশের দৃশ্য । রাস্তার ওপাশে দূরে বড় বড় পাহাড়। দৃষ্টির দুই পরতেই শুধু পাহাড় আর পাহাড়। একটির পেছনে আরেকটি। যেন একটি আরেকটির ছায়া। সবগুলো পাহাড় আকাশমুখি। কোন কোনটিকে ঘন মেঘ এসে ঢেকে দিচ্ছে। সেখানে মেঘের সাথে পাহাড়ের যেন মিতালী চলছে। কোন কোন পাহাড়ে নেমেছে ঝুম বৃষ্টি। আবার মেঘের ফাঁক বুঝে একরাশ রোদের আলো ...
এই একই শিরোনামে একটি লেখা এসেছে সমকালে ৯ই অক্টোবর ২০১০ সংখ্যায়। মূলতঃ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য কোর্স নেবার সিদ্ধান্তের প্রতি বিষোদগার করে জনৈক গালিব লেখাটি লিখেছেন।
লেখাটির মধ্যে ধনীদের প্রতি বিষোদগার আছে। যেন সৎউপর্জনে ধনী হওয়া অর্জন নয় বরং একটি অপরাধ। উপরন্তু গাঁটের পয়সা খরচ করে পড়াশোনা করতে চাওয়াও মনে হয় বিরাট অপরা ...
তুমি চলে যাবার পর,
আমাদের এক অদ্ভুত অচিন অবসাদ গ্রাস করে।
যে দুটো বক উড়ে গ্যালো, সায়াহ্নে,
কিংবা তাড়িত দুপুরে তারস্বরে যে কাক চেঁচাচ্ছিলো,
আমাদের মতো তাদেরো তোমার বিদায়ের সাথে
কোন সম্পর্ক আছে কিনা, সে প্রশ্নে আমাদের
দার্শনিক বন্ধুর কপালকুঞ্চন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে।
আর আমাদের মধ্যে যে কবি,
স্বপ্ন নিয়ে যার জীবনযাপন,
তার স্থির বিশ্বাস হয় যে - তুমি ফিরে আসবেই;
সে বলছিলো, কব ...
ল্যান্ড ফোনের রিং বেশ চমকে দিলো । এই নাম্বার টা কারো জানা নেই, কেবল বিশেষ কারো জন্যেই নেয়া হয়েছিলো । তার কোন দিন ফোন আসেনি আর কোন দিন আসবে না এই বিশ্বাস টা দৃড় হয়ে দিন যত যাচ্ছে সামনের দিকে বেশ টালমাটাল আর বেশামাল দিকেই যাচ্ছে আবরার এর । মাঝে মাঝে টুক টাক রং নাম্বার বেজেছে, আজও তাই । কিন্তু এই সকালে রং নাম্বার এর যন্ত্রনা টাও বেশ ভারী লাগছে । দোষ অন্য কারো নয় আবরার নিজেই বুঝে ইদানিং ত ...
আরিফকে কখনো দেখি নি। দেখার কি দরকার আছে?
২৩ বছরের এই তরুণ কার্টুন এঁকে জেল খেটেছে বছর খানেক। মামলাগুলো দিব্যি আছে মাথার উপরে। মাঝে মাঝে দেশের আনাচে কানাচে তাঁকে ছুটে যেতে হয়। কোর্টে দাঁড়িয়ে হাজিরা দিতে হয়। শুনতে হয় বিরোধী পক্ষের উকিলের সব নির্মম অভিযোগ। আর জীবন বিপন্ন করা হুমকী। এসব শুনে গা হিম হয়ে আসে।
সিরাজগঞ্জের ছেলে। যখন মা ...
দৈনিক প্রথম আলোর উপসম্পাদক কলামিস্ট আনিসুল হক বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয়ের সংবাদ এবং তদপরবর্তী ঘটনাবলি আমরা পত্রিকায় তার বয়ানে জেনেছি। স্বভাবতই মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয় নিয়ে সংশয় সময়ের সাথে চক্রবৃদ্ধিহারে বহুগুণিত হওয়ায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানার কৌতূহল আমার জেগে উঠেছে। উদ্যোগ নিয়ে আমি তার মোবাইল নাম্বারটি সংগ্রহ করে তাকে ফো ...[justify]
হিমুর নেভারেস্ট সিরিজের পর আরও দশজনের মত আমিও বেশ উৎসুক হয়ে পড়ি মুসা ইব্রাহিমের এভারেস্ট বিজয় নিয়ে। আমারও সন্দেহ হয় আরও দশজনের মত। আরও দশজনের মত আমিও উৎসুক হই প্রকৃত ঘটনার জন্য। জানার অনেক আগ্রহ থাকলেও আমি কোথা থেকে শুরু করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। হিমুর লেখায় জনৈক অস্ট্রেলিয়ান ব্রেনডন ও'ম্যাহনির ক্থার উল্লেখ থাকায় সেখান থেকেই শুরু করলাম আমার অনুসন্ধান।
সম্প্রতি আমি ব্রেনড ...