[The Atheist Bible (Joan Konner edited) এর অনুবাদ এর কাজ শুরু করেছিলাম আরো আগে। কিছু কিছু অংশ বিচ্ছিন্ন ভাবে বিভিন্ন ব্লগে দেয়া হয়েছিল। কাজটি শেষ করার প্রত্যাশা নিয়ে শুরু করছি। অনুবাদের ক্ষেত্রে বিজ্ঞ পাঠকদের মতামত পেলে উপকৃত হবো। দার্শনিকদের নামগুলো উচ্চারণগত বিভিন্নতার কারণে ইংরেজীতেই রাখছি]
পূর্ববর্তী পাঁচটি চ্যাপ্টার আমার ব্লগস্পট থেকে পড়তে পারেন। এখা ...
কাল থেকে দুদিন ধরে বৃষ্টি বৃষ্টি আর বৃষ্টি। চারদিক কান্না কান্না ঝাপসা। গাছপালা সব নেয়েধুয়ে সবুজের একশেষ। সকালে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হতে গিয়ে দেখি বারান্দার গাছপাতার গায়ে ফোঁটায় ফোঁটায় জমাট কান্না। ছুটে এসে ক্যামেরা নিয়ে শাটার চাপলাম কিছুক্ষণ। অফিসের চারদেয়ালের মধ্যে বসে বৃষ্টি দেখার সুযোগ আর হয় নি সারাদিন। ফেরার পথে জ্যামের মধ্যে বসে কিছুক্ষণ, তারপর আজ সকালে আরেকদফা চেষ ...
পরশু রাতে আমাদের শহরটায় অনেকদিনের পরে ঠান্ডা বাতাস বইছিল, দমবন্ধ করা গরমে অভ্যস্থ শহরের রাতে, ভেজা ভেজা একটা ভালো লাগা ছিল। অনেক দিন পরে ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে এড়াতে থাকা আমার বাইরে খানিক্ষণ হাঁটাহাঁটি করবার ছিল, মাথা হালকা করবার, কিছু মনে করার, কিছু হিসেব মেলাবার, কিছু ভাববার ছিল। শিউলি গাছটার নিচে দিয়ে হাঁটবার সময় গন্ধটা এলোমেলো করে দিলো, চিন্তাগুলো শরৎ হাওয়া হল। মাটিতে পড়ে ...
সিটি গেট থেকে বাসটা ছাড়ার পরপরই টাকমাথা গোলগাল চেহারাটা ঘুরলো আমার দিকে।
চেহারা দেখে চমকে উঠি। এই তো সেই মুখ। একেই তো খুঁজছি এতদিন। লোকটা চেনে না আমাকে। তবু তাকিয়ে থাকে কয়েক সেকেন্ড, চোখে চোখ নয় কপালের ইঞ্চিখানেক উপরের চকচকে জায়গাটার দিকে। স্বগোত্রীয় বলে কথা।
তার লক্ষ্য আমার চকচকে টাক হলেও আমার লক্ষ্য তার গোলাকার খোমা। মাথার উপর আমার এই সমৃদ্ধ চকচকে বিরান ভূমির জন্য জন্য দ ...
না এই দর্শন মানে ফিলসফি না। দেখা। দুদিন আগের ঘটনা। ল্যাব থেকে বেরুতে একটু দেরী হয়ে গেছে। ৯৬ নাম্বার বাসে করে এসেছি ক্লেমেন্তি স্টেশনে। উপরে উঠলেই এম আর টির (নগর-রেল) প্লাটফর্ম। তবে সম্ভাবনা আছে লাস্ট ট্রেন মিস করার। তাই হেঁটে পাশেই বাস টার্মিনালে চলে গেলাম। ৯৯ নাম্বার বাসটা আমার বাসার ওদিক দিয়ে যায়। চলেও অনেক রাত অবধি। দেখি পাই কিনা। সামুয়েল বাটলারের প্রায়আত্মজীবনীমুলক উপন্য ...
সড়ক চলে যায় সড়কের গন্তব্যে
আমার বাস থামে অজানা স্টেশনে।
নির্জন রাত, সুনসান নীরবতা
পাশ থেকে কে যেন বলে- হ্যালো
ছড়ি হাতে বৃদ্ধ পথিক ফিরছে ঘরে
জীবনের প্রশ্নবোধক জড়িয়ে গায়ে।
কী যেন আহ্বান ছিলো আমাকে ঘিরে
ফিরে চাই আমি নিষ্পলক চোখে
কিছু কি বলবে সে?
কিছুই বলে না নিশীথ রাতের সাথী
অবশিষ্ট জীবনের আশীর্বাদ জড়িয়ে চোখেমুখে
হেঁটে যায় সম্মুখে
আর শুধু বলে যায়- হ্যালো।
০৩.১০.২০১০
বহু বছর হলো মহালয়া ভোর দেখা হয় না। না, ভুল বললাম, দিনটা আসে ঠিকই। সেই দিনের ভোরও দেখা হয়, কিন্তু সেই শিউলি-উঠান, রাশি রাশি ফুল ঝরতো যেখানে, সেই শীত শীত আলো-আঁধারিতে ভোর চারটেয় বেজে ওঠা আশ্চর্য আকাশবাণীর কল, সেই গান, "বাজলো তোমার আলোর বেণু", আর সেই সব সুর আর কথার ঝর্ণার মধ্য দিয়ে আলো হয়ে ওঠা সেই শরতের স্বর্ণঝরা ভোর, সেই আশ্চর্য কন্ঠটি বলে যে কিনা বলে উঠতো "আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আ ...
লং শাটার বা লং এক্সপোজার নিয়ে আমার আগ্রহটা আসে অনেক আগে জিয়া ভাইয়ের তোলা কিছু ছবি দেখে ফ্লিকারে। তখন মাথাই নষ্ট হয়ে গেসিলো। ছবিগুলা এমন কেন? কেম্নে করে এইসব?
আস্তে আস্তে বুঝলাম লং শাটারের কাহিনী। ছবিকে একদম অন্যরকম বানায় দেয়। কখনো স্যুরেল আর্টের মত লাগে, কখনো পেইন্টিং এর মত লাগে, কখনো প্রকৃতির হিডেন কালারগুলা বের করে। মাথায় ঢুকে গেলো, যেম্নেই হোক এই জিনিশ ট্রাই করতে হবে।
ট্রা ...
০১।
প্রখ্যাত গোয়েন্দা আহমেদ শরীফ রাতের খাবার খেতে এসেছিলেন তাঁর বন্ধু বদরুদোজ্জা সাহেবের সাথে, রাজেন্দ্রপুর শহরের অভিজাত রেস্তোঁরা, 'ক্যাফে পাতিসেরি'-তে। সুস্বাদু বিদেশী খাবারের জন্যে এই ক্যাফের সুনাম আছে উচ্চবিত্তদের মাঝে।
বদরুদোজ্জা সাহেব ক্যাফে পাতিসেরির বেশ ভক্ত। তিনি এখানকার শীতল, ধীর পরিবেশটা বড় পছন্দ করেন। আরো পছন্দ করেন এখানকার পশ্চিমা খাবারগুলো। সেই মুহুর্তে ...
কম্পুতে লেখালেখির একটু বড়ো সুবিধা হচ্ছে, হাতে লেখা বা পুরনো টাইপ রাইটারের মতো এখানে খসড়া বাতিল করতে কাগজ নষ্ট হয় না। সিলেক্ট করে ডিলিট মারুন। ফুটুস। গত কয়েক মাসে বা বছরে আমার ব্লগীয় জীবনে এরকম ফুটুসরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। যা কিছু প্রকাশিত হয়েছে তার সবটাই এইসব ফুটুসের ফাটাফুটো গলে। সেগুলির অবস্থা ফুটুসরাজির থেকে ভালো ছিলো এরকম বলার তেমন কোন সুযোগ নাই। অনেকটাই নির্ভর করেছে ...