একটা সাইকেল আমার শৈশবের অনেক বড় আনন্দের উপাদান হয়ে ছিলো। সাইকেলে চড়তে শেখা, প্রথমে সাইকেল হাতে নিয়ে ছোটা, তারপর বাঁকা হয়ে মাঝখানের ফাঁকা দিয়ে পা ঢুকিয়ে অনেক কসরত করে চালানো কারন সিটে বসে প্যাডালের নাগাল পেতামনা! তারপর এক দিন রডের উপর বসে “ব্যথা” উপেক্ষা করে তুফান বেগে সাইকেল চালানো। ঝুঁকিপূর্ণ, জান হাতে নিয়ে চালানো যাকে বলে!
তারপর কোন একদিন আবিষ্কার করলাম সাইকেল চালানো আসলে হচ ...
আমার মনের মধ্যে আঁকাএই হ্যারিটাকেই খুঁজতে গিয়েছিলাম লাইন ধরে, পেলাম না। তারপরও প্রতিবারই যাই......আসলে বইয়ে পড়া সেই অসাধারণ আনন্দটা প্রথম দুই পর্বের পর কখনই পাইনি। তার উপর আমি আবার ভয়ানক ভক্ত ক্রিস কলাম্বাসের।
আমার সবচেয়ে বড় অভিযোগ হ্যারির সঙ্গে ডাম্বলডরের যে অসাধারণ সম্পর্কটা সেটা এবারো ফুটলো না, প্রথম দুই পর্বে যেটা ছিলো আর যেটা পেলামনা সেটা হ্যারির সেই অসীম প্রশ্নে ভরা চোখ ...
(এই লেখাটির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ স্যাম হ্যারিসের ধর্ম এবং মাদক[১] লেখাটি থেকে অনুদিত বা অনুপ্রাণিত।)
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও আনন্দ লাভের কতিপয় উপায় নিষিদ্ধ। আপনি যদি এইসব নিষিদ্ধ উপায়ে, নিজের ঘরে বসে, কারও ক্ষতি সাধন না করে আনন্দ লাভ করতে চান তাহলে খুব সম্ভবতঃ একদল ঠোলা বন্দুক হাতে আপনার দরজায় লাথি মেরে বলতে পারে, এই ব্যাটা দরজা খোল। সবচ ...
একা ঘরে, একাকী বেজে ওঠে কিছু নীরবতা, কিছুটা দীর্ঘশ্বাস। এই সুযোগে কথা আর বিষণ্নতা নিরাপদ ভেবে সুঁইয়ের ছিদ্রপথে তুলে রাখছে ডরালোক হাওয়া; ফলে স্মৃতিচোখ খুলে রাখছে পোষাপ্রস্তুতি অতীতজ্বলা... রূপগল্পের ভেতর এমন বধির হবার কথা ছিল কি-না জানতে আশারা দিচ্ছে পাহারা
স্বপ্নপাহাড়ে মিশে যাবার আগে পেঁচিয়ে ধরো নির্দিষ্ট রেখা, ওসব আঁধার খুলে নামাও, যতদূর চোখ যায় ততদূরে নামতে দাও দিকনির্দেশন ...
ঝকঝকে মলাটবাঁধা খাতা টমেটোরঙ কৈশোরের,
আর একটা যুৎসই কলম -
সেই কবে যে খোঁজা শুরু আমার।
ইকোনোঃ হলুদ - কালো, কালো - নীল ডোরাকাটা।
'সেলো' তে অক্ষরগুলো ষোড়শী কি তরুণী।
আর জেল-পেন এ বেনীআসহকলা -
ঝিকিমিকি - চকচকে, শব্দের শার্ট পরা।
একটা যুৎসই কলম খোঁজা দোকানে - দোকানে,
সকাল, দুপুর, গোধূলী, বিকেল, ভর সন্ধ্যায়।
মলাটবাঁধা খাতা সেই কবে থেকে একা।
ওখানে ভালো ভালো কথা লেখা হবে।
আপাতত লেখা ঝরে, ঝরে ...
দেশে ফেরার ঠিক আগের সপ্তাহটা ভালোই কাটলো নাইরোবিতে। একটা আন্তর্জাতিক সংস্থার কনফারেন্স ছিলো নাইরোবিতে। ওখানে এসেছিলেন দুজন বাংলাদেশি, যাদের একজন আবার আমার সাবেক সহকর্মী এবং বন্ধু। রোজ সন্ধার পর আমি আর বন্ধু বেরিয়ে পড়তাম। তিনি নাইরোবিতে এর আগে অনেকবার আসলেও শহরটা আমার মতো চেনেনা। তাই আমিই হতাম গাইড। ইনডিয়ান রেষ্টুরেন্ট, কাবাবের দোকান, শপিং মলগুলো, এইসব ঘুরে ঘুরে বেড়াতাম সন ...দেশে ফেরার ঠিক আগের সপ
আমরা যে ধ্বনি উচ্চারণ করতে পারি না তা শুনতেও পাই না। যদি বা শুনি, ভুল শুনি। বাংলাদেশের বেশ কিছু আঞ্চলিক ভাষাতে ড় ধ্বনি নেই কিংবা প্রায় নেই। অনেকেই তাই এই ধ্বনি দুটিকে ভিন্নভাবে উচ্চারণ করেন না। এঁদের উচ্চারণে পড়া/পরা, কড়া/করা একই রকম শোনায় (জোড়ার দ্বিতীয় শব্দটির মতো)। এদিকে আড়জেরাই বা কম কিসে? তাঁদের উচ্চারণেও পড়া/পরা, কড়া/করা একই রকম শোনায়। তফাৎ শুধু এই যে, এঁরা উচ্চারণ করেন ...
দুপুরের খাওয়ার পর থেকে তুলিকে কেউ বাড়িতে খুঁজে পায় না।
আগে দুপুর বেলা খাওয়ার পর ঘুমানোর নিয়ম ছিল। শক্ত নিয়ম।
এখন সময় অন্যরকম। এখন হয়তো অনিয়ম করাই নিয়ম।
তুলিকে পেতে হলে ছাদে যেতে হবে। যদি কেউ পেতে চায় অবশ্য। চায় কি?
তুলির মনে হয় চায়। আর তাই ও ছাদে থাকে।
পাখিরা ঘরে গিয়ে তুলিকে ডেকে আনবে, এটা তুলি ঠিক আশা করে না।
পাখিরা বেশি শব্দ পছন্দ করে না।
তাই যখন ওরা ছ ...
দিবাকরের সিনেমাটা দেখছিলাম। অর্ধেক দেখার পরেই কারেন্ট চলে যায়। ইউপিএস দেরি না করে তখনি শব্দ করা ধরে। কম্প্যুটার সাট ডাউন ক্লিক করে বারান্দায় একটা সিগারেট ধরাই। এখন প্রায় বিকেল। বাইরে একটা আকাশ দেখা যাচ্ছে। পাশের বাড়ির বারান্দায় শুকানোর জন্য কাপড় ঝুলে আছে। এছাড়া দেখতে পাই টবের গাছ, আরো নানা কিছু। আর একটু একটু দেখতে পাই কিছুটা দূরে একটা বাড়ির তিনতলার অপ্রয়োজনীয় গ্রিল আর বিকে ...
আমার এক বন্ধু একদিন রাতের বেলা নিজের বাসার বারান্দায় বসে আছেন, এমন সময় হঠাৎ নারীকণ্ঠের আর্তচিৎকার শুনতে পেলেন। চিৎকারের উৎস খোঁজ করতে দেখা গেল সেটা তার দুই তলা উপরের ফ্ল্যাট - যার মালিক একজন অবসরপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা। আরো খোঁজ নিয়ে জানা গেল চিৎকারের কারণ ঐ সাবেক উচ্চপদস্থ তার স্ত্রীকে পিটাচ্ছিল বলে, এবং এই কাজটি সে নিয়মিতই করে থাকে। এই ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন বা একমাত্ ...