কোন কথা নেই!
কেন সব শুনশান?
কারা ফিসফিস করে
চারপাশে?
কী এমন ভয়ঙ্কর?
কী এমন সর্বনাশ?
কী এমন ক্ষতি হলো দুনিয়ার?
কী এমন হারালো এই বাংলার?
প্রলয়ঙ্কর বাতাস
চিঠি নিয়ে এলো
কালো পায়রার পায়ে
চিঠি এলো
আরো চিঠি এলো
হাজারে হাজার
দক্ষিণের জানালায়
গরাদে গরাদে
সারাঘরে, দরজায়, কড়িকাঠে
খবর এসেছে সেই পাখিটার
যে পাখিটা ঝাঁপ দিয়েছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাখা নিয়ে পিঠে
জন্মের পরেই মায়ের সবুজ বা ...
পাগলটা একদিন গেয়েছিলো- পাগল কষ্ট পেয়ে চলে যাবে, ফিরেও আসবে না... পাগলটা সত্যি সত্যি একদিন চলে গেলো। ফিরে এলো না আর। তিনটা বছর চলে গেলো!
ঈদ পরবর্তী মাংসবহুল আড্ডা আর আনন্দময় জীবনে তবু তিন বছর আগের সেই হু হু কান্নাটা এখনো চোখ ভিজিয়ে দেয়।
চোখটা এতো পোড়ায় কেন ও পোড়া চোখ সমুদ্রে যাও, সমুদ্র কি তোমার ছেলে আদর দিয়ে চোখে মাখাও?
তিন বছরের মাথাতেই আমরা ভুলতে বসেছি, হয়তো আর কয়েক বছর পরে আমার ...
আগামী ১৫ জানুয়ারি উন্মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার ১০ বছর পূর্তি হবে। শুরুর দিককার অনেক সংশয় ও সন্দেহ কাটিয়ে উইকিপিডিয়া এখন মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, যদিও পাড়ি দিতে হবে আরো অনেকটা পথ। রেফারেন্স হিসেবে উইকিপিডিয়া এখন অন্যতম আস্থার জায়গা। অন্য অনেক ভাষার মতো বাংলা উইকিপিডিয়াও আস্তে আস্তে বেড়ে উঠছে, যদিও এই বেড়ে ওঠার মাত্রাটুকু অনেকটাই ...
[justify]
"ভিজে হয়ে আসে মেঘে এ-দুপুর-- চিল একা নদীটির পাশে
জারুল গাছের ডালে ব'সে ব'সে চেয়ে থাকে ওপারের দিকে.."
মিরুজিন নদীটির ধার ঘেঁষে ঐ যে মস্ত জঙ্গল, তাতে ক্লান্ত সমুদ্র সফেন সম অশ্বত্থ গাছ, আরো নানা রকমের গাছ সারি সারি। নিবিড় বট, দেবদারু আর আমলকী গাছ তারা। ধূসর পাতার ফাঁকফোঁকরে ম্যালা পাখির বাসা...
আযাযিল সাহেব একজন বড় লেখক। প্রকাশকরা উনার বই ছাপানোর জন্য বাসার সামনে লাইন দিয়ে বসে থাকেন। কে কার আগে দাঁড়াবেন এ নিয়ে প্রায়শই তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। দু-একবার চড়-থাপ্পড়ের আওয়াজও শোনা গেছে ভেতর থেকে। আর দশজন জনপ্রিয় লেখকের মত আযাযিল সাহেবও এগুলো এনজয় করেন। দুই যুগ ধরে তার বই বেস্টসেলার হয়ে আসছে। অবশ্য ইদানীংকালের পাঠকদের অভিযোগ, উনার গল্পগুলো নাকি আর আগের মত জমছে না। একই গ ...
তুমি কি প্রথমা
সিঁড়ি দিয়ে নামা
মায়াবী উপমা
অভাগা জীবন মাঝে?
জলের আঁচড়ে
বুক ছিঁড়ে ফুঁড়ে
নীল ব্যথা জুড়ে
কতটা কাঁদাবে সাঁঝে!
ইনিয়ে বিনিয়ে
খেলেছ কি নিয়ে
জোনাকী চিনিয়ে
কতটা সুখের ছোঁয়া?
সবি গেল বুঝি
নেবে নাকি খুঁজি
আঁধারের ঘুঁজি
বিরহ অনলে ধোয়া।
সন্ধ্যা তারাতে
চাইনা হারাতে
দুবাহু বাড়াতে
আছি আমি আজো রাজী
ওগো প্রিয়তমা
কোরো মোরে ক্ষমা
নেই কিছু জমা
হেরে গেছি সব বাজী।
এতো চাওয়া ছিল না তবুও জল শামুকের ঠোঁটে লুকাও মেঘ, নিজেও লুকাও স্বেচ্ছায়! ফলে, ইচ্ছাছলে জোড়হাত খেলে— ধৈর্য্যেকে করোনি বারণ। লজ্জাবতী, লুকাও দেহ, লুকাও বুকের কাঁপন। আমি গল্পের ভেতর হাঁটি, ভুলে যাই আশা ছাড়া আর কিছু মনে থাকে না বলে যা ছিল নিয়ে গেছো আগেই এখন মনে না-রেখেও চোখের উপর সাজাও নীরবতা, সাজাও দৃঢ়রাত্রিবাদ
কিছু ঘটবে না জেনে উথালদেহে একাই জড়িয়েছি শূন্যধূসর। সন্নিকটে ছায়ানুভব ব ...
আঘাত, বিষাক্ত পদার্থ বা জীবানু যেভাবে মানুষের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব বিস্তার করে তেমনি দৃশ্যও মানুষের সুস্থতা এবং মননশীলতার উপরে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে। বিষাক্ত পদার্থ, জীবানু বা আঘাত দ্বারা আক্রান্ত হলে মানুষ যেরকম অসুস্থ হতে পারে তেমনি দৃশ্য দ্বারাও একই ভাবে মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। অন্য দৃষ্টিকোন থেকে (গ্লাসের অর্ধেক ভর্তি) চিন্তা করলে বলা যায় দৃশ্য পরিবর্তনের মাধ্ ...
ডানহাতের পিঠের কালচে বাদামী দাগটার উপরে হাত রেখে তুই জিজ্ঞেস করলি, "এটা কীসের দাগ রে তুরাইন?"
আমি হাত টেনে নিতে গিয়ে টের পেলাম তোর মুঠি ঘিরে ধরেছে হাত, ছাড়াতে পারি না। কিন্তু কী বলবো তোকে?
আমরা আগুন নিয়ে যখন প্রথম খেলতে শিখলাম, সেই সময়ের পোড়া দাগ এটা? তোর তো কিছু মনে নেই চিরল। তুই সব ভুলে গেছিস। ভালোই তো, ভালোই হয়েছে।
সরল অঙ্ক আমার সবসময়েই ভীষণ জটিল লাগে, আর সিঁড়িভাঙ্গার নাম শুনলে তো একদম সিঁড়ির ওপর বসে পড়ি। কাজেই রথীনস্যার যখন ক্লাসে চার নম্বর চ্যাপ্টারের বারো নম্বর অঙ্ক নিয়ে ব্যস্ত, আমি তখন জানালার বাইরে আমগাছের ডালে শালিক পাখিদুটোর ঝগড়া শুনছি। বিকেলে পটলাদের সাথে ফুটবল ম্যাচ আছে। ওদের রাইট-ব্যাক হারুটা একটু খনি আছে। ওর দিকে বল গেলে একটা ইন্সাইড ডজ মারলেই সামনে শুধু গোলকিপার বোঁচা। শরীর ...