১. নেয়ামতপুর গ্রামের গল্প। এটি বাংলাদেশের আর পাঁচ দশটা গ্রামের মত নয়। ভারতীয় সীমানা ঘেঁষে এর অবস্থান। উন্নয়নের তেমন ছোঁয়া লাগে নি। মানুষগুলো খুবই সাধা-সিধা, সহজ-সরল। এক জনের হাড়িতে চাল না থাকলে, আরেক জন যতটুকু পারে সাহায্য করে। এক জনের দুঃখে আরেক জন এগিয়ে আসে। এক জনের আনন্দ সবাই মিলে উপভোগ করে। মানুষগুলো সবাই কমবেশি অভাবি, কিন্তু সুখি।
গ্রামে ভাঙাচো...
পাখি গ্রাম ভাটিনা
নাসরিন আপার বাড়িতে আজ দুপুরে দাওয়াত। জানেওয়ালা হিসেবে তার বেশ কদর রয়েছে। আছে নানা বিষয়ে পান্ডিত্যও।খাওয়া পর্ব শেষে তার সাথে চলে নানা গল্প , আলোচনা। এর মধ্যেই কিছুটা রহস্র রেখে ভাটিনা গ্রামে যাওয়ার প্রস্তাব করেন তিনি।কি আছে সেখানে। ম্লান হাসিতে জানান, ‘অন্য রকম ভালো লাগা’। আর কিছুই বললেন না তিনি।ভাটিনার রহস্য নিয়েই চলে এলাম পুলকদের বাড়ীতে। দিনাজপুরে হাতে ...
৩
নির্জন রিচার্জ-স্টেশনে একজন মাত্র লোক। গাড়ীতে এইচ ফুয়েল ভরে নিয়ে গিবান ফোন করতে ঢুকলো। স্লটে গুনে গুনে কোয়ার্টার ফেলে ওরিয়ানার নম্বরটা ডায়াল করতে গিয়ে একটু ইতস্তত করলো সে। ঘড়িতে রাত দেড়টা।
ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছে ওরিয়ানা যদি না গভীর রাতের কোনো মুভি দেখতে দেখতে আটকে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডিজিটগুলো টিপে কানে চেপে ধরলো যন্ত্রটা। ওপাশ থেকে ঘুমজ...
বুয়েটে পড়ার সময় আমরা Warcraft নামে একটা কম্পিউটার গেমের ভক্তরা গেমের ছবি দিয়ে টিশার্ট বানিয়েছিলাম। টিশার্টটি নিঃসন্দেহে ভালো হয়েছিল, কারণ অল্প কয়েকটা বানিয়ে মানুষজনকে দেওয়ার পর যারা গেম খেলা জিনিসটা নিয়ে আগ্রহী না, তারা পর্যন্ত টিশার্টটির জন্য অনুরোধ করেছে, দুয়েকজন গেমটা নিয়েও আগ্রহী হয়েছে। শেষ পর্যন্ত টিশার্ট কম পড়েছিল।
আমার পয়েন্ট হলো একটা গেমের স্রেফ একটা ছ...
রোকেয়া হলের গেট,সময় বিকাল পাঁচটা। হল গেট লোকে লোকারণ্য (বলা উচিত যুবকে যুবকারণ্য!)। প্রতিদিনের নাটকের মহড়া হচ্ছে-‘আপু একটা কল নেবেন’। দয়ালু মেয়েরা নাম আর রুম নাম্বার লেখা ছোট কাগজ নিচ্ছে, একটু এগিয়ে গিয়ে হাঁক দিচ্ছে-‘নিউ বিল্ডিং ৫,অমুক’। এমন সময় একটা কান্ড হলো। হলের ভিতর থেকে হেঁটে আসা একটা মেয়ে আচমকা দৌড় দিলো, অন্যদিকে হল গেটে দাঁড়িয়ে থাকা একটা ছেলেও ছুটে গেলো। এরা দুজন একজন আরে...
[justify]একটা টব। তাতে মাটি। সেখানে ছোট্ট একটা নয়ন তারা ফুলের গাছ। একটু রোদ লেগে ফুলে বেশ দম্ভ ভাব। আশেপাশে আরো কিছু ফুলগাছের টব। টানা বারান্দা। তাতে লোহার গ্রিল। তার বাইরে আকাশ। খানিক আগে বৃষ্টি হয়ে গেছে। রোদ উঠছে মেঘের শরীর সরিয়ে। নয়নতারা গাছে ছয়টা ফুলের কনিষ্ঠতম ঝরে গেল। অকারণে।
বারান্দার পাশে ঘর। বিছানা। তাতে শুয়ে আমি। সব দেখি। আমার কল্পনায়। ভেবে নেই। এটা। ওটা। নয়নতারার কনিষ...
১
১৯৭০ এর মাঝামাঝির দিকে অর্থনীতি এবং ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং সার্কেলগুলোতে একটা থিওরি দাঁড়াতে থাকে - 'এফিশিয়েন্ট মার্কেট হাইপোথিসিস' থিওরি। বর্তমানেও ফাইনান্স এবং ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং টেক্সটগুলোতে এটি পড়ানো হয়, এবং আমরাও পড়েছি, কিন্তু ফর্মুলেশন হওয়ার সময় থিওরিটির জোর খুবই বেশি ছিল। ১৯৯৮ সালে ওয়াল স্ট্রীটে 'লং টার্ম ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট' ক্রাইসিসটিকে অনেকে মনে করেন থি...
অক্ষরগুলো কালো পিপড়ে হয়ে ওঠে,
লাইনগুলো ক্রমে শুয়োপোঁকা ।
শেষনোটে পোঁকাদের চেয়ে
বেশী কিছু থাকতে নেই,
কেননা কিছু জিনিস অমিমাংসিত থেকে
গ্যালেই মৃত্যুঞ্জয়ী হয়।
এখন শুধু মাথার মধ্যে ডবকা
ছুরির মতো গেঁথে থাকা
প্রশ্নটার মিমাংসা মাত্র -
ফুটপাথে একটা নিশ্চিত
থ্যাতলানো খুলি পেতে হলে
ক’তলা থেকে লাফ দেয়া নিরাপদ?
ঠিক কতটা ত্বরনে পতন হলে
ভয়, গলা থেকে একটা তীহ্ম আর্তনাদ
ছিঁড়ে নেবার ...
কখনও ছিলাম এখানে ডাঙায়; কখনও বড়শিও মতো টোঁপগাথা জলের গভীরে
আমিও জলধোয়া মাটি ছুঁয়ে মিশে গেছি স্রোতের বাহুতে, যার অনামিকা থেকে-
খসে গেছে বিবাহের পলিমাটি। আমারও জিহ্বায় ছিলো চেখে দেখা চারের বিস্বাদ
আর প্রজনন ঋতুগামী মায়াবী ঠোঁটে জমাট বাধা রক্তের চিতকার। আমিও দেখেছি
মানুষের চোখ থেকে ঝরেপড়া লোভাতুর লাভা- হিরন্ময় নদীর বুকে মিশে গেছে-
আয়োডিন উতসবে। সাগরের তীর ধরে ছুরিকাটা বুকে ...
অ্যাম্বিঝড় এখনো বহমান। বিবিধ সফটওয়্যার সহযোগে, বিভিন্ন ভঙ্গিতে বাংলা বর্ণমালাকে দুমড়ে মুচড়ে অ্যাম্বিবাক্সে বন্দি করার চেষ্টায় মত্ত অনেকেই। ধূগোদা একটা পোস্ট দিয়েছেন অ্যাম্বিগ্রামারের উপর। আমিও গোমর ফাঁস করব বলেছিলাম তখনই। আমার গত পোস্টের অ্যাম্বিগ্রামগুলো দেখে যারা বিমোহিত তাঁদের মোহভঙ্গ করতে এবং যারা যান্ত্রিক আঁকাআঁকিতে জড়ত ...