১.
আমি যখন মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশ করি তখন আমার খালাতো ভাইয়ের সাথে একবার ঢাকা এসেছিলাম বেড়াতে। শিশু পার্ক, বোটানিক্যাল গার্ডেন, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা এসব দেখে গেলাম জাতীয় স্মৃতিসৌধ দেখতে। চিরকাল বিটিভির খবরের আগে বা বইয়ের পাতায় স্মৃতিসৌধ দেখে এসেছি দূর থেকে। গিয়ে দেখি, ওমা, যে কেউই তো এটার মধ্যে গিয়েই দাঁড়াতে পারে। অনেকে দেখলাম এর বিভিন্ন খাঁজে খাঁজে আড্ডার আসর জমিয়েছে। এ...
পরিস্থিতি তাড়া করে ফেরে মানুষকে।
লয়
সৃজন কিংবা রক্ষণ?
জীবন-আনন্দ কখনো বা নিক্ষিপ্ত ট্রামলাইনের
মৃত্যুহিম নীল খাদে।
কখনো বা আজকের সীজারের দুচোখে
চিরকালীন অজ্ঞতা ও বিস্ময়;
জগদ্দল পাথরের মতন- “ব্রুটাস, তুমিও?”
অমলের দুচোখের পাতায় কালো যবনিকা;
স্টিকিং প্লাস্টারের মতন।
পঙ্কিল ধূসরতায় আচ্ছন্ন হরিৎ।
ব্যতিক্রম কখন আসে
রসায়নের পদার্থশ্রেণীর মত।
দায়িত্ব নেয় সৃজন, লালনের।
মুক...
আমাদের ঘরের পাশেই 'মিষ্টি' আম গাছটা ছিল। পাশে না, পাশে না। ঘরের ভিতর। ঘরের ভিতরই তো! না হলে বারান্দাটা ঐ কোণে এসে বেঁকে গেল কেন? আমাদের বারান্দাটা গাছটাকে একদম দেখতে পারত না, আর আমাদের সবার প্রতি ভীষণ ক্ষোভ তার। গাছটার প্রতি আমাদের পক্ষপাতিত্বের কারণে বাড়ির ডিজাইনের মাঝে গাছটা এসে পড়লেও তা আর কাটা হয়নি, বরং ছেঁটে দেয়া হয়েছে হতভাগা বারান্দাকে। আর আমরা গাছটার প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট হব...
দুবাই বিমানবন্দরে বসে একা একা। একমাসের ঢাকা, বইমেলা, ভাইবোন, যানজট সবই হঠাৎ করে স্মৃতিসহ একটি পর্দার আড়ালে। এ সময়টি একা একা কাটানো বেশ কষ্টের। মরুভুমির মাঝে এই বিমানবন্দরের শীতল বিশালতার মাঝে সে কষ্ট আরো বেশী তীব্র হয়ে ধরা দেয়। সবচেয়ে ছোট বোনটি খুব আদরের। যতক্ষণ দেশে থাকি, প্রায় আকড়ে থাকে আমাকে। আমার এই বিষন্নতার একটি বিশাল অংশে ও জায়গা করে নিয়েছে।
এবারের বইমেলা যে ভাবে উপভোগ ...
যদি নাই থাকো, নাই থাকো আকাশে ঘুড়িটি আর জলদগম্ভীর মেঘ, উমার কথাই বলি বা কেমনে! শিহরন অহরহ, হলুদে ভেসে যায় ঝিঙাফুল মাচা, বিন্দু বিন্দু সাদা গুলি বড় হওয়ার প্রবল চেস্টায় রত, কবেই আর মেঘ হবে তারা, ফিকে রঙের স্যালাইনের বোতলটির কথাও মনে রেখ, ক্যালেন্ডারের পাতা ক্রমশ বিবর্ণ হলে, ক্রমশ নতুন নায়িকার সঙ্গে, পার হয়ে যায় গরু পার হয় গাড়ি।
পাতা ঝরার সময় পাতা, স্যালাইন ড্রপ, বৃষ্টিতে বৃষ্টি সব পড়ে ; ...
[justify]
পুষ্প বৃক্ষ এবং বিহঙ্গপুরাণ। বইটা প্রথম পড়ি ২০০১ সালে। কেবল নাম দেখেই কিনেছিলাম। বইয়ের প্রচ্ছদ অদ্ভুত ছিল। কাঁধে পাখি নিয়ে ছফার একটা ছবিও ছিল প্রচ্ছদে। বাসায় গিয়ে পড়তে শুরু করি। আমার সামনে একটা নতুন জগৎ খুলে যায়। উপন্যাস আত্নজীবনী সব মিলে ছফা একটা ভিন্ন জগৎ তৈরি করেছেন। এক একটা পাতা পড়া শেষ হয় আর আমি ভাবতে থাকি এই সহজ কাহিনী একজন মানুষের পক্ষে লেখা কিভাবে সম্ভব...
আটত্রিশ বছরের না পারার গ্লানি,
প্রজন্ম পরপর সবে মিলি টানি।
রাজাকার দেশদ্রোহী অপরাধী জানি,
আর মোরা টানবো না বিবেকের ঘানি।
চল সবে এইবার বুকে বল আনি,
দূর করি দেশ থেকে ক্ষতিকর প্রাণী।
গোআযম-মুজাহিদ-নিজামীর চাম,
এ বেলায় না ছিলিলে হবে বিধিবাম।
কত যুগ ঝরিয়াছে কপালের ঘাম,
মুছে দিতে দেশ থেকে দালালের নাম।
বহে বায়ু বিপরীতে - প্রেতমুখে রাম;
'সোনার বাংলা' বলে দেয় তারা পাম্।
হানাদার বধ করা ব...
গন্তব্য জেনে নিয়ে সোজা পথে হেঁটে যাওয়া ভালো
পেছনে ঝিমানো রাত, সিদ্ধির শরবতের মত
দুঃখ দুঃখ, সুখ সুখ, স্বপ্ন স্বপ্ন আলোর কপাল।
কেবলই শীতের রাত্রি
চাদরের উষ্ণ মৃদু আলিঙ্গণে ভেজা।
এরই মাঝে বাথটব সমুদ্র সঙ্গমে তীব্র ডাকো
তোমাতে সর্বাঙ্গ ডুবে আবাহণ হ্রদে চলে যাই...
বেতবন-করবী –বট আর আশ্বত্থের প্রেম
নদীর অতলদেশে বুকজুড়ে সুকোমল হাত
নাভীর তটিনী ঘেরা সামাজিক প্রবেশ-নিষেধে চলে যাই।
এ...
খুব বেশি দিন হয় নাই আমার বিদেশ আসার।ভাগ্যের অশেষ কৃপায় হোক আর নিজ কর্মের গুনেই হোক, বাংলাদেশ থেকে বি এস সি (Engg.) শেষ করে ভর্তি হলাম বেশ নামী একটা বিশ্ববিদ্যালয় এ। যেটা কিনা আবার পৃথীবির শ্রেষ্ট বসবাস যোগ্য শহর এ অবস্থিত। নুতন পরিবেশ, নুতন মানুষ, নুতন শহর সব মিলিয়ে বেশ ভালোই যাচ্ছিল।যেহেতু মাস্টার'স প্রোগ্রাম এ পড়া, তাই প্রথম থেকেই একটা ধরনা ছিল যে, পড়া শেষ না করে বুঝি আর দেশে যাওয়া হব...
দুটো দুঃখ পরস্পর হাত মেলায়
আজ সন্ধ্যাটা তারা একসাথে কাটাবে।
এক দুঃখের দুঃখ ভারী, বহুদিন একখানে
থেকে থেকে বোরড্ হয়ে গ্যাছে। অন্যজনও
কষ্টে আছে; বেচারার কোথাও কোন স্থিতি
নেই, আজ এখানে, তো কাল ওখানে – রোলিং।
আমাদেরো বহুদিন পর দ্যাখা, একই সন্ধ্যায়,
তুমিও ছিলে বেশ হাসিখুশী - জোভিয়াল।