হঠাৎ মেজাজ হারিয়ে ফেলা আবহাওয়া আমার জানলায়।
বাইরের ক্যানভাসটা ধূসর, বাতাসে বৃষ্টির ডিম,
হিজলের ডালে পায়ে মেহদির মত জলকণার ছাপ নিয়ে
দৌড়চ্ছেনা কোনো কাঠবেড়ালি, যার লেজতুলে পালানো দেখে
অকারণ হেসে উঠে আমার চারমাস বয়েসী ছেলেটা।
আজ, তিনমাসের বন্ধ্যাত্ব ফুরালো, আজ মেঘলা দিন
আজ জলরং নিয়ে বসার দিন, আজ ফেব্রুয়ারীর একুশ তারিখ।
কালো একটা ফতুয়া পড়িয়েছে ওর মা,
খালার খেয়ালি আলপনা কালোর ম...
১।
গেলো সেপ্টেম্বরে মৃন্ময় যখন প্রথম স্কুলে গেলো, আমাদেরর দুজনেরই তখন অনেক উৎকন্ঠা। উৎকন্ঠার কারন একেবারে অমূলক নয়। আমরা আড়াইজন স্কটিশবর্ডারের যে ছোট্ট শহরে থাকি, সেখানে আমরা যে একমাত্র বাঙ্গালী তাই নয়, একমাত্র এশিয়ান, একমাত্র নন-ইউরোপিয়ান, একমাত্র নন-ইংলিশ স্পিকিং ইত্যাদি ইত্যাদি...
লন্ডন, বার্মিংহাম, ম্যানচেষ্টারের মতো ইমিগ্রেন্ট অধ্যুষিত নগরীগুলোতে এদিকে অনেক সু...
ছবিগুলো ২০০৭ তোলা। অটোয়া, কর্নওয়ালের দিকের কিছু জায়গায় তোলা। অটোয়াকে কেমন যেন নিরিবিলি শহর লাগে; অগোছালোভাবে গোছানো! কর্নওয়ালে যেখানে গিয়েছিলাম সেটা বনভোজনেরই জায়গা। ছোট্ট নদীর (লেক-ও বলা চলে) কিনারে গড়ে তোলা হয়েছে। ছোটখাট পাহাড়, তার উপরে ভাস্কর্য; দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে নিহত কানাডিয়ান সৈনিকদের স্মরাণার্থে নির্মিত কয়েকটি স্থাপনা। খুদে ট্রেন; গ্রামীণ সংস্কৃতি নির্ভর শপি...
প্রণমিয়া শহীদেরে একুশের প্রাতে,
পেন্সিলখানা মোর তুলে নিই হাতে।
দালালির সাজা মোরা দেব হাতেনাতে,
বরাহের গলা কেটে নেব সাক্ষাতে।
ভাষার জন্যে যাঁরা দিয়েছে জীবন,
তাঁদের আত্মা আজি কাঁদে সর্বক্ষণ।
স্বাধীকার সংগ্রামে তাঁরা গুরুজন,
ফুলে ফুলে সেই স্মৃতি করেছি স্মরণ।
আজকের বাংলাতে তাঁদের অপমান,
বরাহের ছানাপোনা করিতেছে গান।
চল সবে বল্লম হাতে নিই তুলে,
জোরসে আঘাত করি দালালির মূলে।
...
১। সচলের সাথে ঠিক কবে পরিচয় তা আর দিনক্ষণ হিসাব করে বলতে পারবো না তবে আনুমানিক ২০০৭ এর শেষভাগ কিংবা ২০০৮ এর প্রথমদিকে । তখন 'অভ্র'র সহায্যে নতুন নতুন নেটে বাংলা লিখতে শিখেছি আর গুগুলে যেয়ে বিভিন্ন বাংলা 'কি ওয়ার্ড' দিয়ে সার্চ এর ফলাফল দেখছি, কিছুটা উত্তেজনা আছে ব্যাপারটায় কারণ তখন পর্যন্ত আমার সাত বছরে নেট ব্যাবহারের অভিজ্ঞতায় এটা(নেটে বাংলা লেখা) একেবারে নতুন সংযোজন । যাইহোক বা...
এ বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি রোববার পড়েছে।
যাক, একদিন বাড়তি ছুটি পাওয়া গেলো।
কতদিন ঘুরতে বের হইনা !
অফিস-বাসা-অফিস-বাসা। উফ!
অ্যাই, একুশে ঘুরতে বেরুবি?
চল না!
শাড়ি পরব।
কতদিন শাড়ি পরে ঘুরতে বের হই না!
তোর সাদা-কালো শাড়ি আছে তো?
না থাকলে কিনে ফ্যাল। কে-ক্র্যাফটে সুন্দর সুন্দর শাড়ি এসেছে দেখলাম।
আমিও কিনব।
আমার অবশ্য আছে একটা। গত বছরের। কিন্তু পুরনো শাড়ি পরতে ইচ্ছে করছে না।
ও একটা পার্লে...
এতক্ষন পর্যন্ত আধো ঘুম, আধো জাগরনে প্রায় আচ্ছন্ন অবস্থাতেই শুয়েছিল জয়িতা। হঠাৎ ডোরবেলের একটানা চিঁ-হি-ই-ই আওয়াজটা যেন তার সমস্ত আচ্ছন্নতাকে খান খান করে দিল। সারা সপ্তাহ একটানা ঘড়ি ধরে সকাল ছ’টায় ঘুম থেকে ওঠা; আর তারপর থেকেই তার প্রাত্যহিক বাঁধা গতের রুটিন লাইফ। ঘর-দোর পরিষ্কার, রান্নাবান্না ইত্যাদি সারতে সারতেই একমাত্র মেয়ে রুম্পির স্কুলের সময় হয়ে যায়। তারপর তাকে তৈরী করে টিফ...
আমার সব কাজ কারবার যেন হুট করেই করে ফেলি, হঠাৎ করেই মাথায় আসল, ব্যস করে ফেললাম। এর জন্যে প্রজাপতির কাছে অনেক দাবড়ানি খেয়েছি, আরো কত খাবো কে জানে? তবে ক্যামেরা কেনার ব্যাপারটা অনেকদিন থেকে মাথায় ঘুরপাক খেলেও সাহস করে কিনতে পারিনি, একদিকে দাম, আরেকদিকে দাবড়ানির মাঝে পুরা মাইঙ্কা চিপা, আর সেই চিপায় পইড়া চ্যাপ্টা হলাম বেশ অনেকদিন। এভাবে চলতে থাকে দিনকাল, এরমাঝে প্রজাপতি ঢাকা...
অ বর্ণের অর্থ হল--অস্তিত্বের আধার মাত্র। যে অস্তিত্বকে ধরে রাখে বা বহন করে।
'ক' মানে 'করণ', কিন্তু 'করণ'কে দেখা যায় না, যদি তার আধার না থাকে। তাই 'ক্'+অ='ক'। এই 'ক' মানে 'করে যে' বা 'কারী'। এইভাবে (গ্+অ) 'গ' মানে 'যায় যে'; (প্+অ) 'প' মানে 'পালন বা পান করে যে; (ব্+অ) 'ব' মানে 'বহন করে যে'। অতএব 'অ'-এর মানে হল--'অস্তিত্বকে অবয়ব দেয় যে'। এ হল শুধুমাত্র ধরে রাখা। কিন্তু যাকে ধারণ করা হয়, তাকে লালন -পালন ও তার বিকাশসাধন ...
"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি?" - না ভুলতে পারিনি। তাইতো এই দিনটি এলেই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি আমারা সেই অকুতোভয় ভাইদের, যারা তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে স্বাধীন করে গেছে আমাদের কথাকে, আমাদের লেখাকে, আমাদের গান, কবিতা, সুর, স্বপ্ন, আনন্দ, বেদনা, হাসি, কান্না ... সব ... সব ...সব! আমরা তাঁদের ভুলিনি - যারা প্রতিটি বাংলা অক্ষরকে করে গেছে তাঁদের তরে চির ঋণী।
আজ গিয়ে...