[justify]
পুষ্প বৃক্ষ এবং বিহঙ্গপুরাণ। বইটা প্রথম পড়ি ২০০১ সালে। কেবল নাম দেখেই কিনেছিলাম। বইয়ের প্রচ্ছদ অদ্ভুত ছিল। কাঁধে পাখি নিয়ে ছফার একটা ছবিও ছিল প্রচ্ছদে। বাসায় গিয়ে পড়তে শুরু করি। আমার সামনে একটা নতুন জগৎ খুলে যায়। উপন্যাস আত্নজীবনী সব মিলে ছফা একটা ভিন্ন জগৎ তৈরি করেছেন। এক একটা পাতা পড়া শেষ হয় আর আমি ভাবতে থাকি এই সহজ কাহিনী একজন মানুষের পক্ষে লেখা কিভাবে সম্ভব...
আটত্রিশ বছরের না পারার গ্লানি,
প্রজন্ম পরপর সবে মিলি টানি।
রাজাকার দেশদ্রোহী অপরাধী জানি,
আর মোরা টানবো না বিবেকের ঘানি।
চল সবে এইবার বুকে বল আনি,
দূর করি দেশ থেকে ক্ষতিকর প্রাণী।
গোআযম-মুজাহিদ-নিজামীর চাম,
এ বেলায় না ছিলিলে হবে বিধিবাম।
কত যুগ ঝরিয়াছে কপালের ঘাম,
মুছে দিতে দেশ থেকে দালালের নাম।
বহে বায়ু বিপরীতে - প্রেতমুখে রাম;
'সোনার বাংলা' বলে দেয় তারা পাম্।
হানাদার বধ করা ব...
গন্তব্য জেনে নিয়ে সোজা পথে হেঁটে যাওয়া ভালো
পেছনে ঝিমানো রাত, সিদ্ধির শরবতের মত
দুঃখ দুঃখ, সুখ সুখ, স্বপ্ন স্বপ্ন আলোর কপাল।
কেবলই শীতের রাত্রি
চাদরের উষ্ণ মৃদু আলিঙ্গণে ভেজা।
এরই মাঝে বাথটব সমুদ্র সঙ্গমে তীব্র ডাকো
তোমাতে সর্বাঙ্গ ডুবে আবাহণ হ্রদে চলে যাই...
বেতবন-করবী –বট আর আশ্বত্থের প্রেম
নদীর অতলদেশে বুকজুড়ে সুকোমল হাত
নাভীর তটিনী ঘেরা সামাজিক প্রবেশ-নিষেধে চলে যাই।
এ...
খুব বেশি দিন হয় নাই আমার বিদেশ আসার।ভাগ্যের অশেষ কৃপায় হোক আর নিজ কর্মের গুনেই হোক, বাংলাদেশ থেকে বি এস সি (Engg.) শেষ করে ভর্তি হলাম বেশ নামী একটা বিশ্ববিদ্যালয় এ। যেটা কিনা আবার পৃথীবির শ্রেষ্ট বসবাস যোগ্য শহর এ অবস্থিত। নুতন পরিবেশ, নুতন মানুষ, নুতন শহর সব মিলিয়ে বেশ ভালোই যাচ্ছিল।যেহেতু মাস্টার'স প্রোগ্রাম এ পড়া, তাই প্রথম থেকেই একটা ধরনা ছিল যে, পড়া শেষ না করে বুঝি আর দেশে যাওয়া হব...
দুটো দুঃখ পরস্পর হাত মেলায়
আজ সন্ধ্যাটা তারা একসাথে কাটাবে।
এক দুঃখের দুঃখ ভারী, বহুদিন একখানে
থেকে থেকে বোরড্ হয়ে গ্যাছে। অন্যজনও
কষ্টে আছে; বেচারার কোথাও কোন স্থিতি
নেই, আজ এখানে, তো কাল ওখানে – রোলিং।
আমাদেরো বহুদিন পর দ্যাখা, একই সন্ধ্যায়,
তুমিও ছিলে বেশ হাসিখুশী - জোভিয়াল।
[justify]
১
দেশ ছেড়েছি অনেকদিন। প্রথম একবছর অনলাইনে পত্রিকা পড়তাম, দেশের খবরাখবর জানার চেষ্টা করতাম। এখন ছেড়ে দিয়েছি; কালেভদ্রে টোকা দেয়া হয়। অঘটন, দুঃসহ সংবাদগুলো মনকে শুধু বিমর্ষ করে না; শরীরের উপর-ও প্রভাব ফেলে।
শুরু হয়েছে নাম পাল্টানোর খেলা। টাকার উপর বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাপানো। জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পাল্টানো। হেনতেন। জনগণের টাকা নিয়ে এরা যে হাঁসের মতো নির্লজ্জভাবে ...
মাঝে মাঝে কেন যেন কিছুতেই কাজে মন বসে না। এখন ল্যাবে বসে আছি, আজকের দিনের মাঝে দুইটা write up শেষ করতে হবে, অথচ মন চলে যাচ্ছে সেই ছোটবেলায়।
পড়তে শেখার পর থেকে সেটাকে কাজে লাগাতে কার্পণ্য করি নি। এক নিজের পাঠ্যবই ছাড়া যে কোন লিখিত জিনিস পেলেই সেটা পড়া নিজের পবিত্র কর্তব্য মনে করে এসেছি। কিন্তু ছোটবেলায় বড় হওয়ার খুব ইচ্ছে থেকেই মনে হয় রূপকথা পড়তে ভাল লাগত না তত, যতটা এখন লাগে।
...
অনেকখানি ঢং করে এই লেখাটা শুরু করতে যাচ্ছিলাম। তারপর হাসি পেল। যাকে নিয়ে লিখছি তাঁকে সচলরা আমার চাইতে ভাল চেনেন। হয়তো তাঁর সঙ্গে আমার অনেকটা পথ একসঙ্গে রিক্সায় টুকরো-টাকরা কথা বলতে বলতে আসা হয় প্রায়শই। কিন্তু সেটাতে তাঁর সবটা পরিচয় মেলেনা। তার সবটা পরিচয় মেলে তাঁর লেখায়। সেইখানে একজন মানুষের ভেতরে একজন ঈশ্বরকে দেখা যায়। সে ঈশ্বর কবিতার আর গল্পের। সে ঈশ্বর ভাষার।
সত্যি [url=http://ww...
লোকটা একটা লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে বাইরের দিকে তাকালো।
সামনে দিগন্তজোড়া সমুদ্র, ঢেউ তেমন একটা নেই। যেন একটা বিশাল চকচকে ইস্পাতের পাত কেউ বিছিয়ে রেখেছে। দুপুরের সূর্যের তীব্র আলো সেখানে প্রতিফলিত হয়ে ওর চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে। হেলমেটের শেডটা টেনে নামাতে গিয়ে থেমে গেলো সে।
চোখদুটো জ্বালা করছে ওর, মনে হয় এক্ষুনি ভিজে যাবে। এত সুন্দর, ঝকঝকে একটা দিন, কিন্তু আকাশে যদি একটু মেঘ করতো, যদ...
ঝুম বৃষ্টি দরকার!
মিনমিনে-ফ্যাতফ্যাতে-ইলশে গুড়ি না,
কোনও কিছুকে তোয়াক্কা করেনা যে বৃষ্টি,
সেরকমটাই চাই!
এর কম কিছু না,
বরং পারলে আরও বেশি,
একটা ব্যক্তিগত কালবোশেখী চাই,
তছনছ চাই একটা,
তুমুল ধ্বংসযজ্ঞ!
একটু নাহয় বেহিসেবী হই,
গাছের সবক'টা আম নাহয় নাই বা পাকলো।
হাতের পাঁচটা আঙ্গুল সমান কি হয় কখনও?
নাহয় একটু উশৃংখল আমি,
একটু খেপাটে,
কান্ডজ্ঞানেরও নাহয় একটু বেশিই অভাব রইলো আমা...